উচ্চশিক্ষার লক্ষ্যে দুই চোখে স্বপ্ন নিয়ে ছেলেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়েছিলেন বাবা-মা। কিন্তু, সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় তরুণের। সেই ঘটনা নিয়ে এখন তোলপাড় শুরু হয়েছে। শিক্ষামহল থেকে শুরু করে রাজনীতিতে এই নিয়ে তোলপাড় চলছে। ইতিমধ্যেই আন্দোলনে নেমেছে বহু ছাত্র সংগঠন। এবার এই ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় অভিযান করলেন নদিয়ার বগুলার বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: কেন হস্টেলে সিসিটিভি ছিল না? যাদবপুর কাণ্ডে হাইকোর্টে মামলা দায়ের তৃণমূল নেতার
আজ বুধবার এই ঘটনার প্রতিবাদে সকালে বগুলা স্টেশন থেকে শিয়ালদাগামী ট্রেনে চড়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রওনা দেন বগুলার বাসিন্দারা। সেখানে গিয়ে তাঁরা প্রতিবাদ মিছিল করেন। ওই ছাত্রের মৃত্যুর প্রতিবাদে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ক্যাম্পাসে ছাত্রদের উপর র্যাগিংয়ের প্রতিবাদ জানিয়ে এবং মৃত্যুর ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে যাদবপুর অভিযান করেন বগুলাবাসী। তাঁদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন, ব্যানার। এইসব নিয়ে বগুলা স্টেশন থেকে শিয়ালদহগামী ট্রেনে রওনা দেন বগুলার ছাত্র ছাত্রী, যুবক-যুবতী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। তাঁদের দাবি একটাই, অবিলম্বে কলেজ ক্যাম্পাসে র্যাগিং বন্ধ করতে হবে। এই দাবি তুলেই বগুলা থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় অভিযান করেন বগুলাবাসী।
এক বিক্ষোভকারী জানান, ‘আমাদের বগুলার ছেলে অনেক স্বপ্ন নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়েছিল। কিন্তু, তিনদিনের মধ্যেই তাকে তিন তলা থেকে ফেলে দেওয়া হল। রাগিংয়ের মতো একটি অসামাজিক এবং বর্বর ঘটনার শিকার হতে হল ওকে। আমরা এই ঘটনা ন্যায়বিচার চাই। যারা ওর মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত, যারা অপরাধী, তাদের উপযুক্ত শাস্তি চাই। আমাদের দাবি হল প্রতিটা ক্যাম্পাসে র্যাগিংয়ের মতো বর্বর প্রথা বন্ধ করতে হবে। এই দাবিতেই আমরা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় অভিযান করছি।’
অন্যদিকে, ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় একের পর বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন আন্দোলন শুরু করেছে। যাদবপুরের পড়ুয়ারা আন্দোলনে নেমেছেন। তাঁদের দাবি, এই ঘটনায় জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। এদিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ইতিমধ্যেই নয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কারা জড়িত, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।