[ad_1]
রাজ্যে শিক্ষকের কত শূণ্যপদ রয়েছে, তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করছে বিরোধী দল, এমনটাই দাবি করে প্রকৃত অর্থে কত শূন্যপদ রয়েছে তার তথ্য দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী বলেন,‘রাজ্যে বর্তমানে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকের শূন্যপদ রয়েছে ২৬৭ টি। উচ্চ প্রাথমিকের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ৪৭৩। মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকের শূন্য পদ ২৮। উচ্চ মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে শূন্যপদের সংখ্যা মাত্র ১৩।’ সব মিলিয়ে রাজ্যে মোট শিক্ষকের শূন্যপদ ৭৮১।
তবে বিজেপির দাবি রাজ্যে তিন লক্ষের বেশি শূন্যপদ রয়েছে। এই দাবি ভুয়ো বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, ‘তিন লক্ষ শূন্যপদের কথা যে বলা হচ্ছে সেটা একেবার ভুয়ো দাবি। বিভ্রান্তি তৈরির করার জন্য এই সব তথ্য দেওয়া হচ্ছে। ’
বিধানসভায় সাংবাদিকদের শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আদালতের নির্দেশ মেনে শিক্ষক শূন্যপদ পূরণ করা হবে।’ শুধু তাই নয়, এর জন্য পর্ষদগুলির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ব্রাত্য।
এ দিন মিড ডে মিল নিয়ে ‘দুর্নীতি’র অভিযোগে সিবিআই তদন্তকে ‘স্বাগত’ জানালেন ব্রাত্য বসু। এই সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে আখ্যা দিয়ে মঙ্গলবার ব্রাত্য বসু বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের টিম একাধিকবার রাজ্যে এসেছিল এবং সেই দলের সদস্যরা সমস্ত রাজ্য ঘুরে দেখেছিলেন। তার পর তাঁরা রাজ্যকে দরাজ সার্টিফিকেট দেন। রাজনৈতিকভাবে বিজেপির মনে হলে তদন্ত করুন। যে কোনও তদন্তকে সমর্থন জানাব।’
(পড়ুন। মিড মিল নিয়ে সিবিআই হলে আপত্তি নেই, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর হুঁশিয়ারিতে জবাব ব্রাত্যর)
(পড়ুন। কলকাতা দেশের সবথেকে নিরাপদ শহর, কমছে অপরাধ, NCRB রিপোর্ট দেখে উল্লসিত TMC)
প্রসঙ্গত, সোমবারই টেট পরীক্ষার দিন বদলের কথা জানিয়েছে, পর্যদ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১০ ডিসেম্বরের বদলে প্রাইমারির টেট হবে ২৪ ডিসেম্বর। দিন বদল হলেও পরীক্ষার সময়ের কোনও বদল করা হচ্ছে না। অর্থাৎ ওই দিন পূর্ব ঘোষণা মতোই বেলা ১২ টা নাগাদ শুরু হবে পরীক্ষা, চলবে দুপুর ২.৩০পর্যন্ত। অনিবার্য কারণে টেটের দিন বদল করা হয়েছে বলে পর্যদের বিজ্ঞপ্তি জানানো হয়েছে।
(পড়ুন। ‘যাঁরা তৈলমর্দন করবে তাঁদের পছন্দমত স্কুলে পোস্টিং দেবেন?’ সংসদকে তুলোধনা করলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা)