চাকরি চুরির দায়ে সোমবারই মুর্শিদাবাদের ৪ ভুয়ো শিক্ষককে জেলে পাঠিয়েছে আদালত। সঙ্গে এদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করায় চরম ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে সিবিআই। তার পরদিনই বাঁকুড়ার ৭ জন ভুয়ো শিক্ষককে তদন্তকারী সংস্থা তলব করেছে বলে খবর এল। সোমবারই এদের হাজিরা দিতে বলে জেলায় পৌঁছেছিল চিঠি। বুধবার তাদের নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে বলেছেন তদন্তকারীরা।
বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সূত্র জানা গিয়েছে, জেলার বিভিন্ন স্কুলে চাকরি করেন এই ৭ জন শিক্ষক। তাদের চাকরি সংক্রান্ত ও শিক্ষাগত যোগ্যতার যাবতীয় নথি নিয়ে বুধবার হাজিরা দিতে বলেছে CBI.
টাকা দিয়ে চাকরি কেনার দায়ে সোমবার মুর্শিদাবাদের ৪ ভুয়ো শিক্ষককে জেলে পাঠিয়েছে আদালত। ২১ অগাস্ট পর্যন্ত জেলে থাকতে হবে তাঁদের। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই ভুয়ো শিক্ষকদের সাক্ষী করে সিবিআই। কিন্তু আদালত তা মানতে অস্বীকার করে। আদালতের প্রশ্ন ছিল, ঘুষ দেওয়া ও ঘুষ নেওয়া সমান অপরাধ। তাই যারা চাকরি পাওয়ার জন্য টাকা দিয়েছেন তাদেরও গ্রেফতার করতে হবে CBI-কে। নির্দেশ না মানায় সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিককে শো – কজও করেছিল আদালত। কিন্তু কোনও ওষুধেই কাজ না হওয়ায় সোমবার ৪ চাকরি চোরকে আদালতে ডেকে পাঠান বিচারক অর্পন চট্টোপাধ্যায়। এর পর তাঁদের গ্রেফতারির নির্দেশ দেন বিচারক।