Home খেলাধুলো Titas Sadhu: দৌড়, সাঁতার, টেবিল টেনিস পেরিয়ে ক্রিকেট মাঠে বিশ্বজয় হুগলির লড়াকু কন্যার

Titas Sadhu: দৌড়, সাঁতার, টেবিল টেনিস পেরিয়ে ক্রিকেট মাঠে বিশ্বজয় হুগলির লড়াকু কন্যার

Titas Sadhu: দৌড়, সাঁতার, টেবিল টেনিস পেরিয়ে ক্রিকেট মাঠে বিশ্বজয় হুগলির লড়াকু কন্যার

কলকাতা: মহিলাদের অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের (Womens U19 T20 World Cup) ফাইনালে তিনি ম্যাচের সেরা। ৪ ওভারে মাত্র ৬ রান খরচ করে নিয়েছেন ২ উইকেট। ঝুলন গোস্বামীর বাংলা থেকে উঠে এসেছেন আর এক পেসার, তিতাস সাধু (Titas Sadhu)। অথচ হুগলির চুঁচুড়ার মেয়ের ক্রিকেট খেলার কথাই নয়। সব কিছু ঠিকঠাক চললে তিতাস হয়তো সাঁতারু হতেন। বা স্প্রিন্টার।

বাবা রণদীপ সাধু ছিলেন রাজ্যস্তরের অ্যাথলিট। খেলার দুনিয়ায় তিতাসের প্রবেশ স্প্রিন্টার হিসাবে। দৌড়তেন। পরে সাঁতার শুরু করেন। এমনকী, টেবিল টেনিসও খেলেছেন। হুগলির মহসিন কলেজের কাছে রাজেন্দ্র স্মৃতি সংঘে ক্রিকেটের সঙ্গে প্রথম পরিচয় হয়। পড়াশোনায় চৌখস। খেলাধুলোতেও পারদর্শী। মাধ্যমিকে ৯৩ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন।

ক্রিকেট খেলা শুরু কীভাবে? ক্লাবের দলে নেট বোলার কম পড়েছিল। তিতাসকে দিয়ে বোলিং করানো হয়। সেই শুরু। একটা সময় বাংলা দলে তিতাসকে কোচিং করিয়েছেন শিবশঙ্কর পাল। শৈশবের কোচ প্রিয়ঙ্কর মুখোপাধ্যায় তিতাসকে নিয়ে এসেছিলেন বাংলা ক্রিকেটের ম্যাকো-র কাছে। শিবশঙ্কর বলছেন, ‘খুব প্রতিভাবান ছিল। সুন্দর চেহারা। পেস বোলিংয়ের জন্য আদর্শ। বল স্যুইং করাতে পারত।’ যোগ করছেন, ‘ওর ব্যাটের হাতও খুব ভাল। বড় ছক্কা মারতে জুড়ি মেলা ভার।’

বাংলার সিনিয়র দলে তিতাসের সুযোগ পাওয়ার দিনটি মনে পড়ে যাচ্ছে প্রাক্তন সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়ার। বলছেন, ‘তৃণমূল স্তর থেকে ও উঠে এসেছে। বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে ওকে পারফর্ম করতে দেখে ভীষণ ভাল লাগছে। রিচা ঘোষ, তিতাস ও হৃষিতা বসু, ভারতের অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলে বাংলা থেকে তিন ক্রিকেটারকে দেখাটা দারুণ আনন্দের। মহিলাদের আইপিএলের আগে বেশ রোমাঞ্চিতও।’

তিতাসের শৈশবের কোচ প্রিয়ঙ্কর বলেছেন, ‘ও ভীষণ পরিশ্রমী। পড়াশোনা আর খেলা দুটোই সামলাতে পারে। ছোটবেলায় স্প্রিন্টার ছিল বলে ভীষণ ফিট। প্রত্যেক সপ্তাহে ২২ কিলোমিটার দৌড়য়। আবহাওয়া যেমনই থাক না কেন। আমরা জানতাম ও সফল হবেই আর সেটা করে দেখাল।’

তিতাসের বাবা রণদীপ বলছেন, ‘গত ২ বছর পরীক্ষা দিতেই পারছে না। সময়ই পাচ্ছে না। বিশেষ সুবিধা না দিলে ও কবে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা দিতে পারবে বুঝতে পারছি না।’

আরও পড়ুন: বর্ধমানে ক্রিস গেল! বাংলায় বললেন ‘নমস্কার’, বেছে নিলেন ওয়ান ডে বিশ্বকাপের ফেভারিট দল

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here