আজ, মঙ্গলবার শ্যামবাজারে এভি স্কুলের কাছে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে এই স্কুলের থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে ছিল পুলিশ কিয়স্ক। তার পাশে এক ব্য়ক্তির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। ওই মৃত ব্যক্তির মাথার পিছনে ক্ষতচিহ্ন মিলেছে। ওই ব্যক্তি এলাকায় রাঁধুনির কাজ করতেন। আজ শ্যামবাজার স্ট্রিটে এভি স্কুলের উল্টোদিকে ট্রাফিক পুলিশের কিয়স্কের পাশে রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খুন নাকি পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু সেটা খতিয়ে দেখছে শ্যামপুকুর থানার পুলিশ। ওই ব্যক্তির মাথা ও মুখে আঘাতের চিহ্ন থাকায় সন্দেহ বেড়েছে। তবে আর কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই শরীরে। মৃত ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর।
এদিকে ওই ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা করছেন পুলিশকর্মীরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তির মাথার পিছনে ভারী বস্তু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। মুখ ইট দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় রক্তের ছাপ রয়েছে। তবে এই ঘটনাস্থলের অদূরেই পুলিশ কিয়স্ক রয়েছে। তারপরও কেন কেউ টের পেলেন না? উঠছে প্রশ্ন। কিয়স্কের সামনেই এভাবে দেহ পড়ে থাকার ঘটনায় এলাকায় আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে। গত চারদিনে চিৎপুর, ময়দান, চিংড়িঘাটা ও লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকায় চারটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই প্রকাশ্যে কুপিয়ে খুন করে হামলাকারীরা। দেহটি উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখে এক বাসিন্দা কিয়স্কে কর্তব্যরত এক ট্রাফিক পুলিশকে বিষয়টি ডেকে দেখান। দেহ উদ্ধারের খবর তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। তারপর দ্রুত দেহটি উদ্ধার করে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি স্থানীয় একটি হোটেলে রান্নার কাজ করতেন ৷ ফুটপাতেই তিনি শুয়ে থাকতেন ৷ ওই ব্যক্তির সঙ্গে হয়তো কারও সঙ্গে শত্রুতা হয়েছিল ৷ সেটা থেকেই বচসা বাধে ৷ ওই ব্যক্তির মাথার পিছনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মাথার পিছনে আঘাতের জেরেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে ইট দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়েছে মুখ বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে শ্যামপুর থানার পুলিশ। ওই ব্যক্তির দেহের পাশে রান্নার সরঞ্জাম পড়ে ছিল। তবে এলাকাবাসীরা তাঁর নাম বলতে পারেননি।
আরও পড়ুন: ‘আমাদের একটা নতুন দার্জিলিং তৈরি করতেই হবে’, বাণিজ্য সম্মেলন থেকে সওয়াল মমতার
আর কী জানা যাচ্ছে? এই ঘটনা নিয়ে এখন এলাকায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে। থানা থেকে সর্বত্র খবর দেওয়া হয়েছে। এলাকার হোটেলগুলিতে খবর নেওয়া হচ্ছে। যাতে রহস্যের উদঘাটন করা যায়। যেখানে দেহটি পড়েছিল তার একটু দূরেই পুলিশের কিয়স্ক রয়েছে। যদি খুন হন এই ব্যক্তি, তাহলে পুলিশ কিয়স্কের সামনেই কীভাবে ঘটল? এই ঘটনা থেকে অনেকে মনে করছেন, খুন করে দেহ এখানে ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছে। যদি তাই হয়, তাহলেও কেমন করে পুলিশের নজর এড়িয়ে গেল? এমন একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সব দিক খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।