Homeব্লগবাজিদুনিয়া বদলানো 3G-4G ,...

দুনিয়া বদলানো 3G-4G , আজকের Digital জীবনে ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ: সুপ্রকাশ দে

একটা সময় মোবাইল ফোন মানেই শুধু কথা বলার যন্ত্র ছিল । ধীরে ধীরে মোবাইল ফোনের ব্যবহার হয়ে পড়ে বহুমাত্রিক । শুধু কথা বলার কাজেই নয়, কম্পিউটিংয়ের সমস্ত কাজ এখন মোবাইল ফোনেই করা যায়, আলাদা করে আর কম্পিউটার খুলে বসতে হয় না সব সময় । নিমেষে মুশকিল আসান করতে রকমারি অ্যাপস এর ব্যবহারে আমরা প্রত্যেকে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি । আর সেই সাথে পাল্লা দিয়ে প্রয়োজন বাড়ছে দ্রুত গতির ইন্টারনেটের ।

গত এক বছর ধরে দেশের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় যে দুটি রহস্যময় শব্দ সব কিছু এলোমেলো করে দিচ্ছে তা হলো ‘থ্রি-জি’ এবং ‘ফোর-জি’ । মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলির নানা রকম অফার ও বিজ্ঞাপনের দুলুনিতে দুলছি আমরা যারা সাধারন জনগণ । বাজারে এখন ফোর-জি স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটের ছড়াছড়ি । থ্রি-জি ব্যাপারটা পুরনো হয়ে সবাই এখন ‘ফোর-জি’র পথে পা বাড়িয়েছে । কিন্তু মোবাইলের ‘জি’ ব্যাপারটা কি বা কেন, সেটা নিয়ে অনেকেই অবহিত নয় ।

জি এর মানে কি?  ‘জি’ মানে জেনারেশন বা প্রজন্ম । মোবাইল প্রযুক্তির প্রজন্ম, যা মোবাইল ফোন এবং তার নেটওয়ার্কে ইনস্টল করা হয়ে থাকে । প্রজন্ম ভাগ করা হয় টেকনোলজির উৎকর্ষের ভিত্তিতে । টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তির বিভিন্ন প্রজন্মের নামকরণের মাধ্যমে মূলত টেলিযোগাযোগ পরিষেবার কিছু প্রযুক্তিগত পরিবর্তনকে বোঝানো হয়, যেমন নতুন ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড, উচ্চতর পিক ডাটা রেট, তথ্য স্থানান্তরের জন্য নেটওয়ার্কে আরো বেশি তথ্য ধারণ ক্ষমতা ইত্যাদি । প্রতিটি নতুন ‘জি’ অর্থাৎ জেনারেশনের জন্য আপনাকে নতুন একটি ফোন কিনতে হবে, আর নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে ব্যয়বহুল আপগ্রেডের । অর্থাৎ নতুন প্রজন্ম মানেই সেটা আগের প্রজন্মের চেয়ে আরো দ্রুত গতির হবে । মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কের ধারাবাহিক উন্নতিতে বাজারে এসেছে একটার পর একটা নতুন ‘প্রজন্ম’ অর্থাৎ ‘জি’ বা জেনারেশন । এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ১৯৮১ সালের অ্যানালগ (১জি) থেকে ১৯৯২ সালে ডিজিটাল (২জি) স্থানান্তর প্রযুক্তিতে পরিবর্তনের মাধ্যমে । এবার মোবাইলের প্রজন্মগুলি সম্পর্কে একটু ধারণা নেওয়া যাক ।

প্রথম প্রজন্মের সেলুলার নেটওয়ার্ক প্রযুক্তিকে বলা হয় ১জি । ১জি চালু হয় ১৯৮১ সালে । এতে শুধুমাত্র অ্যানালগ ডাটা ট্রান্সফার করা যেত । সাউন্ড এর গুণগত মান ভাল ছিল না এবং ১জি নেটওয়ার্কের স্পীড ছিল খুবই কম । ১জি নেটওয়ার্কের আরো একটি বৈশিষ্ট্য হলো এর একটা এরিয়া লিমিট ছিল ।

১৯৯২ সালে এলো ‘টু-জি’ নেটওয়ার্ক অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রজন্মের নেটওয়ার্ক সিস্টেম । ১জি ছিল পুরোপুরি সনাতন অ্যানালগ প্রযুক্তিভিত্তিক নেটওয়ার্ক । ২জি নেটওয়ার্কে সিগন্যাল গুলো ডিজিটাল ফরম্যাটে ট্রান্সফার হয় এবং এর গুনগত মান ১জি এর চেয়ে অনেকটা উন্নত । ডিজিটাল মডুলেশন টেকনিকের উপর ভিত্তি করে দ্বিতীয় প্রজন্মের নেটওয়ার্কে এসএমএস (Short Message Service) আদান প্রদান, উচ্চতর ব্যান্ডউইথ, উন্নত মানের সাউন্ড কোয়ালিটি, ইত্যাদি সুবিধা যুক্ত করা হয় । ২জি তে তথ্য আদান প্রদানের গোপনীয়তা রক্ষা করার সুবিধাও যোগ করা হয় । ২জি নেটওয়ার্ক মূলত ন্যারো ব্যান্ড বেসড নেটওয়ার্কিং সিস্টেম ।

২০০২ সালে ২জি প্রযুক্তির উত্তরসূরি হিসাবে আসে থার্ড জেনারেশন বা ৩জি । ৩জি প্রযুক্তিতে যুক্ত করা হয় মাল্টিমিডিয়া সাপোর্ট। মাল্টিমিডিয়া সাপোর্টের পাশাপাশি এর স্পেকট্রাম বা ফ্রিকোয়েন্সিতে পরিবর্তন আনা হয়, যা আগের তুলনায় বেশি তথ্য ধারণ করতে পারে ।  অনলাইন টিভি, হাই ডেফিনেশন ভিডিও, ভিডিও কলিং, ভিডিও গেমস, ইত্যাদি মূলত যার জন্য সম্ভব হয়েছে তা হল এই  থ্রিজি নেটওয়ার্ক । ২জি এর চেয়ে ৩জি নেটওয়ার্কের গুণগত মান ও স্পীড দুটোই অনেক উন্নত হওয়ায় ভিডিও কলিংসহ অন্যান্য সুবিধাগুলো সম্ভব হয়েছে ৩জি তে । পূর্বে ৩ মিনিটের একটি গান টু-জি মোবাইলের মাধ্যমে ডাউনলোড করতে ৬-৯ মিনিট সময় লাগতো, থ্রি-জি প্রযুক্তির সাহায্যে তা ১১-৯০ সেকেন্ডেই করা সম্ভব হয় । থ্রি-জি মোবাইলের সাহায্যে মোবাইলে টিভি দেখা এবং টেলিকনফারেন্সের সুবিধা ভোগ করা সম্ভব । থ্রি-জি প্রযুক্তি একটি ষ্ট্যান্ডার্ড মোবাইল টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেম যা ইন্টান্যাশানাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (ITU) কর্তৃক নির্ধারিত ইন্টারন্যাশানাল মোবাইল টেলিকমিউনিকেশন-২০০০ (IMT-2000) এর শর্তসমূহ পূরণ করে ।

ফোর-জি হলো ফোর্থ জেনারেশন বা চতুর্থ প্রজন্ম শব্দটির সংক্ষিপ্ত রূপ । এটি ব্যবহৃত হয় চতুর্থ প্রজন্মের তারবিহীন টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তিকে বোঝাতে । এটিই এখন মোবাইল ফোনের সর্বাধুনিক নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা । এটি সম্পূর্নরূপে ইন্টারনেট প্রোটোকলভিত্তিক একটি টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেম যা গ্রাহককে আলট্রা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করে থাকে । ফোর-জি প্রযুক্তি হচ্ছে থ্রি-জি প্রযুক্তির আধুনিকতর সংস্করণ । ৪জিতে ৩জির সব সুবিধাই বিদ্দমান রয়েছে, শুধু আরো স্পীড বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়েছে, যাতে সহজেই যে কোনো বড় সাইজের ফাইল শেয়ার এবং একসাথে অনেকগুলো ডিভাইস কানেক্ট করা সম্ভব হয় । এর পরে ৪জিকে আরো দ্রুত করার জন্য এলটিই বা ‘লং টার্ম ইভোলিউশন’ প্রযুক্তি সামনে চলে আসে, যেটা ৪জি প্রযুক্তিকে আরো সমৃদ্ধ করেছে । ৪জি প্রযুক্তি মূলত আইপি ভিত্তিক এক ধরনের নেটওয়ার্ক । এখানে প্রত্যেক সেলের আলাদাআলাদা আইপি ও আইডেন্টিটি আছে, অনেকটা ব্রডব্যান্ড ব্যবহার করা পিসির মতো ।আগের প্রজন্মগুলো সার্কিট-সুইচড টেলিফোনি সমর্থন করলেও ৪জি তা করেনা ।এটি ইন্টারনেট প্রটোকল ভিত্তিক সকল সেবা যেমন আইপি টেলিফোনি সমর্থন করে ।ক্রমবর্ধমান আইপির অভাব থেকেই আইপি ভার্সন ৪-এর পর আইপি ভার্সন ৬ বা আইপিভি ৬-এর আবির্ভাব ঘটে । ফোরজি নেটওয়ার্কের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এটি আইপিভি ৬ সাপোর্ট ।

৪জি এর ব্যান্ডউইথ আগের যে কোনো প্রজন্মের চেয়ে বেশি হওয়ার ফলে ডাটা ট্রান্সমিশন এবং রিসিভ আগের যে কোনো প্রজন্মের প্রযুক্তির চাইতে ভালোভাবে ও আরো দ্রুতগতিতে করা সম্ভব । আমরা ফোনে বা ইন্টারনেটে কথা বলি, ছবি পাঠাই, ডেটা ট্রান্সফার (আপলোড/ডাউনলোড) করি, যা ৪জি অনেক বেশি দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করে, বিশেষ করে ভয়েস, ছবি, ভিডিও ইত্যাদি । অর্থ্যাৎ যে ভিডিওটি আপনি ১ ঘন্টায় পাঠাতেন ৪জি হলে সেটি ১-২ মিনিটে পাঠাতে পারবেন । ৪জি প্রযুক্তিতে গ্রাহক সর্বদাই মোবাইল অনলাইন ব্রডব্যান্ডের আওতায় থাকতে সমর্থ । সর্বোচ্চ গতির ডাটা ট্রান্সফারের সুবিধা থাকায় এতে হাই ডেফিনেশন টেলিভিশন এবং ভিডিও কনফারেন্সের সুবিধা পাওয়া যায় । এই প্রযুক্তিতে গ্রাহকের কথোপকথন ও ডাটা ট্রান্সফারের নিরাপত্তা অনেক বেশী শক্তিশালী । ৪জি নেটওয়ার্কে আরো যেসব সুবিধাগুলি পাওয়া যায় সেগুলোর মধ্যে মোবাইল ওয়েব সেবা, আইপি টেলিফোনি, গেমিং সেবা, হাই-ডেফিনিশন মোবাইল টিভি, ভিডিও কনফারেন্স, ত্রিমাত্রিক (থ্রি-ডি) টেলিভিশন এবং ক্লাউড কম্পিউটিং উল্লেখযোগ্য । যারা ইন্টারনেট বেসড কাজ কিংবা ব্যবসা করেন কিংবা ইন্টারনেটের মাধ্যমে কমিউনিকেট করেন তাদের সময় এবং অর্থ সাশ্রয় হয় এই প্রযুক্তিতে ।

