নায়িকাদের সার্জারি নিয়ে বিস্তর জল্পনা। কেউ ঠোঁট বদলেছেন, তো কেউ নাক। কারও আবার একাধিক অঙ্গে সার্জারি। সার্জারির কথা কিছু নায়িকা খোলা মনে স্বীকার করেন, তো কেউ আবার চুপিসারে রাখতেই পছন্দ করেন। তবে, এবার নিজের সার্জারি নিয়ে অকপটে কথা বললেন ‘দেশি গার্ল’ প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। নাকের সার্জারি তার মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর কী ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলেছিল, সেই নিয়ে কথা বললেন তিনি৷
একসময় বলিউডে রাজত্ব করেছেন, এখন বলিউডের গণ্ডি ছাড়িয়ে হলিউডেও পা রেখেছেন৷ একের পর এক সফল কাজের পর ‘দেশি গার্ল’ এখন আর্ন্তজাতিক তারকা৷ তবে, এই সফলতার গল্পের আড়ালে থাকা যন্ত্রণার কাহিনি অনেকেরই অজানা৷ সম্প্রতি, একটি আর্ন্তজাতিক শো-তে এসে নিজের জীবনের অন্ধকার সময় নিয়ে জানালেন তিনি৷ নাকের একটি সার্জারির পর তাঁর মনে হয়েছিল বুঝি কেরিয়ারের সব শেষ৷
‘‘নিজেকে একেবারে অন্যরকম দেখতে লাগছিল৷ আমি ভয়ঙ্কর ডিপ্রেশনের মধ্যে চলে গিয়েছিলাম৷ মনে হচ্ছিল, আমার অভিনয় জীবন শুরু হওয়ার আগেই বোধহয় শেষ হয়ে গেল’’, বলেন প্রিয়াঙ্কা৷ এই কঠিন সময়ে তাঁর হাত শক্ত করে ধরে রেখেছিলেন প্রিয়াঙ্কার বাবা৷ ‘‘আমি প্রচন্ড ভয় পেয়েছিলাম, তবে বাবা বললেন ভয় কী? আমি তোমার সঙ্গে ওই ঘরেই থাকব’’৷ প্রসঙ্গত, নাকে একটি পলিপ হয় প্রিয়াঙ্কার৷ যে কারনেই তাঁকে সার্জারির আশ্রয় নিতে হয়৷
আরও পড়ুন: বাজেয়াপ্ত করা হয় জিনস, বাড়ির গাড়িতেই যাতায়াত! প্রিয়াঙ্কার উপর কেন এত বিধিনিষেধ
জীবনের ওই কঠিন সময়ে বাবার পাশে থাকাই সাহস জুগিয়েছিল সিটাডেল তারকাকে৷ পাশাপাশি বলিউডের পরিচালক অনিল শর্মার কথাও বলেন৷ শরীরে কাঁচি চালানোর পর তিন তিনটি প্রজেক্ট হাতছাড়া হয়ে যায় প্রিয়াঙ্কার৷ সেসময় পরিচালক অনিল শর্মাই প্রিয়াঙ্কাকে কাজ দেন৷ অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘ছবিতে আমার লিড রোল করার কথা ছিল, তবে আমাকে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পুরো আবহাওয়াই তখন আমার বিপক্ষে চলে গিয়েছিল৷ কিন্তু পরিচালক সহৃদয় হয়ে আমাকে একটি ছোট্ট চরিত্রে কাজ দেন৷ বলেন, চরিত্রটা ছোট, তবে এতেই তোমার সেরাটা উজাড় করে দাও৷ আমি তাই করেছিলাম৷’’
Tags: Bollywood, Priyanka Chopra