দক্ষিণ দিনাজপুর: বাবা বালুরঘাটের পরিচিত ডেকোরেটর ব্যবসায়ী। তবে ছেলে সেই রাস্তায় হাঁটেনি। নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করার জন্য সমসিন্ধু দত্ত বেছে নিয়েছে যোগব্যায়ামকে। এর মধ্যে দিয়ে। জেলা, রাজ্যস্তর পেরিয়ে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাতেও সে উজ্জ্বল করেছে শহরের মুখ। তাকে দেখে বালুরঘাটের বহু অল্পবয়সী ছেলে-মেয়ে যোগব্যায়ামে আকৃষ্ট হচ্ছে। সেই সমসিন্ধু আবার উজ্জ্বল করল শহর তথা জেলার মুখ।
প্রায় ১০ বছর ধরে যোগাসনের সঙ্গে যুক্ত সমসিন্ধু। এই প্রসঙ্গে তার বক্তব্য, যোগাসন করলে শরীর সুস্থ থাকার পাশাপাশি মন ভালো থাকে। ২০২৩ সালে পূর্ব মেদিনীপুরে ইউনিভার্সাল যোগা স্পোর্টস ফেডারেশনেরের স্টেট সিলেকশনে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করে। পাশাপাশি অষ্টম স্থান অধিকার করে ওড়িশাতে। ব্যাঙ্ককে এশিয়া স্পেসিফিক খেলার সুযোগ পায়। আন্তর্জাতিক যোগা অলিম্পিক গেমস প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। সারা পৃথিবীর প্রতিযোগীদের মধ্যে ৩৭ তম স্থান দখল করে তাক লাগাল বালুরঘাটের খুদে যোগা প্রতিযোগী সমসিন্ধু দত্ত।
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মীদের একাংশের সঙ্গে অসাধু ব্যবসায়ীদের আঁতাতে জলাশয় বদলে যাচ্ছে বাস্তুতে! বলরামপুরে প্রোমোটার চক্রের দাপট
এই কৃতি কিশোর বালুরঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। মালয়েশিয়া, ব্রিটেন, নেপাল সহ ১৭ টি দেশের একাধিক প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে তার এই সাফল্য মুগ্ধ করেছে যোগা বিশেষজ্ঞদের। সমগ্র বিশ্বের সহস্রাধিক যোগা প্রতিযোগীদের নিয়ে অনলাইন প্লাটফর্মে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছিল। বিশ্বের ১৯৮ টি দেশের ৩৭০০ জন প্রতিযোগী এই যোগা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। তারা অনলাইনেই যোগার ওপর তাদের দক্ষতার ভিডিও কমিটির কাছে পাঠায়। সেখানে বালুরঘাট শহরের খাদিমপুর রবীন্দ্রনগর এলাকার দশম শ্রেণির সমসিন্ধু দত্ত অভাবনীয় ফল করে।
এই বিষয়ে তার বাবা সোমনাথ দত্ত জানান, সমসিন্ধু যোগাসনকে জীবনের একটা অঙ্গ হিসেবে তুলে ধরেছে। প্রতিনিয়ত সে প্রাক্টিসের মধ্যে থাকে। এদিকে তার এই সাফল্যের জন্য মা-বাবার পাশাপাশি যোগা প্রশিক্ষকদেরও কৃতিত্ব দিচ্ছে সমসিন্ধু।
সুস্মিতা গোস্বামী