৪জি কে নতুন প্রজন্মের নেটওয়ার্ক না বলে নতুন একটি নেটওয়ার্কের স্ট্যান্ডার্ড বলা যেতে পারে । এখানে আগের প্রজন্মের ব্যাকওয়ার্ড কম্প্যাটিবিলিটি পুরোপুরি বাতিল করা হয়েছে । অর্থাৎ ৪জি সাপোর্ট করে না এমন মোবাইল ফোন ৪জি নেটওয়ার্কে চলবে না । আর সেই সাথে এতে যুক্ত হয়েছে নতুন ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড। বাণিজ্যিকভাবে দুই ধরণের ফোরজি প্রযুক্তি স্থাপিত হয়েছে, মোবাইল ওয়াইম্যাক্স (২০০৬ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম) এবং ‘লং টার্ম ইভোলিউশন’ বা এলটিই (২০০৯ সালে নরওয়ের ওসলো এবং সুইডেনের স্টকহোমে প্রথম) । ৪জি প্রযুক্তি আসলে একক কোনও প্রযুক্তি নয় । তিনটি উপায়ে এই ৪জি বাস্তবায়ন করা হয়েছে, সেগুলো হলো এইচএসপিএ+ ২১/৪২, ওয়াইম্যাক্স এবং এলটিই । যদিও কিছু মানুষ এলটিইকেই শুধু চতুর্থ প্রজন্মের প্রযুক্তি বলে মনে করে থাকেন । আবার কেউ কেউ বলেন এদের কেউই চতুর্থ প্রজন্মের যে গতি থাকার কথা তা দিতে সক্ষম নয় । নেটওয়ার্কের মান নির্ধারক সংস্থা ‘আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন’ ফোর-জি নামকরণের একটা নির্দিষ্ট মাপকাঠি তৈরি করে দেবার প্রচেষ্টা করেছে ।২০০৮ সালের মার্চে  এই আন্তর্জাতিক সংস্থাটি ৪জি এর জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়বস্তুসমূহের একটি রূপরেখা প্রবর্তন করে । মোবাইল ওয়াইম্যাক্স এবং এলটিই-এর প্রথম অবমুক্তির পর থেকে যে সব পরিষেবা প্রতি সেকেন্ডে এক গিগাবাইটের কম গতি প্রদান করে, আইইউটি-আর এর নীতি অনুযায়ী সেগুলোকে ৪জি পরিষেবা বলা যাবে না । কিন্তু সার্ভিস প্রোভাইডার কোম্পানিগুলি সব সময় এটা মানে না । কম গতিসম্পন্ন পরিষেবাকেও অনেকে ৪জি বলে বাজারজাত করে থাকে । ২০১০ সালের অক্টোবর মাসে, আইটিইউ-আর ৪জি প্রযুক্তির দুটি স্ট্যান্ডার্ড অনুমোদন করে । এর একটি হচ্ছে এলটিই অ্যাডভান্সড এবং অপরটি হচ্ছে ওয়্যারলেসম্যান অ্যাডভান্সড ।

আশা করা যায় যে পরবর্তী প্রজন্মের নেটওয়ার্ক প্রযুক্তিগুলো পূর্ববর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তিগুলোর তুলনায় অধিক সস্তা এবং উন্নততর হবে । ৩জি, ৪জি এর পর এখন চলছে ৫জি নিয়ে ব্যাপক গবেষণা । যেখানে আরো বেশি ডিভাইসকে একত্রে কানেক্ট করানোর প্রশ্ন আসে এবং যেখানে প্রয়োজনীয়তা বাড়ে আরো বেশি ব্যান্ডউইথ ব্যবহারের, সেখানে অবশ্যই এমন কোন প্রযুক্তি প্রয়োজন যা আরো বেশি ব্যান্ডউইথ কন্ট্রোল করার ক্ষমতা রাখে । মূলত এই বিষয়ের উপর লক্ষ্য করেই ৫জি প্রযুক্তির যাত্রা শুরু । ওয়্যারলেস শিল্পে এখন ৫জি নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে । মোবাইল ফোন অপারেটর, স্মার্টফোন চিপ নির্মাতা, নেটওয়ার্ক যন্ত্রপাতি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ৫ জি বা পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি উন্নয়নে কাজ শুরু করেছে । বর্তমানের ৪জি প্রযুক্তির থেকে ৫জি তে ব্যান্ডউইথ স্পীড কয়েকগুন বেশি । সাধারনভাবে এই প্রযুক্তিতে ১-১০+ গিগাবাইট প্রতি সেকেন্ড স্পীড পাওয়া সম্ভব এবং সবচাইতে মজার ব্যাপার হচ্ছে এতে থাকবে মাত্র ১ মিলি সেকেন্ডের লেটেন্সি ।তাই বুঝতেই পারছেন, ৫জি প্রযুক্তি ব্যবহার করে কিভাবে অনেকটা নাটকীয় রূপে ইন্টারনেট স্পীড বৃদ্ধি পেয়ে যাবে । এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে সহজেই বড় সাইজের ভিডিও ডাউনলোড বা আপলোড করা সম্ভব হবে এবং যারা গেম খেলতে ভালোবাসেন তাদের জন্য যুগান্তকারী পরিবর্তন আসতে চলেছে । ৫জি প্রযুক্তিতে আরেকটি বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি ৯০% কম এনার্জি ব্যয় করে কাজ করবে । যারা ৩জি বা ৪জি তে সেলুলার ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তারা নিশ্চয় জানেন যে, ইন্টারনেট কানেক্ট হওয়ার পড়ে কতো দ্রুত চার্জ ফুরিয়ে যায় ।



- A word from our sponsors -

spot_img

Most Popular

আরও খবর...

