বাংলা স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবির জগতে ‘সাবালকত্বের’ অপর নাম ‘নষ্ট দীঘির পদ্ম’। সম্প্রতি কলকাতায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রদর্শিত হল ৮ মিনিট ২০ সেকেন্ডের এই চলচ্চিত্র যা ২২ শে সেপ্টেম্বর ‘ইউটিউব’-এ স্বল্প প্রকাশ পাওয়ার আগেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। ‘জলসা এন্টারটেনমেন্ট এণ্ড ফাইন আর্টস’ প্রযোজিত এই চলচ্চিত্র মূলতঃ এক মহিলা শিল্পীর জীবনকাহিনী।
রূপালী পর্দার নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে গ্রাম থেকে একদিন শহরে আসে পদ্ম।
ভেতরে প্রতিভা থাকলেও সেই প্রতিভার দাম না পেয়ে নিজের ‘দেহসমর্পনের’ ইঙ্গিতে সাড়া দিলেই ছবিতে পাওয়া যাবে ‘লিড রোল’।এই ভ্রান্ত ধারনার খপ্পরে পড়েই দিনের পর দিন অডিশনের নামে ‘পদ্ম’-র ওপর চলতে থাকে দৈহিক শোষণ। মাত্রাতিরিক্ত ‘যৌন অত্যাচার’-এর ফলস্বরুপ রক্তাক্ত ও হয় ‘পদ্ম’। হতে থাকে সামান্য রোজগার যা পদ্ম পাঠাতো তার গ্রামের বাড়িতে। মনের ভেতরে সযত্নে লালন করত একটা ব্রেক পাওয়ার স্বপ্ন।
‘নষ্ট দীঘির পদ্ম’-র পরিচালনার দায়িত্বে আছেন অর্জুন ভট্টাচার্য । তিনি জানান, “ইউটিউবে সর্ট ফিল্মটা রিলিজ হওয়ার পর থেকেই একটা মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছি। কেউ বলেছেন, তুমি বাস্তবটাকে একেবারে উলঙ্গ করে প্রকাশ করে দিয়েছো, তো কেউ বলেছেন এভাবে না করলেই ভালো হতো।”
ছবির প্রধান চরিত্র তথা নায়িকা টুম্পা নায়েক জানান, “ছবিটা করতে পেরে ভালোই লাগছে।”