Homeমেঘের দেশে চন্দ্রোদয়

মেঘের দেশে চন্দ্রোদয়

পাখীমন রায়
একলা আকাশ ডাকছে আমায় -/ সময় হবে তোর ?/ অনেকদিন যে রাত জেগেছিস -/ দ্যাখা হয়নি ভোর, /অনেকদিন একটানা নাগরিক দৌড়ঝাঁপের পর মন উচাটন। পালাই পালাই মনটা পেল প্রেমিকের চিঠি-

সময় হলে আসিস কাছে/ ইচ্ছে ডানায় ভেসে /তুই ও যাবি আমি ও যাব/ মেঘ-পরীদের দেশে।

পাহাড়ের অন্য সব জায়গা যখন অশান্ত, বাঙালীর পূজার বেড়ানোর জায়গায় টান, তখন হাজির হলাম ছোটমাঙ্গয়া। বড়ামাঙ্গয়া নিয়ে অনেকদিন ধরেই ভ্রমণ সংক্রান্ত অনেক পত্র পত্রিকায় অনেক কিছু পড়েছি। কিন্তু আমাদের গন্তব্য নিয়ে সেরকম কোন খবর আমাদের হাতের কাছে ছিলনা। আমরা একদিন দার্জিলিং ঘুরে পরদিন যাব ঠিক ছিল। নিজেরা যাবার ব্যাবস্থা করার চাইতে প্রধান সাহেবকে ফোন করে যোগাযোগ করে রাখলে উনি গাড়ি পাঠাবেন বা গাড়ির ব্যাবস্থা করে দেবেন। কারন NGP বা শিলিগুড়ি বা দার্জিলিং এর সাধারন ভাড়া গাড়ি এই ধরনের অল্প চেনা জায়গায় সবসময় যেতে চায় না।

রাস্তা খুব খারাপ। বিশেষত বর্ষার পরে। পথে একবার গাড়ি বদল করতে হল। একটু বিরক্ত হলাম। তবে পরে বুঝলাম এটা local employment generation এরই অঙ্গ। অসুবিধা হবেনা কারন প্রধান সাহেবের নির্দেশ মত ড্রাইভার বা হেল্পাররা মালপত্র নামান ওঠানোতে সাহায্য করবে। ছোট ছোট পাহাড়ি গ্রামের ভিতর দিয়ে পথ। কখনো চড়াই কখনও উতরাই। ভালোই লাগবে। পথের ঝাঁকানি বা কষ্টের দিকে নজর দিতে হলে এইসব জায়গায় বেড়াতে না আসাই ভালো। যারা সত্যিই প্রকৃতি, নতুন মানুষ, অন্য জীবনযাত্রা দেখতে ভালো বাসেন, তারা এই পথে আসুন।


