বিজেপির বিধায়ক এবং বীরভূমের বিজেপি জেলা সভাপতিকে দৌড় করিয়ে দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক। তবে এই দৌড় করিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টে। অনুপম হাজরা তাঁর মঞ্চ ভাঙচুরের অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। আর তার জেরেই আদালতে ছুটলেন বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা এবং জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা। অনুপম হাজরারা সভার আগেই তাঁর মঞ্চ ভাঙচুর করেছেন বিজেপিরই লোকজন। আর তার নেতৃত্বে ছিলেন এঁরা। এমনই অভিযোগ তোলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অনুপম হাজরা। এবার বীরভূমের খয়রাশোলের সেই ঘটনার ঢেউ আছড়ে পড়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।
এখন দলের মধ্যে বিদ্রোহী অনুপম হাজরা। তিনি দলের গোষ্ঠীকোন্দল থেকে শুরু করে নানা ইস্যুতে মুখ খুলেছেন। রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকেও তুলোধনা করেছেন। ধর্মতলায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভাতেও তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে অভিযোগ তোলেন। আর যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে মামলা করেন, সেই বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা এবং বীরভূমের বিজেপি সভাপতি ধ্রুব সাহা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁদের দাবি, ওই দিন মঞ্চ ভাঙচুরের সময় তাঁরা কেউই খয়রাশোলে ছিলেন না। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ অবান্তর। আজ, মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতেই বিচারপতি জানতে চান অভিযোগকারীর নাম। আর এই মামলায় অনুপম হাজরাকে যুক্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি।
এদিকে দু’পক্ষের সওয়াল–জবাব শুনে বিচারপতি নির্দেশ দেন, আপাতত অনুপম হাজরার অভিযোগের ভিত্তিতে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না। পুলিশকে ওই নেতার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে তাঁদের পুলিশের নোটিশে সাড়া দিতে হবে। আগামী শুনানিতে কেস ডায়েরি হাজির করতে হবে আদালতে। আর ১৩ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। নভেম্বর মাসের শুরুর দিকে বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল অনুপম হাজরার। সভার আগেই মঞ্চ ভাঙচুর করে দুষ্কৃতীরা। তখনই বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন অনুপম। তাঁর দাবি, দলেরই একাংশের নেতারা এই কাজ করেছে। প্রাণহানির আশঙ্কার কথাও বলেছিলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুপ সাহা ও ধ্রুব সাহার নাম উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: ‘বাংলা সিনেমার ভাষা রাষ্ট্র–ধর্ম–জাতির ঊর্ধ্বে উঠে মানুষকে স্পর্শ করে’, দাবি মমতার
অন্যদিকে আজ বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জিজ্ঞেস করেন, অভিযোগ কে করেছে? আইনজীবী অনুপম হাজরার নাম বলতেই বিচারপতি বলেন, ‘ক্ষমতায় আসার আগেই দলের একাংশ অন্য অংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাচ্ছে।’ অনুপের বিরুদ্ধে অভিযোগ, শুধু ভাঙচুরের কথা বলা হয়েছে। কখন, কী কী ভাঙা হয়েছে তার কোনও উল্লেখ নেই। এই ঘটনার সময় বিধায়ক অনুপ সাহা বিধানসভায় ছিলেন বলে তাঁর দাবি। আর জেলা সভাপতি ধ্রুব ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে বলে তাঁর দাবি।