ইডি দাবি করেছে, রেশন দুর্নীতির টাকাকে বৈধ করার জন্য ভুয়ো কোম্পানি খোলা হয়েছিল। তেমনই কোম্পানির ডিরেক্টর ছিলেন এই দুর্নীতি কাণ্ডে ইডি হেফাজতে থাকা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কন্যা প্রিয়দর্শিনী মল্লিক। তাই তিনিও রয়েছেন ইডির রেডারে। সেই সূত্রেই কোম্পানির ডিরেক্টর প্রসঙ্গে মুখ খুললেন প্রিয়দর্শিনী।
এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি কোনও সংস্থার ডিরেক্টর ছিলাম না একথা বলব না। কিন্তু আমার বাবা কেউকেটা বলে আমাকে যদি চেপে ধরা হয় তবে এই তদন্ত অন্তহীন হবে। এক সময় আমি কোম্পানির ডিরেক্টর ছিলাম। কিন্তু সেই কোম্পানি আমার হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। আমার কোনও আর্থিক লাভ হয়নি। যারা শেষ অবধি ছিলেন তাঁরাই এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারবেন।’
ইডির দাবি, ভুয়ো সংস্থায় রেশন দুর্নীতির আট কোটি টাকা নগদে জমা পড়ে। সেই প্রশ্নে আশুতোষ কলেজের মাইক্রোবায়োলজির অধ্যাপিকা প্রিয়দর্শিনী বলেন, ‘আমার সময় সেই টাকা জমা পড়েনি। আমার আগে যিনি কোম্পানির ডিরেক্টর ছিলেন, তাঁর সময় এই টাকা জমে পড়েছে। কোনও কোম্পানি ভুয়ো বলে শুরু হয় না। কেউ যেচে ভুয়ো কোম্পানির ডিরেক্টর হয় না। একাধিক ব্যবসায় জন্য এই কোম্পানি খোলা হয়েছিল। কোম্পানির ভবিষ্যত তখনও অজানা। কোম্পানির কার্যক্রম আমার কাছে পরিষ্কার ছিল বলে আমি যোগ দিয়েছিলাম।’ প্রশ্ন হল, আগে যিনি ছিলেন, তিনি কে? কার দিকে ইঙ্গিত করলেন প্রিয়দর্শিনী? এই নিয়ে আর কিছু খোলসা করেননি তিনি।
(পড়তে পারেন। নদিয়া, বনগাঁ থেকে কলকাতা, রেশন দুর্নীতির তদন্তে চালকল-আটাকলে হানা ইডির)
বনমন্ত্রীর কন্যার অ্যাকাউন্টে তিন কোটি টাকা নগদ জমা পড়েছিল বলে দাবি করেছে তদন্তকারী সংস্থা। এই টাকা কোথা থেকে এল? প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। প্রিয়দর্শিনী যেহেতু কলেজে পড়ান। তাই টিউশন পড়িয়ে তিনি আয় করতেই পারেন। বিরোধীরা বলছে, পড়িয়ে তিন কোটি আয় করা কঠিন। তবে কোথা থেকে এল এই টাকা? এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় কন্যা।
তিনি বলেন, ‘কোন এইট পাশ লোক এই কথা বলেছে আমি জানি না। আমি আবাক! আমার কৃষি জমি, সম্পত্তি থেকে আয় হয়। কখনও বেশ আসে কখনও আবার আসে না। সেটাকেই বেআইনি হিসাবে দেখাতে চাইছে। আমার সব হিসাব রয়েছে। আমি আয়করও দিয়েছি। সেকারণে আমি বিচলিত নই।’