আমরা সবাই হাল্কা গরম জলে হাতমুখ ধুয়ে বাইরে চেয়ারে বসলাম গরম কফি আর ভেজ পকড়া নিয়ে। আকাশ আর পাহাড়ের কোল জুড়ে মেঘের মেলা, হাল্কা ঠাণ্ডা হাওয়া। দুপুরে খাবার পর হেঁটে বেরলাম গ্রাম দেখতে। সামনেই একটি ছোট চার্চ। লেখা আছেMangmaya Pastorate Church. সান্ধ্য আরাধনা চলছিল। একটু দাঁড়ালাম। আরাধনা শেষ হল। একগাদা কচিকাঁচা কলকল করতে করতে বেরিয়ে এল। আমরা ফাদারের অনুমতি নিয়ে ভিতরে ঢুকলাম। চারপাশের প্রকৃতির মতই নিরাভরন সাদামাটা চার্চ। ফাদারের সাথে গল্প করে অনেক কথা জানা গেল। সরকারি কাগজ অনুযায়ী এই জায়গার নাম মাঙ্গয়া। প্রধান সাহেবের brain child হল এই প্রকৃতি পর্যটন কেন্দ্র।এক সময় পৌঁছে গেলাম। একটা ছোট পাহাড়ের একেবারে উপর দিয়েই পথ। শুনতে অবাক লাগছে? আমরাও খুব অবাক হয়েছিলাম। এই কারনেই পথটি খুবই সরু। পাশাপাশি দুজন হাঁটা যায়না। অবশ্য এরকম রাস্তা খুবই অল্প। আগে পরে খুব প্রশস্ত না হলেও চওড়া রাস্তা আছে। প্রথমে প্রধান সাহেবের অফিসঘর। তারপর ডাইনিং হল। পাহাড়ের গায়ে ধাপ কেটে ছোট একটু ফুলের বাগান। তারপর গা লাগোয়া পরপর তিনটি ঘরের (কটেজ)একটি কমপ্লেক্স। পাহাড়ি পাখির নামে নাম। প্রতিটি সুন্দর সাজান। সামনে বেশ খানিকটা জায়গা পরিস্কার বাঁধানো, রেলিং দিয়ে ঘেরা। সুন্দর বসার চেয়ার দিয়ে সাজান। সামনে পিছনে যেদিকে চোখ ফেরাবেন সেদিকেই শুধু সবুজ সমুদ্র আর পাহাড়ের ছোট বড় ঢেউ। চারপাশে ফুল আর প্রজাপতির মেলার মাঝে আর একটি রঙিন প্রজাপতির মতই প্রায় উড়তে উড়তে এল চামেলি, প্রধান সাহেবের (পালিতা) কন্যা। মুহূর্তের ভিতর বহু কথা বলে জানিয়ে দিলো যে আমাদের যখন যা লাগবে, খাবারই হোক বা গরম জল, চামেলিকে আওয়াজ দিলেই চলে আসবে। আর কাঞ্চনজঙ্ঘা? ও আর বিশেষ কি! ও তো খাটে শুয়েই দেখা যায়। তাই? একটু ছদ্ম বিস্ময়ে আর মনে অবিশ্বাস নিয়ে আমরা মজা করলাম। বুদ্ধিমতী মেয়েটি বুঝে গেল। দুষ্টুমি করে আঙুল তুলে রেলিং পার করে সামনে দেখাল। ওই তো। আমরা এবার একটু অবাক হয়ে তাকালাম। কই? মেঘের পিছনে। বলেই ছুটে পালাল।


আমরা পায়ে পায়ে হাঁটা লাগালাম সেদিকে। প্রতিটি বাগান পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। স্থানীয় লোকেরাই দেখাশোনা করে। আখন অক্টোবর মাস। তাই কোন লেবুই পুরোপুরি পাকেনি। কিন্তু গাছ ভরা সবুজ পরিপুষ্ট লেবুতে বাগান ভরতি। বাচ্ছাদের খুব আনন্দ। নিচে ঝরে পরা অপুষ্ট লেবু কুড়িয়ে বেড়াচ্ছে। কেয়ারটেকার তাই দেখে ওদের লেবু পেড়ে দিতে যাচ্ছিল। আমরা বারন করলাম। ওদের ত কুড়ানোতেই আনন্দ। ওনার কাছেই জানা গেল নভেম্বর মাস থেকেই লেবু পাকতে শুরু করবে। আর তখন এলে ‘যত খুশি পারো পাড় আর খাও’। স্থানিয় লোকেরা এইসময় জ্যাম, জেলি, রস, মারমালেড, আচার ইত্যাদি তৈরি করে বিক্রি করে। ইচ্ছামত কিনতে পারেন। শুধু তাই ই নয়, আমরা কল্পনায় দেখছিলাম উজ্বল কমলা রঙের গাছ ভরা লেবু শুদ্ধ বাগানটিকে কেমন দেখতে লাগবে।প্রধান সাহেবের দুই মেমসাহেব, বড়ামাঙ্গয়া ও ছোটমাঙ্গয়া। গ্রামটিতে ১৪/১৫ টি পরিবারের বাস। জনসংখ্যা সাকুল্যে ৬০-৭০। প্রতি পরিবারই মোটামুটি পর্যটন এর সাথে যুক্ত। খাদ্য শস্যর চাষ হয়না। সবটাই নীচ থেকে আনতে হয়। এখানে আদা ও এলাচ চাষ হয়। গ্রামের লোক পাহাড়ের গায়ে ধাপ কেটে চাষ করে। নতুন প্রজন্মের সবাই সাক্ষর। বড়রা বাইরে পড়াশোনা করছে। এই পাহাড়ের পিছনে অপেক্ষাকৃত নিচু আর একটা গোটা পাহাড় জুড়ে ফল বাগিচা (Orchard).রীতিমতো Corporate Farmingএর কায়দায় চাষ। মুসাম্বি আর কমলালেবুর বিরাট বিরাট বাগান। সমতল থেকে ব্যাপারীরা এসে নিয়ে যায়।

