মত্ত অবস্থায় ট্রেন চালানোর অভিযোগ ২ চালকের বিরুদ্ধে। বীরভূমের রামপুরহাটে ২ চালককে নামিয়ে দিলেন রেলের আধিকারিকরা। অন্য ২ চালককের দায়িত্বে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা করা হয় হাওড়া – জয়নগর প্যাসেঞ্জারকে। এই ঘটনায় আতঙ্কিত যাত্রীরা। রেলের নিরাপত্তা নিয়েও বড়সড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
এখনো টাটকা ওড়িশার বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনার স্মৃতি। একটা সিগন্যাল এদিক – ওদিক হলে কী হয় তা দেখেছে গোটা বিশ্ব। প্রাণ গিয়েছে অন্তত ২৭৫ জনের। সেই ঘটনার পর রেলের সুরক্ষা নিয়ে যখন লাগাতার সমালোচনা চলছে তখন চলন্ত ট্রেন থেকে নামানো হল ২ মত্ত চালককে। মঙ্গলবার রাতে রামপুরহাটের ঘটনা।
জানা গিয়েছে, এদিন নির্ধারিত সময়ের প্রায় ২ ঘণ্টা দেরিতে রামপুরহাট স্টেশনে পৌঁছয় জয়নগর প্যাসেঞ্জার। বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে রামপুরহাট থেকে ছাড়ে ট্রেনটি। রামপুরহাট স্টেশন থেকে কিছুটা এগোনোর পর ফের সিগনাল না পাওয়ায় দাঁড়িয়ে যায় ট্রেন। এর পর সিগনাল সবুজ হলেও ট্রেন সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকে। প্রায় সিগনাল পেয়েও দীর্ঘক্ষণ ট্রেনটি দাঁড়িয়ে থাকায় ইঞ্জিনের কেবিনে উঁকি দেন যাত্রীরা। দেখেন, ইঞ্জিনের কেবিনের ভিতরে মত্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ২ চালক। এর পর খবর দেওয়া হয় রামপুরহাট স্টেশনে।
এই ঘটনার খবর চাউর হতেই যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। শোরগোল পড়ে যায় রেল কর্মীদের মধ্যেও। এর পর ইঞ্জিনের কেবিন থেকে নামানো হয় ২ মত্ত চালককে। তাঁদের রামপুরহাটে রেলের হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ওদিকে বিকল্প ২ চালকের হাতে ট্রেনের দায়িত্ব দিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর ট্রেন ছাড়ে।