করোনা পরিস্থিতিতে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া ঠিক হবে কি না, তা নিয়ে মতভেদ তৈরি হয়েছিল আগেই। ঝুঁকি এড়িয়ে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব কি না। কীভাবে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে, এসব দিক খতিয়ে দেখতে গঠন করা হয়েছিল ৩ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি। দফায় দফায় বৈঠকের পর কমিটির তিনসদস্য একটি রিপোর্ট তৈরি করেন। সেখানে পরীক্ষা নেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ বলেই জানান তাঁরা। পাশাপাশি চলতি বছরে পরীক্ষা বাতিলেরও সুপারিশ করেন। এরপর মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক হবে কি না সেবিষয়ে রাজ্যবাসীর মত জানতে চায় সরকার। শিক্ষা দপ্তরের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। সেখানে ৩ টি মেল আইডি দেওয়া হয়। বলা হয়, বর্তমান পরিস্থিতিতে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক হওয়া উচিত কি না, মেল করে তা জানাতে পারবে আমজনতা। সোমবার দুপুর ২ টোয় শেষ হয়েছে সময়।
সেই মতামতের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বললেন, ‘‘৩৪ হাজার ই-মেল পেয়েছে রাজ্য সরকার। সেই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক বাতিল করা হল। ৭ দিনের মধ্যে জানানো হবে, কী ভাবে মূল্যায়ন হবে। মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিকের সঙ্গে সিবিএসই ও আইসিএসই ও আইএসসি-এর সঙ্গে মিলিয়ে যেন পরীক্ষা নেওয়া হয় হয়। পড়ুয়াদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।’’ জনমতকে গুরুত্ব দিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বললেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানালেন, ‘‘বিশেষজ্ঞ কমিটির পরামর্শ, এ বছর পরীক্ষা না করার দিকেই। ৮৩ শতাংশ মানুষ পরীক্ষা না নেওয়ার পক্ষে। ই-মেলে সাধারণ মানুষ মতামত জানিয়েছেন।’’