সন্ধায় জমিয়ে ঠাণ্ডা ও সামান্য বৃষ্টি হল। চামেলিকে কষ্ট না দিয়ে আমরা ডাইনিং হলে খেতে গেলাম। মোটা হাত রুটি ও চিকেন কষা আর আলু চিপস খাওয়া হল। কোজাগরী পূর্ণিমার রাত। বাইরে ঘন অন্ধকার। আকাশ এখনও মেঘাবৃত। মনটা খারাপ হয়ে গেল।পাহাড় কোলে দামাল মেঘ / মেঘের বুকে জল -/ কোথায় কথায় কি হারালি / পাচ্ছিস না কি তল? রাতে টানা কাঁচের দরজা কাম জানালার পর্দা পুরো সরিয়ে দিয়ে কম্বল ঢাকা দিয়ে শুলাম।

কতক্ষন বাদে জানিনা, ঘুমটা ভেঙ্গে গেল। বাইরে তাকিয়ে দেখি রাতের অন্ধকার সরে গেছে। তাড়াতাড়ি শাল জড়িয়ে বাইরে এলাম। একই সাথে পাশের ঘর থেকে আমার বন্ধুও বেরিয়ে এসেছে। দুজনে রেলিঙে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলছি। জ্যোৎস্না রাত বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু চাঁদ দেখা যাচ্ছে না। একদিকের আকাশে ঘন কাল মেঘ চাদরের মত বিছিয়ে আছে। চামেলির আঙুল তোলা আকাশে তখন ক্ষীণ রেখায় পাহাড় চুড়া দৃশ্যমান। আমরা বলাবলি করছি, আহা! মেঘটা যদি একটু পরিষ্কার হত! আকাশ শুনতে পেল নাকি! কয়েক মিনিটের মধ্যে মুখের কথা মুখে থেকে গেল। দুজোড়া চোখের সামনে কালো মেঘের পর্দাটা পিছনে সরে গেল। আরপাহাড় চুড়োয় পূর্ণিমা চাঁদ/ ডাকল আমায় হেসে – / ও মেয়ে! তুই করছিস কি?/ বল না হেথায় এসে। খেলার বল গড়িয়ে আসার মতো বিরাট চাঁদ, সোনালি না রূপোলী না সাদা, কি জানি কি রঙ, বেরিয়ে এল হাসতে হাসতে কালো মেঘের চাদর সরিয়ে। আর সাথে সাথে সমগ্র চরাচর দুধ সাদা আলোর বন্যায় ভেসে যেতে লাগলো। আকাশের গায়ে এতক্ষণ ক্ষীণ রেখায় যে পাহাড়চূড়া দেখা দিচ্ছিল এবার সে স্বমহিমায় নিজের বিস্তৃতি মেলে ধরল। কাঞ্চনজঙ্ঘাকে এত বড় করে, এত কাছ থেকে, এত বিস্তৃত ভাবে আর কখনও দেখিনি। কাঞ্চনজঙ্ঘা তার আসেপাশে আরও ছোটোবড়ো চারটি চুড়া নিয়ে আকাশের বুকে! জ্যোৎস্নায় তুষার কিরীট উজ্বল রূপোর মতো ঝকঝক করছে। কোজাগরীর পূর্ণচন্দ্র তার বাঁদিকে মাথার উপর স্থির। ডেকে বলছে যেন, আশ মিটিয়ে দেখ। আমাদের আর কোথাও যাবার তাড়া নেই। দলের বাকি সদস্যদের ঘুম ভাঙ্গানো হল। বাইরে এসে সবাই মন্ত্রমুগ্ধ। আমরা শোনালাম কেমন করে চন্দ্রোদয় দেখেছি। সবার অভিযোগ কেন তখনি তাদের ডাকিনি। বললাম না যে হটাত হয়েছে, বলতে পারতাম, ডাকতে গেলে আমরা দেখতে পেতাম না। বললাম, এর জন্য প্রেম চাই। আমাদের মত। প্রেমের জন্য আরাম কে বলি দিয়ে রাত জাগতে হয়। তবে প্রেম ‘সুন্দর’এর রূপ নিয়ে সামনে এসে ধরা দেয়।

