মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে প্রাণে উত্তরবঙ্গকে ঘৃণা করেন। এমনই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে বিজেপির জলপাইগুড়ি সাংগঠনিক জেলার সমাবেশে এই মন্তব্য করেন তিনি। শুভেন্দুর দাবি, উত্তরবঙ্গকে বঞ্চনা ছাড়া আর কিছু দেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘উত্তরবঙ্গকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে প্রাণে ঘৃণা করেন। উত্তরবঙ্গকে বঞ্চিত করেন। তিনি রাজবংশীদেরকে নিজের পায়ের সঙ্গে তুলনা করেছেন। গাজোলের দলীয় সমাবেশ থেকে মতুয়াদের আরাধ্য গুরুচাঁদ ঠাকুরকে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।’
এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘মালদা থেকে আলিপুরদুয়ার, একটা নিউরো সার্জেন নেই। চিকিৎসার ক্ষেত্রে অবহেলিত। হাজার হাজার ছেলে পরিযায়ী শ্রমিক। উত্তরবঙ্গের কোনও উন্নয়ন এই চোর মমতার সরকার করেনি’।
এর পরই তৃণমূলের সংহতি মিছিলকে আক্রমণ করে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘আপনারা জানেন, গোটা দেশে ভারতীয় জনতা পার্টির সব রাজ্যে সরকার নেই। ভিন্ন ভিন্ন দলের সরকার আছে। বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন আছে। খ্রীস্টানদের সংগঠন আছে। কেউ কিন্তু রাম মন্দিরের বিরোধিতা করেননি। একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি ২২ তারিখে ছুটি দেওয়া তো দূরের কথা তিনি ওই দিন সংহতি মিছিলের নামে পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু বিরোধী পদযাত্রা করতে চান’।
এদিন শুভেন্দু অধিকারীর সভায় মমতা মন্ত্রিসভার প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। সেই জল্পনা আগেই খারিজ করেছিলেন শুভেন্দু। এদিন মঞ্চ থেকে পরেশ অধিকারীর উদ্দেশে তীব্র আক্রমণ শানান শুভেন্দু অধিকারী। পরেশবাবুর পরিবারের ৩৫ জন সদস্য সরকারি চাকরি করেন বলে দাবি করে বলেন, এটাই চোর তৃণমূলের মডেল।