স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা পেতে এবার থেকে হাসপাতালের আগে যেতে হবে থানায়। এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে বিজেপির জলপাইগুড়ি সাংগঠনিক জেলার এক সভায় এই দাবি করেন তিনি। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকে ‘পচা কার্ড’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি।
এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার সুযোগ নিয়েছে সব রাজ্য। কেন পশ্চিমবঙ্গের মানুষ সেই সুবিধা পাচ্ছে না? দেশের ১২ কোটি পরিবারের ৭ কোটি মানুষ আয়ুষ্মান ভারতের কার্ড পেয়েছেন। ৫ কোটি মানুষ এই চিকিৎসার সুযোগ পেয়েছেন। এখানে কী বলে মিথ্যাবাদী, চোর মমতা? বলে, স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড দিয়েছি। এই কার্ড জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়িতে নার্সিংহোমে নিয়ে গেলে সুবিধা পান? ওই কার্ডে ডেলিভারি অপারেশন করা যায় না। ওই কার্ডে ইন্টারনাল কোনও অপারেশন কার যায় না। মাঝখানে ২১এর ভোটের আগে বলেছিল, আমি তোমাদের ভেলোরেও স্বাস্থ্যসাথী চালু করে দেব। তিন মাস চালু করে CMC ভেলোর বন্ধ করে দিয়েছে। এইমস, বেঙ্গালোরের দেবী শেঠি, টাটা ক্যান্সার হাসপাতাল, হায়দরাবাদের রেড্ডি হাসপাতাল, শংকর নেত্রালয়, সিএমসি ভেলোর, গুয়াহাটি এইমস, কেউ এই পঁচা কার্ডটা নেয় না। এই পঁচা কার্ডে অর্থপেডিক পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছিল’।
এর পরই শুভেন্দুবাবু দাবি করেন, ‘সামনে ভোট আসছে। হাওয়া বড় খারাপ। তৃণমূলকে দেখলেই লোক চোর চোর বলছে। তাই একটা সার্কুলার বেরিয়েছে। যে অর্থোপেডিক এবার স্বাস্থ্যসাথীতে করা হবে। কিন্তু কী করা হবে? ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আপনাকে থানায় ডায়েরি করতে হবে। যে আপনি বাথরুমে পড়ে গিয়েছেন বা সিঁড়িতে পড়ে গিয়েছেন। নইলে এই কাজের সুযোগ পাওয়া যাবে না’।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে উত্তরবঙ্গ বিরোধী বলে দাবি করে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘উত্তরবঙ্গকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে প্রাণে ঘৃণা করেন। উত্তরবঙ্গকে বঞ্চিত করেন। তিনি রাজবংশীদেরকে নিজের পায়ের সঙ্গে তুলনা করেছেন। গাজোলের দলীয় সমাবেশ থেকে মতুয়াদের আরাধ্য গুরুচাঁদ ঠাকুরকে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।’
এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘মালদা থেকে আলিপুরদুয়ার, একটা নিউরো সার্জেন নেই। চিকিৎসার ক্ষেত্রে অবহেলিত। হাজার হাজার ছেলে পরিযায়ী শ্রমিক। উত্তরবঙ্গের কোনও উন্নয়ন এই চোর মমতার সরকার করেনি’।