তারপর অনেক রাত পর্যন্ত দেখে সবাই শুতে গেলাম। ঘুম ভাল হলনা। কারন ঘরের কাঁচের জানলা জুড়ে রয়েছে যে সে। আবার ভোর হবার আগেই সবাই বাইরে। বন্ধু ক্যামেরা নিয়ে আর আমি আমার সঙ্গী দূরবীক্ষণটিকে নিয়ে। আকাশ রঙ বদলাতে শুরু করেছে। সূর্য উঠবে কটেজের পিছন দিকে। একটু একটু করে তুষার কিরীট রঙ বদলাচ্ছে। সাদা, হাল্কা কমলা, আস্তে আস্তে গাঢ় কমলা, লাল – বর্ণনাতীত। viewing glass এ চূড়ার প্রতিটা ভাঁজ ও যেন পরিস্কার দেখা যাচ্ছে। একটা সময় এমন এল যখন কটেজের বারান্দার বাঁ কোণের রেলিংএ দাঁড়ালে একসাথে সূর্য ও চাঁদ দেখা যাচ্ছে।

এরপর সারাদিন ধরে কাঞ্চনজঙ্ঘা একভাবে আমাদের সঙ্গ দিয়ে গেল। পরদিন ফেরার পালা। প্রধান সাহেব একটি করে ছোট উত্তরীয় পরিয়ে বিদায় জানাল। ফিরে চলা আবার রুটিনবদ্ধ জীবনে। আবার এখানে ফিরে আসব চাঁদনি রাতে কাঞ্চনজঙ্ঘার সাথে প্রেম করতে।

কাছাকাছি বেড়ানোঃ আসেপাশে অনেক জায়গা আছে কয়েক ঘণ্টায় যাওয়া যায়। মংপং ২১কিমি, পেডং ৩৬কিমি, ইত্যাদি।

যাওয়া – শিলিগুড়ি থেকে ৬১কিমি, নিজে গাড়ি ভাড়া করে বা রিসোর্ট মালিককে বলে।

বুকিং – net এ দেখতে পারেন। কোলকাতার অনেক ট্যুর কোম্পানি বুক করে। তবে সরাসরি প্রধান সাহেবের          সাথে যোগাযোগ করে বুক করলে অবশ্যই সুবিধা হবে।

ঠিকানা – M. K. Pradhan, Darjeeling Blossom Ecotourism Complex, Chhota & Bara Mangmaya Busty, P.O. Takling, Darjeeling, – 734312

Ph. No. : (M) 9800072639; 8972549897, 9332901041

Email: pradhan_mk18@yahoo.in

সময় – ঘোর বর্ষা বাদে সবসময়। তবে কাঞ্চনজঙ্ঘা ও গাছপাকা কমলালেবুকে একসাথে পেতে হলে নভেম্বর এর মাঝামাঝি থেকে ফেব্রুয়ারীর মাঝামাঝি হল উৎকৃষ্ট সময়। এসময় শীত বস্ত্র ভালই লাগবে।

বিশেষ অনুরোধ – কুমারী প্রকৃতির মর্যাদা রাখবেন। পানীয়ের বোতল, চিপসের প্যাকেট যত্রতত্র ছড়িয়ে আসবেননা। এগুলি নিয়ে যেতে যত জায়গা লেগেছিল ফিরিয়ে আনতে অত কষ্ট হবেনা বা জায়গাও বেশি নেবেনা। অভ্যাস করে ফেললে দেখবেন আমরা কত সহজে এই পাহাড়কে ক্রম বর্ধমান জঞ্জালের স্তুপ হওয়া থেকে বাঁচিয়ে ফেলেছি।

- A word from our sponsors -

spot_img

Most Popular

আরও খবর...

