শীতের এই মরশুমে ঠান্ডা উপেক্ষা করে বিভিন্ন রাস্তা ও হাইওয়ের ধারে কৃষকরা যে ভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন, তাতে আরও দু-দিন অপেক্ষা না করে, ১ ডিসেম্বর, মঙ্গলবারই কৃষক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে চান নরেন্দ্র সিং তোমর। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী সোমবার সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলবার বেলা ৩টেয় বৈঠকে বসার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এর আগে যে কৃষক নেতাদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেছিলেন, তাঁদেরই বিনরেন্দ্র সিং তোমর এদিন বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কৃষি আইন নিয়ে শুরু থেকেই কৃষকদের মধ্যে কিছু ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে। ১৪ অক্টোবর ও ১৩ নভেম্বর কৃষক নেতাদের সঙ্গে তিনি দু’দফায় বৈঠকও করেন। তখন কৃষক নেতাদের কাছে তিনি আর্জি জানিয়েছিলেন, কোনওরকম বিক্ষোভ-আন্দোলনে না যেতে। সরকার প্রয়োজনে এ বিষয়ে আরও কথা বলতে রাজি আছে।’
কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীর সেই আর্জি উপেক্ষা করেই দিল্লি সীমানায় কৃষকরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। পঞ্জাব ও হরিয়ানার পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানের কৃষকরাও এই আন্দোলনে শরিক হয়েছেন। ১৪৪ ধারা জারি করে, জলকামান ছুড়ে, ব্যারিকেড বসিয়ে নানা ভাবে আন্দোলন ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেও দিল্লি ও হরিয়ানা পুলিশ ব্যর্থ হয়।
কৃষকদের অনড় মনোভাবের সামনে শেষ পর্যন্ত সিঙ্ঘু বর্ডার (হরিয়ানা-দিল্লি সীমানা)-এর সামনে বুরারি ময়দানে অবস্থানের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বৈঠকের জন্য শর্ত চাপানোয় কৃষক নেতারা বেঁকে বসেন। অমিত শাহের আর্জি খারিজ করে, চোখে চোখ রেখে আন্দোলনের ডাক দেন কৃষকরা। বুরারি ময়দানে না ঢুকে জাতীয় সড়কের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন। কৃষক নেতারা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, অমিত শাহের শর্ত মেনে তাঁরা কোনও স্টেডিয়ামে (বুরারি ময়দান) যাবেন না। বরং দিল্লি সীমানায় রাজপথেই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।জ্ঞান ভবনে তিনি আসতে বলেছেন।