পৃথিবীর সেরা দশ কুখ্যাত মহিলা গ্যাংস্টার
১.অর্চনা শর্মা– এখনো পুলিশের অধরা
কুখ্যাত বাবলু শ্রীবাস্তবের গ্যাংয়ের অন্যতম চাবিকাঠি এই অর্চনা শ্রীবাস্তব। প্রচুর কিডন্যাপ ও মার্ডার কেসের সাথে এই অর্চনা জড়িত। এখনো পর্যন্ত পুলিশের অধরা এই কুখ্যাত মহিলা অপরাধী পালিয়ে বেড়াচ্ছে এবং তার কুকর্মের জন্য জেলের গারদ তার অপেক্ষা করছে।
২.ফুলন দেবী— ব্যান্ডিট কুইন
ফুলন দেবী ভারতের সর্বাপেক্ষা সেরা দস্যু রাণী। তার ছেলেবেলা অত্যন্ত কষ্টকর ছিল। অল্পবয়সে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সে গ্যাংরেপের শিকার হয়। তার বদলা নেবার জন্য ফুলন দেবী দস্যুরাণীতে পরিণত হয়।
তার নিজের দল তৈরী করে প্রায় কুড়ি জন ব্যক্তিকে সে খুন করে যাদের সে তার নিজের অবস্থার জন্য দায়ী করে। যেখানে বেশ কিছু লোকজন তাকে দস্যুরাণী বলে বর্ণনা করে, সেখানে অন্যান্য মানুষ তাকে হিরো হিসাবে কৃতিত্ব দেয় যে তার নিজের আত্মসম্মান বাচাতে লড়াই করেছিল।
৩.মারলোরি চাকন রসেল–
ল্যাটিন আমেরিকার ড্রাগ ওয়ার্ল্ডয়ের সর্বেসর্বা ও একচ্ছত্র মালকিন এই মারলোরি চাকন রসেল। তার ড্রাগ চেন এখনো যথেষ্ট অ্যাক্টিভ। সেন্ট্রাল আমেরিকা ও গুয়াতেমালায় তার ব্যবসা ছড়িয়ে রয়েছে। তার গ্যাং যে শুধু ক্ষমতাশীল আর ধনী তাই নয়, বরং যথেষ্ট বিপজ্জনকও বটে।
৪.চারমায়নে রোমান– জামাইকার মুখ্য মারিজুয়ানা সাপ্লায়ার
জামাইকার অন্যতম শক্তিশালী মারিজুয়ানা সাপ্লাইকারী গ্যাংয়ের মুখ্য রিংলিডার এই মহিলা। সেন্ট্রাল ফ্লোরিডার মুখ্য মারিজুয়ানা সাপ্লাই এই চারমায়নে রোমান করে থাকে। তার সংগঠন প্রায়ই বিভিন্ন আতঙ্কজনক কাজকর্মের সাথে জড়িত থাকে। প্রচুর কোটি টাকার সংগঠনের মালকিন এই মহিলা তার সংগঠনকে অর্থনেতিক ও অন্যান্য দিক দিয়ে যথেষ্ট শক্তিশালী করে তুলেছে।
৫.রাফেলা ডি আলতেরিও–
তার বিয়ে হয়েছিল এমন এক পরিবারে যেটি আগের থেকেই ক্রাইমের সাথে জড়িত ছিল। তার নিজের কোন অভিপ্রায় ছিল না এই ক্রাইমের দুনিয়ায় আসার কিন্তু তার স্বামীর হত্যার পরে সে পাকাপাকিভাবে এই ক্রাইমের দুনিয়ায় আসে। তাকে বলা হত ইতালিয়ান গডমাদার। সে তার ব্যবসা ড্রাগ চোরাচালান, স্মাগলিং, আর অবৈধ নির্মাণের কাজে উত্তীর্ণ করে। এই মহিলা ইতালির অন্যান্য রাইভাল দলগুলির সাথে শীঘ্রই হাত মেলায় এবং ইতালির মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় চলে আসে।