- A word from our sponsors -

spot_img

সব খবর...

NIA in Purba Medinipur: ভোটের মধ্যে তৎপর কেন্দ্রীয় এজেন্সি, BJP কর্মী খুনের তদন্তে পূর্ব মেদিনীপুরে NIA

ভোটের মধ্যে তৎপর কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এর আগের দিন পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে দুই তৃণমূল নেতার বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। আর এবার বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুনের মামলায় তৎপর হল এনআইএ। আজ শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় পৌঁছন এনআইএ’র তদন্তকারী আধিকারিকরা। এই মামলায় আগেই এনআইএকে...

Srijan Bhattachariya: পাটুলিতে ক্যানসার আক্রান্ত সিপিএম কর্মীকে মারধর, প্রতিবাদে থানা ঘেরাও সৃজনের

ভোটের আগে যাদবপুর কেন্দ্রে এক সিপিএম কর্মীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে। আরও অভিযোগ, যে সিপিএম কর্মীকে মারধর করা হয়েছে তিনি ক্যানসার আক্রান্ত। এনিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। মারধরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ অবরোধের পাশাপাশি থানা ঘেরাও করে সিপিএম। তাতে...

Sayantika Banerjee: জয়ী হলে মেয়েদের জন্য ‘সম্পূর্ণা’ চালু করবেন, আর কী আশ্বাস তৃণমূলের সায়ন্তিকার

দেশজুড়ে চলছে লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যে চারটি দফার ভোট শেষ হয়েছে। এখনও তিনটি দফার ভোট বাকি রয়েছে। তবে লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই উপনির্বাচন হচ্ছে বাংলার দুটি বিধানসভা আসনে। একটি হল ভগবানগোলা এবং অন্যটি হল বরানগর। ভগবানগোলায় উপনির্বাচন হয়ে গেলেও বরানগরে উপনির্বাচন হবে ১ জুন। এই কেন্দ্রে...

DM bunglow seizure order: জমি অধিগ্রহণের পরেও মালিককে দাম মেটানো হয়নি, DM-র বাংলো বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ

আদালতের নির্দেশ ছিল জমি অধিগ্রহণের জন্য দাম মেটাতে হবে। কিন্তু, সেই নির্দেশ বারবার অমান্য করেছে জেলা প্রশাসন। সেই সংক্রান্ত মামলায় নজিরবিহীন নির্দেশ দিল পূর্ব বর্ধমানের জেলা ও দায়রা আদালত। অধিগ্রহণ হওয়া জমির দাম না মেটানোর জন্য পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসকের বাংলো বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ...

China-Russia relations: চীন-রাশিয়ার জোটে নাজেহাল যুক্তরাষ্ট্র, বিশ্বে মোড়লগিরির দিন শেষ

  China-Russia relations: যুক্তরাষ্ট্র যখন ইরানের চক্ষুশূল, মধ্যপ্রাচ্যে নিজের জায়গা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে, ঠিক তখন যুক্তরাষ্ট্রের সামনে হাজির আরো বড় বিপদ। একে অপরকে জড়িয়ে ধরছে রাশিয়া আর চীনের রাষ্ট্রপ্রধান। আর তাতেই যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে কালো মেঘ। বিষয়টাকে সামনাসামনি তাচ্ছিল্য করলেও, যুক্তরাষ্ট্র বুঝে গিয়েছে, ভূ রাজনীতিতে পিঠ থেকে যাচ্ছে...

Mampi Das: ‘পিসি-ভাইপোকে ছাড়ব না…হারিয়ে দেখাব,’ জেল থেকে বেরিয়েই বিস্ফোরক সন্দেশখালির মাম্পি

অবশেষে জেল থেকে মুক্তি পেলেন সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী পিয়ালি ওরফে মাম্পি দাস। আর জেল থেকে বেরিয়ে মাম্পি কী বলেন সেদিকে নজর ছিল অনেকেরই। আর দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে শনিবার মুক্তি পেয়েই তিনি বলেন, সত্যমেব জয়তে। এরপরই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে নিশানা করে একের পর তির ছুঁড়তে...

