‘বিচার পাবেনই’ কারণ মুখ্যমন্ত্রী নিজে বিষয়টি দেখছেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত ছাত্রর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে এমনই আশ্বাস দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বুধবার নদিয়ার বাগুল মৃত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যায় তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল। যে প্রতিনিধি দলে ছিলেন, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা, সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার এবং যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। মৃত ছাত্রের বাবা-মার সঙ্গে কথা বলে শিক্ষামন্ত্রী তাঁদের এই আশ্বাস দেন।
প্রতিনিধি দলকে মৃতের মা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘যাদবপুরে ছেলে পড়তে চাইত। খালি বলত, ওখানে ভর্তি করাবে তো মা?’ সায়নী ঘোষ তাঁকে জড়িয়ে ধরে সান্তুনা দেন। সেই সময় ব্রাত্য বসু বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী নিজে বিষয়টি দেখছেন। দোষীরা কেউ ছাড় পাবে না।’ একই সঙ্গে তাঁদের ছোটছেলের পড়াশুনোর ব্যাপারে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেন শিক্ষামন্ত্রী।
(পড়তে পারেন। ‘গেট ছেড়ে আমাদের যেতে বারণ করা হয়েছিল’, বিস্ফোরক যাদবপুরের নিরাপত্তারক্ষী)
গত বুধবার গভীর রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের এ-২ ব্লকের নীচ থেকে নগ্ন ও অচৈতন্য অবস্থায় পাওয়া যায় বাংলা অনার্সের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রকে। বৃহস্পতিবার তাঁর মৃত্যু হয়। এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ হিসাবে র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে বর্তমান প্রাক্তনী মিলিয়ে নজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এবং ডিন অফ স্টুডেন্টকে তলব করা হয়েছে লালবাজারে।
(পড়তে পারেন। রেজিস্ট্রার এবং ডিন অফ স্টুডেন্টসকে লালবাজারে তলব, যাদবপুর কাণ্ডে নয়া মোড়)
সংবাদমাধ্যমের কাছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের নিরাপত্তারক্ষীও চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘সেদিন রাতে যখন খাচ্ছিলাম, কিছু ছেলে এসে বলে, গেটটা খুলে দিন। একটা বাচ্চা পড়ে গিয়েছে। তড়িঘড়ি আমি গিয়ে গেট খুলে দিলাম। তখন দেখলাম সেখানে জড়ো হয়েছে প্রচুর ছাত্র। হুড়োহুড়ি করছে। তারা এসে বলে, নজর রাখুন, বাইরে থেকে কেউ যেন ভিতরে ঢুকতে না পারে। গেট ছেড়ে যাবেন না।’