Suvendu Adhikari: ‘জ্ঞানেশ্বরীর দায় নেবেন তো!’ ছত্রধর প্রসঙ্গে মমতা নিশানা শুভেন্দুর

ঝাড়গ্রামে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ছাত্রধর মাহাতো...

সোমবার পঞ্চম দফায় পশ্চিমবঙ্গের ৭টি-সহ ৪৯ কেন্দ্রে ভোট

ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফায় ভোট নেওয়া হবে সোমবার ২০...

- A word from our sponsors -

spot_img

সব খবর...

Suvendu Adhikari: ‘জ্ঞানেশ্বরীর দায় নেবেন তো!’ ছত্রধর প্রসঙ্গে মমতা নিশানা শুভেন্দুর

ঝাড়গ্রামে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ছাত্রধর মাহাতো তাঁকে জঙ্গলমহল চিনিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী সেই দাবির বিরোধিতা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, তিনি জঙ্গলমহল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিনিয়েছিলেন। পাশাপাশি তাঁর দাবি, যদি ছত্রধর মাহাতো ‘তাঁর লোক’ হয় তবে কিষাণজিও ‘তাঁর লোক’। তাই জানেশ্বরী হত্যাকাণ্ডের দায়ও...

সোমবার পঞ্চম দফায় পশ্চিমবঙ্গের ৭টি-সহ ৪৯ কেন্দ্রে ভোট

ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফায় ভোট নেওয়া হবে সোমবার ২০ মে। এ দিন ৬টি রাজ্য ও ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৪৯টি আসনে ভোট নেওয়া হবে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ৭টি কেন্দ্র রয়েছে। ভোট শুরু হবে সকাল ৭টা থেকে। চলবে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত। নির্বাচন কমিশনের হিসেবমতে ৬৯৫ জন প্রার্থীর...

পঞ্চম দফার ভোট শুরু আগেই বাজেয়াপ্ত ৮৮৮৯ কোটি টাকা! মাদক ও নগদ টাকা নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের

নয়াদিল্লি: সোমবার (২০ মে, ২০২৪) লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ। শুরু থেকেই নির্বাচনের সময় ভোটারদের আকৃষ্ট করতে অর্থশক্তির ব্যবহার বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ধারাবহিক পদক্ষেপে লোকসভা নির্বাচনের সময় অবৈধ অর্থ ও মাদক উদ্ধারের রেকর্ড করেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপে ৮৮৮৯ কোটি টাকা...

NIA in Purba Medinipur: ভোটের মধ্যে তৎপর কেন্দ্রীয় এজেন্সি, BJP কর্মী খুনের তদন্তে পূর্ব মেদিনীপুরে NIA

ভোটের মধ্যে তৎপর কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এর আগের দিন পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে দুই তৃণমূল নেতার বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। আর এবার বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুনের মামলায় তৎপর হল এনআইএ। আজ শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় পৌঁছন এনআইএ’র তদন্তকারী আধিকারিকরা। এই মামলায় আগেই এনআইএকে...

Srijan Bhattachariya: পাটুলিতে ক্যানসার আক্রান্ত সিপিএম কর্মীকে মারধর, প্রতিবাদে থানা ঘেরাও সৃজনের

ভোটের আগে যাদবপুর কেন্দ্রে এক সিপিএম কর্মীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে। আরও অভিযোগ, যে সিপিএম কর্মীকে মারধর করা হয়েছে তিনি ক্যানসার আক্রান্ত। এনিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। মারধরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ অবরোধের পাশাপাশি থানা ঘেরাও করে সিপিএম। তাতে...

Sayantika Banerjee: জয়ী হলে মেয়েদের জন্য ‘সম্পূর্ণা’ চালু করবেন, আর কী আশ্বাস তৃণমূলের সায়ন্তিকার

দেশজুড়ে চলছে লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যে চারটি দফার ভোট শেষ হয়েছে। এখনও তিনটি দফার ভোট বাকি রয়েছে। তবে লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই উপনির্বাচন হচ্ছে বাংলার দুটি বিধানসভা আসনে। একটি হল ভগবানগোলা এবং অন্যটি হল বরানগর। ভগবানগোলায় উপনির্বাচন হয়ে গেলেও বরানগরে উপনির্বাচন হবে ১ জুন। এই কেন্দ্রে...

