সিএএ নিয়ে এমনিতেই নানা বিতর্ক ছড়িয়েছে। তার মধ্যে নতুন বিতর্ক তুলে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তাঁর দাবি, মতুয়া কার্ড করলেই নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে। আর সেই মতুয়া কার্ড নেওয়ার জন্য ভিড় বেড়েছে ঠাকুর বাড়িতে। সদস্য চাঁদা দিয়ে অনেকেই কার্ড করাচ্ছেন। অনেকে আবার পুরনো কার্ড রিনিউ করাচ্ছেন।
অন্য দিকে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সংঙ্ঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুর অভিযোগ, এইসব বলে মানুষকে বিভ্রাম্ত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘মতুয়া কার্ড থাকলেই যে নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এ ব্যাপারে কি কিছু বলেছে? শান্তুনু ঠাকুর মানুষকে ভাওতা দিচ্ছেন। আসলে কার্ড তৈরি করে নিজেদের আয় বাড়াচ্ছেন। ’
আরও পড়ুন। অনুপ্রবেশ নিয়ে রাজ্যেকে তোপ শাহের, ‘ব্যর্থ বিএসএফ’, পাল্টা কটাক্ষ তৃণমূলের
যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ জাহাজ প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মতুয়া কার্ড বৃদ্ধি আমাদের লক্ষ্য নয় । আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলছি, আমার মতুয়া ভাই বোনেদের কোনও নথি লাগবে না।’ কারও যদি নথি না থাকে সেক্ষেত্রে কী করতে হবে তাও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। শান্তনু ঠাকুর বলেন, ‘কারও যদি কোনও নথি না থাকে তবে সেক্ষেত্রে সেলফ ডিক্লারেশন দিতে হবে। আমি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে বলছি আপনারা মতুয়া কার্ড করুন। এই কার্ড থাকেলে আপনি সংগঠনের একজন সদস্য। আপনার নাগরিকত্ব কেউ আটকাতে পারবে না।’
সিএএ বিজ্ঞপ্তি ঘোষণা হওয়া পর উৎসবের মেজাজ চোখে পড়ে ঠাকুর বাড়ি। ডঙ্কা, করতাল, খোল নিয়ে তাঁরা হরিনাম ধ্বনি থাকেন। অবীর খেলাও হয়। তার পর থেকে মতুয়া কার্ড করার ভিড় বেড়েছে। যদিও মমতাবালা ঠাকুর প্রথম থেকে এর বিরোধিতা করে আসছেন।
আরও পড়ুন। এনআরসি-র আগে ফিরিয়ে নেওয়া হবে সিএএ-র? জানালেন শাহ, ‘বাংলায় বিজেপি আসছে’, হুঁশিয়ারি মমতাকে
বৃহস্পতিবারই সিএএ নিয়ে একটি সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই আইনে কারও নাগরিকত্ব যাবে না। তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করেন, সিএএ নিয়ে বিভ্রন্তি না ছড়ানোর জন্য। যদিও তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছে, নাগরিকত্ব জন্য আবেদন করা মানেই তো মেনে নেওয়া যে তিনি দেশের নাগরিক নন।
অন্যদিকে এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ থাকলে আইনে মুসলিমরা থাকবে না কেন। মায়ানমার থেকে বহু মুসলমানকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচার সহ্য করতে হচ্ছে।