[ad_1]
চারখোল
কালিম্পং-র কাছে চারখোল। তবে এর উচ্চতা কালিম্পং থেকে অনেকটা উঁচুতে। একেবারে অফবিট জায়গা এটি। সকলে কালিম্পং এবং তার আশপাশের কাছাকিছি জায়গা ঘুরে চলে যান। কিন্তু চারখোল অনেকটা উঁচুতে হওয়ায় অনেকেই সেখানে যান না। সেকারণে পর্যটকদের ভিড় এখানে খুব বেশি নেই। ফাঁকায় ফাঁকায় ঘুরে নেওয়া যায়। একেবারে প্রকৃতির শুদ্ধ বাতাসে কিছুদিন শ্বাস নিয়ে আসতে পারবেন।
১৮০ ডিগ্রিতে কাঞ্চনজঙ্ঘা
দার্জিলিং থেকে কেবল মাত্র কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়া আর একটু অংশ দেখা যায়। কিন্তু চারখোল থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার একেবারে ১৮০ ডিগ্রি ভিউ পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে রয়েছে ফুলের বাহার। চারখোল এলে মনে হবে যেন ফুলের রাজ্যে পৌঁছে গিয়েছেন। চারখোল যাওয়ার পথটিও অসম্ভব সুন্দর। কালিম্পং থেকে চারখোল পৌঁছতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা সময় লাগে।
মোহময়ী চারখোল
পাহাড়ের উপরে চারখোল যেন মোহময়ী। অদ্ভুত সুন্দর এই জায়গাটি। কালিম্পংয়ের থেকে উঁচুতে হওয়ার কারণে চারখোলে ঠান্ডা বেশি থাকে। খুব বেশি ঘরবাড়ি নেই হোমস্টের সংখ্যাও কম। প্রতিটি হোমস্টের সঙ্গে সুন্দর সুন্দর বাগান রয়েছে। সেখানে রকমারি অর্কিড, পাহাড়ি ফুল দেখতে পাবেন। চারখোলে নিরিবিলিতে সপ্তাহান্তের ছুটি কাটিয়ে যেতে পারলে মন ভাল হয়ে যাবে।
মায়াবি রাতের দৃশ্য
চারখোলের রাতের সৌন্দর্য আরও মায়াবী। রাতের অন্ধকারের মধ্যে দূরের পাহাড় যেন নক্ষত্র ক্ষচিত আকাশ বলে মনে হয়। কালিম্পং শহর জ্বলজ্বল করতে থাকে। তখনও আরও সুন্দরলাগে দেখতে। হোমস্টের বাগানে বার্বিকিউ খেতে খেতে উপভোগ করুন সেই মোহময়ী দৃশ্য। তার সঙ্গে দিনের বেলা মেঘ পাহাড়ের খেলা দেখতে দেখতে কখন বেলা গড়িয়ে যাবে বুঝতেও পারবেন না।