চাকরি বিক্রির অভিযোগে বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা জেলে। দুর্নীতির অভিযোগ ছিল পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধেও। বড়ঞার সেই বিপ্রশেখর গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিল বিজেপি। আর প্রথমবার পঞ্চায়েত দখল করে পঞ্চায়েত ভবন চত্বর ও প্রধানের চেয়ার জল দিয়ে ধুলের দলের নেতা-কর্মীরা।
মুর্শিদাবাদ – বীরভূমের সীমানায় অবস্থিত বিপ্রশেখর গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট সদস্য সংখ্যা ১৯। তার মধ্য গেরুয়া শিবিরের দখলে ছিল ১১টি আসন। শুক্রবার বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়ায় সহজেই পঞ্চায়েত দখল করে গেরুয়া শিবির। প্রধান হন পুলক হালদার। উপপ্রধান হন বুলু চক্রবর্তী। এর পরই শঙ্খধ্বনী ও উলু দিয়ে বিজয়োৎসব শুরু করেন বিজেপি সমর্থকরা। কিছু বিজেপি সমর্থক গঙ্গাজল দিয়ে পঞ্চায়েত কার্যালয়ের চত্বর শুদ্ধিকরণ শুরু করেন। গঙ্গাজল ছিটাতে ছিটাতে তাঁরা পৌঁছে যান প্রধানের ঘরে। সেখানে প্রধানের চেয়ারও গঙ্গাজল দিয়ে শুদ্ধিকরণ করেন তাঁরা।
এক বিজেপি সমর্থক বলেন, এই পঞ্চায়েতের প্রধান বিভিন্ন ধরণের দুর্নীতিতে যুক্ত ছিলেন। সন্ত্রাস করে ভোটে জেতার আপ্রাণ চেষ্টাও করেছিলেন কিন্তু সফল হননি। তৃণমূলের অপকর্মের পাপ থেকে পঞ্চায়েত দফতর ও প্রধানের চেয়ারকে মুক্ত করতে আমরা গঙ্গাজল দিয়ে শুদ্ধ করলাম। আগামী দিনে আমরা মানুষকে দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছ পঞ্চায়েত উপহার দেব। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে এই পঞ্চায়েত থেকে গেরুয়া পতাকা উড়বেই।