লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থীতালিকা ঘোষণার পর থেকে তৃণমূলে শুরু হয়েছে বিদ্রোহ পর্ব। সেই তালিকায় নাম লেখালেন দলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেন। রাজ্যসভা ও পরে লোকসভা নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে তিনি যে কষ্ট পেয়েছেন তা প্রকাশ্যে সাংবাদিকদের বললেন তিনি। শান্তনুর বিলাপ কি বিজেপিকে বার্তা? প্রশ্ন তুলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: ‘ওকে জেতানো আমার দায়িত্ব’, দিল্লির ধমকে সুর বদলে টিগ্গার পাশে বার্লা
এদিন শান্তনুবাবু বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে ২০১৮ সালে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিলেন। আমি রাজ্যসভায় প্রাণ পাত করে দলের জন্য কাজ করেছি। দলের হয়ে কথা বলেছি। বিজেপির বিরুদ্ধে উগ্রভাবে আন্দোলন করেছি। দল যা বলেছে সেই নির্দেশ পালন করেছি। ভালোভাবে কাজ করার পর ভেবেছিলাম রাজ্যসভায় পুনর্মনোনয়ন হবে। কিন্তু কোনও কারণে দল সেটা করতে পারেনি। পরবর্তীকালে লোকসভাতেও স্বপ্ন দেখিনি তা নয়। যেহেতু সংসদীয় রাজনীতিটা খুব মন দিয়ে করেছি, তাই মনে করেছিলাম লোকসভায় হয়তো জায়গা হতে পারে। সেটা হয়নি। আমার নিশ্চই মনে কিছুটা খারাপ লেগেছে, কষ্ট হয়েছে। আশা করে আশাহত হলে তো কষ্ট হবেই। মনে কষ্ট থাকলেও সেই কষ্টকে চেপে রেখে দল যা দায়িত্ব দেবে সেই দায়িত্বই আমি পালন করব। মনে যতই কষ্ট থাক’।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত রাজ্যসভা নির্বাচনে শান্তনুবাবুকে প্রার্থী করেনি তৃণমূল। তার পর লোকসভার প্রার্থীতালিকায় নাম নেই তাঁর। দমদম কেন্দ্র থেকে সৌগত রায়ের বদলে শান্তনুবাবু প্রার্থী হতে পারেন বলে তৃণমূলের অন্দরে জল্পনা চলছিল। কিন্তু প্রবীণ অধ্যাপক সৌগত রায়ের ওপরেই ফের ভরসা রেখেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: কবে ইন্টারভিউ হবে আপার প্রাথমিকের প্যারা-টিচারদের? জানাল SSC, অ্যাডমিটের কোনদিন?
এদিন দলীয় নেতৃত্বের ওপর আনুগত্য দেখালেও যে ভাবে নিজের ‘মন খারাপ’এর কাথা শান্তনু সেন তুলে ধরেছেন, তা বিজেপিকে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা বলে মনে করছেন অনেকে। তাদের মতে, প্রচ্ছন্নে বিজেপিকে বার্তা দিয়েছেন পোড় খাওয়া এই রাজনীতিবিদ। এবার দেখার লোকসভা নির্বাচনে না হলেও তার পরে শান্তনু সেনের ব্যাপারে উৎসাহ দেখায় কি না গেরুয়া শিবির।