বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছিল তার পূর্বাভাস শনিবারই দিয়েছিল হাওয়া অফিস। রাতেই সে জানান দিল উপস্থিতি। রবিবার রাতে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত ভিজল বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিতে। সোমবার সকালে মেঘলা আকাশ। বৃষ্টি না হলেও দেখা নেই রোদের। তার ফলে তীব্র গরম থেকে কিছুটা রেহাই পেয়েছেন বঙ্গবাসী। তবে ঘূর্ণিঝড় ‘যশে’র আতঙ্কে কাঁটা রাজ্যের প্রত্যেকেই। ফের একবছর আগে ঘটে যাওয়া আমফানের স্মৃতিকে চাঙ্গা করে তুলবে না তো ঘূর্ণিঝড় সেই প্রশ্ন মনের কোণে উঁকি দিচ্ছে সকলের।
কলকাতায় এর প্রভাব পড়তে শুরু করবে মঙ্গলবার সকাল থেকে। বুধবার সকাল থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। রবিবার আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে দুই রাজ্যের উপকূলে ২ থেকে ৪ মিটার পর্যন্ত জলচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর দুই রাজ্যে মোট ৪৬টি টিম মোতায়েন করেছে। নৌকা, গাছ কাটার যন্ত্র, টেলিকম সহ একাধিক যন্ত্রপাতি নিয়ে তৈরি তারা। পশ্চিমবঙ্গ, ওডিশা ছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু ও পণ্ডিচেরী উপকূলেও সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর । রবিবার আরও ১৩টি টিম এয়ারলিফ্ট করে রাজ্য়গুলিতে আনা হয়েছে। পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে প্রস্তুত রয়েছে সেনা ।