রহুল গান্ধীর দ্বিতীয় দফার ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে কংগ্রেস। প্রথম দফায় রাজ্যে পা রাখেনি রাহুল। দ্বিতীয় দফার উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় যাচ্ছে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা। লোকসভা ভোটের আগে এই ভারত জোড়ো যাত্রাকে অক্সিজেন বলে মনে করছে বঙ্গ কংগ্রেস। তাই একে স্বাগত জানাতে কোন খামতি রাখতে চাইছে না দল।
ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার জন্য প্রদেশ কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতাদের নিয়ে ১৩ টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিগুলি বিভিন্ন জায়গায় স্বাগত জানাবে যাত্রাকে এবং ওই সব এলাকায় বিভিন্ন জমায়েতও সংগঠিত করবে কমিটি।
এই সব জমায়েতে সঙ্গে বিভিন্ন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের বৈঠক করবেন রাহুল গান্ধী। মত বিনিময় করবেন তাঁদের সঙ্গে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী চাইছেন বাংলায় ঢোকার পর যাতে চোখে পড়ার মতো জমায়েত হয়। কংগ্রেস সূত্রে খবর, উত্তর দিনাজপুর, মালদা, মুর্শিদাবাদের কংগ্রেস নেতা বড় জনসভা করবেন। এছাড়া আরও অন্য কোথাও সমাবেশ করেন কিনা তা জানা যায়নি। তবে সূত্রের খবর,আরও একটি জায়গায় সভা করার পরিকল্পনা রয়েছে কংগ্রেসের।
১৩ সদস্যের যে কমিটি তৈরি করা হয়েছে তাতে থাকছেন, মোহিত সেনগুপ্ত, শঙ্কর মালাকার, ইশা খান চৌধুরী, বিনয় তামাং, আব্দুস সাত্তারের মতো নেতা। এছা়া মুর্শিদাবাদে রাহুলের জনসভার দায়িত্বে থাকবেন অধীর চৌধুরী।
জানা গিয়েছে রাজ্যে রাহুলের পদযাত্রা ঢোকার পর সমাজের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে দেখা করবেন রাহুল। উত্তরবঙ্গের ক্রীড়াবিদের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। এই কর্মসূচি সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার জন্য দায়িত্বে আছেন প্রাক্তন বিধায়ক সুখবিলাস বর্মার নেতৃত্বে একটি কমিটি।
এছাড়া নাগরিক সমাজের সঙ্গে রাহুল কোথায় কোথায় বসবেন, তা কেসি বেণুগোপালের উপস্থিতিতে প্রদেশ নেতৃত্বের বৈঠকে ঠিক হবে। সেই কর্মসূচির বাস্তবায়ন দায়িত্বে সুখবিলাসের নেতৃত্বাধীন কমিটি।
রাহুলের সঙ্গে কংগ্রেসের একাধিক সর্বভারতীয় নেতা থাকবেন। এঁদের থাকার বন্দোবস্ত করতে বিধায়ক মুস্তাক আলমের নেতৃত্বে ‘অ্যাকোমডেশন কমিটি’ তৈরি হয়েছে। রাহুল গান্ধী নিজে ক্যারাভ্যানে থাকছেন। কিন্তু জয়রাম রমেশ, বেণুগোপাল-সহ সর্বভারতীয় যে নেতারা তাঁর সঙ্গে আছেন, তাঁরা কোথায় থাকবেন তার বন্দোবস্ত করবে এই কমিটিই করবে।
এছাড়া নেপাল মাহাতোর নেতৃত্বে তৈরি হয়েছে ‘ফুড কমিটি’, সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য মিল্টন রশিদের নেতৃত্বে ‘প্রেস কমিটি’। এ ছাড়াও হেলথ, ডেলিগেশন ওয়েলকাম, ট্রান্সপোর্ট, কালচারাল এবং সোশ্যাল মিডিয়া কমিটি তৈরি হয়েছে। সার্বিক ভাবে দেখাশুনোর দায়িত্বে থাকবেন মনোজ চক্রবর্তী, অসিত মিত্রের মতো প্রবীণ নেতারা।
এই যাত্রাকে কেন্দ্র করে উৎসাহের ঢল নেমেছে প্রদেশে কংগ্রেস। লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্মীদের মনোবল বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে এই ভারত জোড়ো যাত্রা। তেমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।