370 Article: সম্প্রতি জম্মু এবং কাশ্মীরকে নিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের রায় যেন কিছুতেই হজম হচ্ছে না পাকিস্তানের। ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পর আতঙ্কে রয়েছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলিল আব্বাস জিলানি বলেছেন, তার দেশ ভারতের সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে। এখন বিষয়টি ইসলামিক দেশগুলোতে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে পাকিস্তান। এই নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে ‘নবভারত টাইমস’ এ।
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পর পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকার আতঙ্কে রয়েছে। ভারতের সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তের পর কয়েক ঘণ্টা চুপ ছিলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলিল আব্বাস জিলানি। জিলানি অবশেষে সন্ধ্যায় তার নীরবতা ভেঙে বলেন যে, ভারতের একতরফাভাবে কাশ্মীরের অবস্থা পরিবর্তন করার অধিকার নেই। আরো বলেন, পাকিস্তান ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে। শুধু তাই নয়, এবার পুরো বিষয়টি অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কান্ট্রিজ (ওআইসি)-তে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এছাড়াও, এর আগে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট সংবিধান অনুযায়ী ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করার সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতভাবে ঘোষণা করেছিল। পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ কাশ্মীরে নির্বাচন করার নির্দেশও দিয়েছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, কাশ্মীর একটি বৈশ্বিক বিরোধ এবং এ বিষয়ে জাতিসংঘের একটি প্রস্তাবও এসেছে। ২০১৯ এর ৫ আগস্ট ৩৭০ ধরা বাতিল করার সিদ্ধান্ত জাতিসংঘের বিধানের লঙ্ঘন। সুপ্রিম কোর্টের এই রায় বিশ্ববাসীর দৃষ্টি ফেরানোর চেষ্টা। পাকিস্তান ওআইসি ও চীনের আশ্রয় নিতে পারে।
জিলানি বলেন, পুরো বিষয়টি সকল স্টেকহোল্ডারদের সাথে নিয়ে আলোচনা করা হবে। ভারতের পদক্ষেপ ইতিমধ্যে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ওআইসিকে জানানো হয়েছে। ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পর পাকিস্তান সরকার সব বিকল্প বিবেচনা করছে। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিত্তিহীনভাবে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের সমালোচনা করেছেন। পাকিস্তানের মন্ত্রীর আরো দাবি, ভারত ওআইসি পর্যবেক্ষকদের নাকি কাশ্মীরে যেতেও দেয়নি।
প্রকৃতপক্ষে, গত কয়েক দশক ধরে পাকিস্তান কাশ্মীর নিয়ে ভারতকে কোণঠাসা করতে সৌদি আরবের তৈরি ওআইসিকে ব্যবহার করছে। পাকিস্তানের পদক্ষেপ নস্যাৎ করতে ভারত ওআইসিকে যোগ্য জবাব দিয়েছে। পাকিস্তান এখন আবারও ইসলামিক দেশগুলোর কাছে ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টির আবেদন করতে পারে। এছাড়া এই পুরো বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তান চীনের আশ্রয় নিতে পারে। সেই চীন যে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর গালওয়ান, লাদাখে রক্তক্ষয়ী সহিংসতা চালিয়েছিল। বহু বিশেষজ্ঞের মতে, চীন ও পাকিস্তান এখন ভারতের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণে নতুন পদক্ষেপ নিতে চলেছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন
নয়াদিল্লি: শুক্রবার উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে নির্বাচনী প্রচারের সময় ‘ইন্ডিয়া’ জোট প্রার্থী কানহাইয়া কুমারের ওপর হামলা হয়।…
শীতলকুচিতে গুলি চালানোর ঘটনায় কোচবিহার জেলা প্রশাসনের থেকে রিপোর্ট তলব করল মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতর।…
রাজভবনে শ্লীলতাহানির অভিযোগকাণ্ডে এবার নয়া মোড়। এবার রাজভবনের কর্মীদের বিরুদ্ধে এফআইআর করল কলকাতা পুলিশ। রাজভবনের তিন…
নামের বানান না মেলায় কলকাতা হাইকোর্টের পাঠানো আদালত অবমাননার নোটিশ গ্রহণ না করায় গ্রেফতারি পরোয়ানা…
বিপজ্জনক ভাবে হেলে পড়েছিল কারখানার পাঁচিল। তা সত্বেও সেই পাঁচিলের লাগোয়া নিকাশি নালা তৈরি করছিলেন…
মমতা এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুনের হুমকি দিয়ে পোস্টার পড়ল হাওড়ার উলুবেড়িয়ায়। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা…