[ad_1]
সম্প্রতি লালু প্রসাদ এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ‘জমির বদলে চাকরি’ দেওয়ার অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। আর এবার রেশন দুর্নীতি কাণ্ডেও ‘জমি বদলে চাল’ দেওয়ার অভিযোগ উঠল। বাংলার রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ইতিমধ্যেই মিলেছে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির ‘যোগ’। এরই মাঝে ইডি দাবি করল, চালকলের মালিকের থেকে কমিশন বাবদ জমি লিখিয়ে নিতেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এদিকে সেই সম্পত্তি নিজের নামে নেননি মন্ত্রী। দানপত্র হিসেবে সেই জমি নাকি লিখিয়ে নেওয়া হয়েছিল বালুর বাড়ির পরিচারকের নামে। এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নাকি ইডির হাতে তথ্যপ্রমাণ এসেছে। (আরও প়ড়ুন: এবার রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে উদ্ধার টাকার পাহাড়, নোটের চোরাবালিতে ফাঁসবেন বালু?)
জানা গিয়েছে, যে চালকলের মালিকের থেকে জ্যোতিপ্রিয় কমিশন বাবদ জমি লিখিয়ে নিয়েছিলেন, সেই ব্যক্তির বয়ান নথিভুক্ত করেছে ইডি। সেই লেনদেন সংক্রান্ত নথিও নাকি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। জানা গিয়েছে, এর আগে বাকিবুরকে যে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল এবং তাঁর শ্যালকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে যে নথি উদ্ধার হয়েছিল, তার ভিত্তিতে প্রশ্নমালা তৈরি করে জেরা করা হচ্ছে বালুকে। আর মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও যে সব তথ্য সামনে আসছে, তার ভিত্তিতে আরও অনেক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। এই আবহে গত শনিবারই উলুবেড়িয়া, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনার একাধিক চালকল, আটাকলে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। সেদিনই অঙ্কিতের অফিসে হানা দেয় ইডি। এই সংস্থার মালিক অঙ্কিত চন্দ্র জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে। আবার হিতেশ নামক এক ব্যক্তির বাড়িতেও তল্লাশি চালায় ইডি। জানা গিয়েছে, ২০০৪ সালের পশু খাদ্য কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়েছিল এই হিতেশের আত্মীয় দীপেশ।
আরও পড়ুন: ‘একটা ব্যক্তিগত সমস্যা…’, রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে নয়া মন্তব্য মমতার, ইঙ্গিত কোন দিকে?
এদিকে ইডি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, সল্টলেকের একটি বাড়িতে জ্যোতিপ্রিয় ও বাকিবুরের বৈঠক হত। ইডির তথ্য অনুযায়ী, বৈঠক হওয়া বাড়িটা একজন প্রোমোটারের। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কনভয় সেখানে আসত। ওখানে বাকিবুর রহমানের সঙ্গে বৈঠক চলত। খাদ্য ভবন থেকে বেরিয়ে কনভয় করে ওই বাড়িতেই আসতেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। গোটা বাড়িতেই ছিল সিসিটিভি। ইডি আরও দাবি করেছে, ২০১১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত রাজ্যের ১২ হাজারেরও বেশি ডিলার, ডিস্ট্রিবিউটর, রেশন দোকানের মালিকের নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছিল। এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এই এক দশকে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ ইডির। আর তদন্তকারীরা বলছেন, এই গোটা নেটওয়ার্কের মাস্টারমাইন্ড নাকি মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নিজেই। ইডির বক্তব্য, যে পরিমাণের দুর্নীতি হয়েছে, তা খাদ্য দফতরের মদত ছাড়া করা অসম্ভব।