কলকাতা: যে কোনও বড় ম্যাচ মানেই এখন নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম। বিশ্বকাপেও যে বড় ম্যাচ সব আহমেদাবাদেই হবে, তা যেন আগে থেকেই আন্দাজ করা গিয়েছিল।
ক্রিকেট সমাজ এখন দুই ভাগে বিভক্ত। একদল বলছে, বিশ্বের সব থেকে বড় স্টেডিয়াম। আধুনিক সব রকম ব্যবস্থা রয়েছে আহফাইনামেদাবাদের স্টেডিয়ামে। তাই সেখানে বড় ম্যাচ আয়োজিত হলে সমস্যা কোথায়!
আরেক দল বলছে, আসলে ব্যাপারটা রাজনৈতিক। তাই সমস্ত বড় ম্যাচই পাচ্ছে আহমেদাবাদ। না হলে দেশে তো ক্রিকেট স্টেডিয়ামের অভাব নেই! তা ছাড়া কিছুদিন আগে আইপিএল ফাইনালের সময় আহমেদাবাদ স্টেডিয়ামের অসহায় দিক সবার সামনে এসেছে।
আরও পড়ুন- বিশ্বকাপের টিকিট পাবেন কোথা থেকে? কেমন দাম রাখা হচ্ছে? রইল বিস্তারিত তথ্য
বৃষ্টির কারণে আইপিএল ফাইনাল নির্ধারিত দিনে আয়োজন করা যায়নি। ম্যাচ হয়েছিল নির্ধারিত দিনের পরের দিন। নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম পুরোপুরি শুকনো করে তুলতে অনেকটা সময় লেগে যায়। অনেকে প্রশ্ন তোলেন, তা হলে আর অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে লাভ কী হল!
এরই মাঝে জানা গেল, বিশ্বকাপের ভারত-পাক, ফাইনাল ম্যাচ হবে আহমেদাবাদে। তার পর থেকেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি সুর চড়াতে শুরু করেছে। তাঁদের দাবি, কেন ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়াম একটাও ম্যাচ পেল না! কেন মোহালি একটাও ম্যাচ পেল না!
দুটি সেমিফাইনাল হবে কলকাতা ও মুম্বইয়ে। বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, দিল্লি, ধরমশালা, হায়দরাবাদ, লখনউ ও পুণেতে হবে ম্যাচ। তবে মোহালি ও ইন্দোরে কোনও ম্যাচ হবে না। ২০১১ বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হয়েছিল মোহালিতে। এবার সেখানে কোনও ম্যাচ হবে না। বিশ্বকাপের ম্যাচ হবে না তিরুবনন্তপুরমেও।
আরও পড়ুন- বিশ্বকাপে বাংলাদেশ সমর্থন পাবে কলকাতায়! আশা রাখেন তামিম ইকবাল
বিরোধীরা বলছে, মোদি জমানায় ক্রিকেটের রাজধানী হয়ে উঠেছে আহমেদাবাদ।
Tags: 2023 world cup