কল্যাণীর হোটেলে বিজেপি নেতার রহস্যমৃত্যুতে চাঞ্চল্যকর দাবি করল হোটেল কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, ঘটনার দিন বিজেপি নেতা সুদীপ ঘোষের ঘরে এসেছিলেন তাঁর প্রেমিকা। সেই তরুণীই ৪ অগাস্ট গভীর রাতে ফোন করে সুদীপবাবু ঘরে খোঁজ নিতে বলেন। এই ঘটনায় হোটেলের সিসিটিভি প্রকাশের দাবি জানিয়েছে বিজেপি। ওদিকে মৃতের স্ত্রীর দাবি, সিবিআই তদন্ত করাতে হবে।
হোটেলের ম্যানেজার সুব্রত মণ্ডল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ৩ অগাস্ট সন্ধ্যাবেলায় হুগলির ধনেখালি বিধানসভার বিজেপির গুড়াপ ২ নম্বর মণ্ডলের সভাপতি সুদীপ ঘোষ একাই ওই হোটেলের একটি ঘর ভাড়া নেন। তাঁকে ২০৯ নম্বর ঘর বরাদ্দ করা হয়। ৪ অগাস্ট রাতের দিকে তাঁর প্রেমিকা মেয়েকে নিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। কিছুক্ষণ পর তিনি বেরিয়েও যান। এর পর হোটেল থেকে বেরিয়ে একটি মোবাইল ফোন কেনেন তিনি। খাবারের বিল মেটান।
গভীর রাতে আমাদের হোটেলের এক কর্মীর কাছে সুদীপবাবুর প্রেমিকা ফোন করেন। ফোনে তিনি জানান, ২০৯ নম্বর ঘরে কোনও গোলমাল হয়েছে। একবার দেখুন। রাত দেড়টা নাগাদ ফোন করে সেই খবর আমাকে দেন ওই কর্মী। আমি সেই সময় হোটেলে থাকা কর্মীদের ফোন করে ২০৯ নম্বর ঘরে যেতে বলি। ওই ঘরে গিয়ে তারা দেখেন, ঘরের দরজা খোলা। ভিতরে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন সুদীপবাবু। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে নামানো হয়। ততক্ষণে আমি পৌঁছে পুলিশে ফোন করি। কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশও চলে আসে। এর পর তারা দেহ নিয়ে চলে যায়। সুব্রতবাবু জানিয়েছেন, আত্মঘাতী হয়েছেন সুদীপবাবু।
ঘটনায় রহস্য রয়েছে বলে মনে করছে বিজেপি। তাদের দাবি, এই মৃত্যুর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রয়োজন। ওই দিনের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আনুক হোটেল কর্তৃপক্ষ। তিনি এও জানিয়েছেন, স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে হোটেলে ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন সুদীপবাবু। নিহত বিজেপি নেতার স্ত্রী অঞ্জলি ঘোষের দাবি, স্বামীকে কল্যাণী ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে। ও এত দূরে যেতে পারে না। এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত চাই। ওর কোনও শত্রু ছিল না।