মরসুমের প্রথম ইলিশ ধরা পড়েছিল ১৪ জুলাই। ডায়মন্ড হারবারে বেশ কয়েক টন ইলিশ ওঠায় আশা জেগে ছিল মৎসজীবীদের মনে। আগস্টের প্রথমে ভাল মাছ ওঠার আশা করেছিলেন তারা। কিন্তু সেই শেষ। এখনও পর্যন্ত দেখা সেভাবে দেখা মেলেনি ইলিশের।
জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে ইলিশ উঠেছিল আমাবস্যার ভরা কোটালে। ১ আগস্ট ছিল পূর্ণিমার কোটাল। মৎসজীবীদের দাবি অনুযায়ী আমাবস্যার চেয়ে বা পূর্ণিমার কোটালে দ্বিগুণ ইলিশ ওঠে। তাই তাঁরা আশা করেছিলেন এবার ভাল ইলিশ ধরা পড়বে জালে। কিন্তু হতাশ হতে হয়েছে তাঁদের।
মৎসজীবী ও মৎসব্যবসায়ীদের মতে আবহাওয়াই বাধ সেধেছে। মৎসজীবী সংগঠনের দাবি, গভীর নিম্নচাপের জেরে উত্তাল হয়েছে হয়েছে সমুদ্র। ফলে সুন্দরবনের কাকদ্বীপ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, সাগর ও রায়দিঘি এলাকার মৎস্যজীবীদের কেউ মাছ ধরতে যেতে পারেননি।
সেই রেশ কাঠিয়ে হপ্তাখানেক আগে সমুদ্রে জাল ফেলা হয়। কিন্তু সমুদ্র উত্তাল হওয়ায় পমফ্রেট, ভোলা, ম্যাকারেল-সহ বিভিন্ন মাছ উঠলেও সেভাবে জালে ধরা পড়েনি ইলিশ। ফলে লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছে মৎসজীবী ও ট্রলার মালিকদের।
কাকদ্বীপ ফিশারমেন্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি সাংবাদমাধ্যকে বলেন,’খারাপ আবহাওয়ার জন্য সমুদ্রে যেতে পারেননি মৎসজীবীরা। সেই ধাক্কা কাটিয়ে সপ্তাহ খানেক আগে সমুদ্রে গেলেও অন্যান্য মাছ উঠলেও ইলিশের দেখা সেভাবে মেলেনি। ফলে দুশ্চিন্তায় পড়ছেন ট্রলার মালিকরা।’
(পড়তে পারেন। বড় সিদ্ধান্ত KMC-র! গুরুত্বপূর্ণ ক্রসিংয়ে ৫০ ফুটের মধ্যে হকার বসতে অনুমতি নয়)
মালিকদের মতে সমুদ্রে ট্রলার নিয়ে যাওয়ার খরচও অনেকটাই বেড়েছে। প্রত্যেক ট্রিপে জ্বালানি তেল, বরফ, মৎসজীবীদের খাবার নিয়ে খরচ পড়ে এক লক্ষ টাকার বেশি। তার উপর ডিজেলের দামও বেড়েছে। বর্ষার মরসুমে ইলিশ বেশি ধরা পড়লে ট্রলার মালিক এবং মৎসজীবীদের বাকি আট মাসের রোজগার হয়ে যায়। কিন্তু এবার হতাশই হতে হয়েছে মৎসজীবী ও ট্রলার মালিকদের।
সমুদ্রবিজ্ঞানীদের মতে, বৃষ্টিতে সমুদ্রের নোনা ভাব না-কাটলে ইলিশের ঝাঁক উপরের দিকে ওঠে না। ফলে বেশি ইলিশ পাওয়ার জন্য মৎসজীবীদের আরও বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করতে হবে।