● নিউজিল্যান্ড :-
২১২/৪
(মুনরো ৭২)
● ভারত:-
২০৮/৬
( শঙ্কর ৪৩)
সেডান পার্কে টস জিতে ভারত অধিনায়ক রোহিতের বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত এদিন বুমেরাং হয়ে দেখা দেয়। ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২১২ রান করে কিউয়িরা ৷ সিরিজের শেষ ম্যাচ জিততে রোহিতদের টার্গেট ছিল ২১৩ রান৷
মুনরো- সেফার্ট জুটির ব্যাটিং শুরুতেই ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিল ভারতকে। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৮০ রান৷ সেডন পার্কে ৪০ বলে ৭২ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন মুনরো৷ সেফার্ট করেন ৪৩রান৷ উইলিয়ামসন ২৭, গ্র্যান্ডহোম ৩০ রান করে কিউয়িদের ২০০ রানের গন্ডি পার করে ফেলে। ভারতের হয়ে কুলদীপ ২ উইকেট নেন।
রান তাড়া করতে নেমে প্রথমেই ধাওয়ানের (৫) উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে রোহিতরা। এরপর শঙ্কর এবং রোহিতের জুটি ভারতকে টানতে থাকে। ৪৩ রানে আউট হন শঙ্কর। পান্থ এসে ইস সোধির এক ওভারে পরপর কয়েকটি ওভার বাউন্ডারি মারলেও ২৮ রানেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। এরপর ভারত পরপর রোহিত (৩৮),পান্ডিয়া (২০),ধোনি(২) এর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত। এদিন ও ভারতের দরকারের সময় ফের একবার ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ হলেন ‘শ্লথ’ হয়ে যাওয়া ধোনি।এরপর দীনেশ কার্তিকের ঝোড়ো ব্যাটিং ভারতকে ম্যাচে ফেরায়। শেষ ৩ ওভারে ভারতের দরকার ছিল ৪৮। ক্রুনাল পান্ডিয়া ১৭তম ওভারের শুরুতেই সাউদিকে ৬,৪,৪ মেরে ভারতকে লড়াইয়ে অনেকটাই এগিয়ে দেন টি-২০ ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান তাড়া করার দিকে। শেষ ওভারে ভারতের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৬ রান। নিদাহাস ট্রফিয স্মৃতি উস্কে দিয়ে স্ট্রাইকে ছিলেন দীনেশ কার্তিক। শেষ ওভারে সাউদির দুরন্ত বোলিং এবং কার্তিকের ‘ব্রেনফেড’এ ভারত ২০৮ এই থেমে যায়। ৪ রানে ম্যাচ জিতে ২-১ ফলে টি-২০ সিরিজ পকেটস্থ করল উইলিয়ামসনরা।