Israel–Hamas war: হামাস হারলে বিপদে তুরষ্ক, অপরাধ করেও ছাড় পেয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল?

  Israel–Hamas war: হামাস হারলে ইসরায়েলের নেক্সট টার্গেট তুরস্ক। আশঙ্কা এরদোয়ানের। গাজা হামলা নিয়ে নাকি ইসরায়েলের নামে মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে। যে অভিযোগ এসেছে তা নাকি সবটা ঠিক নয়। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের(আইসিজে) কাঠগোড়ায় ইসরায়েলের বয়ান শুনে হতবাক বিশ্ব। গত সাত মাস ধরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় বেসামরিক মানুষের...

Jyotipriyo Mallick: অন্তত এক-দেড় মাসের জন্য জামিন দিন, কাতর আবেদন জ্যোতিপ্রিয়র. কারণটাও জানালেন

জামিন পেতে একেবারে মরিয়া প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল তাকে। কিন্তু জামিন পাওয়ার জন্য তিনি বার বার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে খবর। শনিবারও ইডির বিশেষ আদালতে জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিকের আইনজীবী আবেদন করেন বাইরে তাঁর চিকিৎসা করাতে হবে। অন্তত ১ থেকে দেড়...

Mamata on Ramkrishna Mission: ভারত সেবা সংঘের মহারাজকে আক্রমণ মমতার, BJP-কে তোপ দেগে দুষলেন ১ রামকৃষ্ণ মিশনকেও

ভারত সেবা সংঘের মহারাজকে আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশনের বিরুদ্ধেও উষ্মাপ্রকাশ করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো। শনিবার আরামবাগের গোঘাটার জনসভা থেকে মমতা দাবি করেন, ভারত সেবা সংঘের যে মহারাজের কথা বলছেন, তিনি তৃণমূলের এজেন্টকে বসতে দেবেন না বলেছিলেন। সেই...

কেএমডিএ–হিডকো’‌কে শোকজ করল পরিবেশ আদালত, চাপ বাড়ল রাজ্য সরকারের

পঞ্চম দফার ভোটের প্রস্তুতির মধ্যেই এবার তাল কাটল। কারণ আগামী ২০ মে বাংলায় পঞ্চম দফার নির্বাচন রয়েছে। ওইদিনে বনগাঁ, ব্যারাকপুর, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, হুগলি, শ্রীরামপুর এবং আরামবাগে ভোটগ্রহণ হবে। এই আবহে আবার পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়ে জরিমানা ও শাস্তির মুখে পড়ল রাজ্য সরকারের অধীনস্থ দুটি সংস্থা।...

Bus accident in Uttar Dinajpur:সাতসকালে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা! জাতীয় সড়কে উলটে গেল সরকারি ভলভো, মৃত ২, আহত ২০

সাতসকালে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা! জাতীয় সড়কে উলটে গেল শিলিগুড়িগামী সরকারি ভলভো বাস। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২ যাত্রীর। এছাড়াও, জখম হয়েছেন ১৫ থেকে ২০ জন। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়া থানার মনোরা এলাকায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে...

হরিয়ানার নুহতে পুণ্যার্থী ভর্তি বাসে আগুন, ৯ জনের মৃত্যু, আহত ২০-র বেশি

চণ্ডীগঢ়: কুণ্ডলী-মানেসার-পালওয়াল এক্সপ্রেসওয়েতে নুহ জেলার ধুলাভাত গ্রামের কাছে একটি চলন্ত বাসে আগুন লেগে মৃত্যু আটজনের। জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। তাঁরা ঘটনাস্থলেই মারা যান, এ ছাড়াও হাসপাতালে একজন মারা যান। বাসে থাকা ৬০ জনের মধ্যে কুড়ি জনেরও বেশি পুণ্যার্থী দগ্ধ হয়েছেন। যাঁদের মধ্যে অনেক শিশু...