একটা সময়ে গণেশের দুধ খাওয়া নিয়ে নানা কথা রটেছিল বাংলাজুড়ে। এবার মুর্শিদাবাদের কালীমন্দিরের সাবমার্শিবল পাম্প থেকে দুধ বের হচ্ছে বলে রটে গিয়েছে। কিন্তু পাম্প থেকে তো জল বের হওয়ার কথা। সেখান থেকে দুধ বের হচ্ছে কীভাবে? তা নিয়ে নানা জল্পনা ছড়িয়েছে। স্থানীয়দের একাংশের বিশ্বাস মন্দিরের পাম্প থেকে শনিবার রাতে আচমকাই দুধ বের হতে শুরু করে। কিন্তু জল না বেরিয়ে সেখান থেকে দুধ বের হল কীভাবে? এই প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করছেন অনেকেই।
সাগরদিঘির পাটকেলডাঙা এলাকার বাসন্তী বুড়িতলা মায়ের মন্দিরেই এই জলের বদলে দুধ বের হচ্ছে বলে খবর। স্থানীয় সূত্রে খবর, দীপাবলির মেলার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই মেলা উপলক্ষ্য়ে খাওয়া দাওয়ার আয়োজনও করা হয়। সেখানে প্রচুর ভক্ত খিচুড়ি খেতে আসেন। তখনও কিছু বোঝা যায়নি। এরপর বাসন বাজার সময় দেখা যায় কল থেকে সাদা তরলজাতীয় বের হচ্ছে। এরপরেই অবাক হয়ে যান ভক্তরা। এসব কী মায়েরই আশীর্বাদ?
এদিকে স্থানীয়দের একাংশের দাবি ওই তরল চেখেও দেখেছেন তাঁরা। সেটা নাকি দুধের মতোই। কিন্তু কল থেকে জলের বদলে দুধ এল কোথা থেকে?
তবে বিজ্ঞানমঞ্চের সদস্যদের দাবি, এর মধ্য়ে অলৌকিক কোনও ব্যাপার নেই। গোটাটার পেছনেই বিজ্ঞানের ব্যাপার রয়েছে। মাটির নীচে এমন যৌগ রয়েছে যেগুলি একে অপরের সঙ্গে মিশে সাদা তরল বের হতে পারে। এই জলের নমুনা পরীক্ষা করলেই আসল কথাটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। এনিয়ে যাতে কোনও অন্ধবিশ্বাস না থাকে সেব্যাপারে অনুরোধ করেছেন বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যরা।
তবে তারপরেও ভক্তদের মন থেকে অবশ্য অন্ধ বিশ্বাস দূর হচ্ছে না। অনেকের মতে এর পেছনে হয় মায়ের কৃপা রয়েছে। নয়তো দেবী রুষ্ট হয়ে যাওয়ায় এই কাণ্ড হয়েছে। তবে বিজ্ঞান মঞ্চের দাবি, এর সঙ্গে অলৌকিক কোনও ব্যাপার নেই। পুরোটাই বিজ্ঞানের ব্যাাপার। তবে জলের নমুনা পরীক্ষা করা দরকার।