∆ মোহনবাগান: ১
(পাপা দিওয়ারা)
∆ আইজল এফসি: ০
আজ জিতলেই লিগ জয় নিশ্চিত ছিল। সমস্ত প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল ম্যারিনার্স সাপোর্টাররা। একটা সময় মনে হয়েছিল আজও মনে হয় হল না। কারন ম্যাচের তখন আর বাকি মাত্র ১৫ মিনিট। বারবার আইজল ডিফেন্সে আক্রমন উঠে আসলেও ফাইনাল থার্ডকে ভাঙতে পারছিলনা পাপা দিওয়ারারা। চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য হয়তো রবিবার ফিরতি ডার্বির জন্য অপেক্ষা করতে হবে এমন মনে হচ্ছিল। কিন্তু সব আশঙ্কা গঙ্গার জলে বিসর্জন দিয়ে দ্বিতীয়ার্ধের ৮০ মিনিটের মাথায় এল সেই মুহূর্ত।
বেইতিয়ার ডিফেন্স চেরা পাস থেকে পাপার শট আইজলের গোলে ঢুকতেই উচ্ছ্বাসে ভেঙে পড়ল কল্যাণী স্টেডিয়াম। বেইতিয়ার আউট সাইড স্টেপে দেয়া পাস থেকে হঠাৎ নেয়া গোলার মতন শটে পরাস্ত হন আইজলের গোলরক্ষক।২০১৫ সালে বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে আই লিগ জয়ের ঠিক পাঁচ বছর পর ফের আই লিগে চ্যাম্পিয়ন হল মোহনবাগান। আইজল এফসিকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফের ঢুকল ট্রফি মোহন তাঁবুতে। বসন্তে কল্যানী তথা আই লিগের রং ফের হল সবুজ-মেরুন।
প্রসঙ্গত এইনিয়ে দ্বিতীয়বার আই লিগ ঘরে তুলল মোহনবাগান। এর আগে তিনবার জাতীয় লিগ জিতেছে সবুজ-মেরুন শিবির। সবমিলিয়ে পঞ্চমবার ভারতসেরার শিরোপা পেল তারা। এই নিয়ে টানা ১৪ টি ম্যাচ অপরাজিত থাকল বাগান। আর তিনটি ম্যাচ অপরাজিত থাকলে তারা আই লিগের রেকর্ড স্পর্শ করবে তারা। ৫ বার আই লিগ জিতে ডেম্পোর ৫টি লিগ জয়ের রেকর্ড স্পর্শ করল বাগান। প্রসঙ্গত ডেম্পো এক মরসুমে সবচেয়ে বেশি ব্যবধানে পয়েন্টের ভিত্তিতে (১১ পয়েন্টে) লিগ জিতেছিল। মোহনবাগান এখন অব্দি ১৬ পয়েন্টে এগিয়ে। শেষ ৪ ম্যাচে বিরাট কোন অঘটন না ঘটলে মোহনবাগান সেই রেকর্ড ও ভাঙতে পারে। মোহনবাগান আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাওয়াতে ডার্বির রঙ কিছুটা হলেও ফিকে হল। এদিন খেলা শেষের বাজি বাজতেই উচ্ছ্বাসে ভাসেন মোহনবাগান ফুটবলাররা। মাঠে ঢুকে উচ্ছ্বাস দেখান কর্তারাও।