৬.থেলমা রাইট– দ্য কুইন অফ ফিলাডেলফিয়া
তার স্বামী মারা যাবার পরে থেলমা তার স্বামীর ব্যবসার সমস্ত দায়িত্ব হাতে তুলে নেয় এবং খুব শিগগির ফিলাডেলফিয়ার ড্রাগ সার্কেলের সর্বেসর্বা হয়ে ওঠে। সে তার বিভিন্ন সোর্সয়ের মারফত দেশের বাইরেও ড্রাগ সাপ্লাই করতে শুরু করে। তার গ্যাং প্রায়ই পুলিশ ও অন্য রাইভাল গ্রুপের সাথে মারামারি ও ঝামেলার মধ্যে জড়িয়ে পরে।
৭.জুডি মোরান– ক্রিমিনালদেরও ত্রাস
অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম কুখ্যাত মরগান পরিবারের তিনি হলেন সর্বপ্রধান সদস্যা। এই মরগান পরিবার অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বেআইনি কাজকর্মের সাথে জড়িত।তাদের আসল ব্যবসা হল বেআইনি ড্রাগের ব্যবসা। এই পরিবারটি এতটাই ভয়ঙ্কর ও কুখ্যাত যে সাধারণ জনগণ ছাড়াও মারাত্মক ক্রিমিনালরাও এই জুডি ও তাঁর পরিবারকে খুব ভয় পায়।
৮.বনি পার্কার–
একাধারে তিনি বনি ও অন্যদিকে ক্লাইড, উভয় নামেই বনি পরিচিত ছিলেন। তাঁর মারাত্মক কাজকর্মের জন্য ১৯৩০ সালে তিনি কুখ্যাত ছিলেন। তাঁর বেআইনি বিভিন্ন কাজ যেমন ব্যাঙ্ক ডাকাতির জন্য তিনি একপ্রকার সেলিব্রিটি হয়ে যান। একটি সিনেমা এমনকি একটি টিভি সিরিজও তাঁকে নিয়ে প্রস্তুত হয়।
৯.মারিয়া লিসিয়ার্ডি–
মারিয়ার মত কুখ্যাত ও ভয়ঙ্কর গ্যাংস্টার সচরাচর দেখা যায় না। তিনি তাঁর ক্ষমতা বৃদ্ধি করেন তাঁর ভাইরা মারা যাবার পরে। সেকোনডিগলিয়ানো অ্যালায়েন্সের মত বিপজ্জনক ও মারাত্মক বোনের দিদি ছিলেন তিনি।তিনি বেআইনি প্রস্টিটিউশন ও হেরোইনয়ের ব্যবসার মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন। তিনি শুধু যে মহিলাদের নিজের লাভের জন্য বিক্রি করতেন তাই নয়, তারা বয়স্ক হয়ে গেলে তাদের হত্যা করতেন। ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির অফিসে তিনি একবার বোমাবাজি করেছিলেন যাতে তাঁর বিরুদ্ধে সমস্তরকম চার্জ তুলে নেওয়া হয়।
১০.গ্রিসেলডা ব্ল্যাঙ্কো– কোকেন গডমাদার
অন্যতম কুখ্যাত মহিলা গ্যাংস্টার যিনি অন্যতম কুখ্যাত কারটেল গোষ্ঠীপ্রধান ছিলেন। তাঁর গ্রুপের নাম ছিল মেডেলিন ড্রাগ কারটেল। তাঁকে কোকেন গডমাদার বলা হত। মনে করা হয় যে তিনি প্রায় ২০০ র বেশি মার্ডারের জন্য দায়ী। তিনি তাঁর তিন স্বামীকে খুন করেছিলেন এবং তাঁকে ব্ল্যাক উইডো নামে ডাকা হত।