DM bunglow seizure order: জমি অধিগ্রহণের পরেও মালিককে দাম মেটানো হয়নি, DM-র বাংলো বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ

আদালতের নির্দেশ ছিল জমি অধিগ্রহণের জন্য দাম মেটাতে হবে। কিন্তু, সেই নির্দেশ বারবার অমান্য করেছে জেলা প্রশাসন। সেই সংক্রান্ত মামলায় নজিরবিহীন নির্দেশ দিল পূর্ব বর্ধমানের জেলা ও দায়রা আদালত। অধিগ্রহণ হওয়া জমির দাম না মেটানোর জন্য পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসকের বাংলো বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ...

China-Russia relations: চীন-রাশিয়ার জোটে নাজেহাল যুক্তরাষ্ট্র, বিশ্বে মোড়লগিরির দিন শেষ

  China-Russia relations: যুক্তরাষ্ট্র যখন ইরানের চক্ষুশূল, মধ্যপ্রাচ্যে নিজের জায়গা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে, ঠিক তখন যুক্তরাষ্ট্রের সামনে হাজির আরো বড় বিপদ। একে অপরকে জড়িয়ে ধরছে রাশিয়া আর চীনের রাষ্ট্রপ্রধান। আর তাতেই যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে কালো মেঘ। বিষয়টাকে সামনাসামনি তাচ্ছিল্য করলেও, যুক্তরাষ্ট্র বুঝে গিয়েছে, ভূ রাজনীতিতে পিঠ থেকে যাচ্ছে...

Mampi Das: ‘পিসি-ভাইপোকে ছাড়ব না…হারিয়ে দেখাব,’ জেল থেকে বেরিয়েই বিস্ফোরক সন্দেশখালির মাম্পি

অবশেষে জেল থেকে মুক্তি পেলেন সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী পিয়ালি ওরফে মাম্পি দাস। আর জেল থেকে বেরিয়ে মাম্পি কী বলেন সেদিকে নজর ছিল অনেকেরই। আর দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে শনিবার মুক্তি পেয়েই তিনি বলেন, সত্যমেব জয়তে। এরপরই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে নিশানা করে একের পর তির ছুঁড়তে...

Israel–Hamas war: হামাস হারলে বিপদে তুরষ্ক, অপরাধ করেও ছাড় পেয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল?

  Israel–Hamas war: হামাস হারলে ইসরায়েলের নেক্সট টার্গেট তুরস্ক। আশঙ্কা এরদোয়ানের। গাজা হামলা নিয়ে নাকি ইসরায়েলের নামে মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে। যে অভিযোগ এসেছে তা নাকি সবটা ঠিক নয়। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের(আইসিজে) কাঠগোড়ায় ইসরায়েলের বয়ান শুনে হতবাক বিশ্ব। গত সাত মাস ধরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় বেসামরিক মানুষের...

Jyotipriyo Mallick: অন্তত এক-দেড় মাসের জন্য জামিন দিন, কাতর আবেদন জ্যোতিপ্রিয়র. কারণটাও জানালেন

জামিন পেতে একেবারে মরিয়া প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল তাকে। কিন্তু জামিন পাওয়ার জন্য তিনি বার বার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে খবর। শনিবারও ইডির বিশেষ আদালতে জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিকের আইনজীবী আবেদন করেন বাইরে তাঁর চিকিৎসা করাতে হবে। অন্তত ১ থেকে দেড়...

Mamata on Ramkrishna Mission: ভারত সেবা সংঘের মহারাজকে আক্রমণ মমতার, BJP-কে তোপ দেগে দুষলেন ১ রামকৃষ্ণ মিশনকেও

ভারত সেবা সংঘের মহারাজকে আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশনের বিরুদ্ধেও উষ্মাপ্রকাশ করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো। শনিবার আরামবাগের গোঘাটার জনসভা থেকে মমতা দাবি করেন, ভারত সেবা সংঘের যে মহারাজের কথা বলছেন, তিনি তৃণমূলের এজেন্টকে বসতে দেবেন না বলেছিলেন। সেই...