বিশ্ব সুন্দরীদের গল্প শুনেছেন। কিন্তু আপনি কি কখনো বিশ্বের সবচেয়ে সুদর্শন পুরুষ সম্পর্কে শুনেছেন? বিশ্বে হাজারো সুদর্শন পুরুষ রয়েছেন কিন্তু খুব কম সংখ্যক সুদর্শন পুরুষ সবার মন জয় করতে পেরেছেন। এবার তাহলে চলুন জেনে নিই বিশ্বের সবচেয়ে সুদর্শন ১০ পুরুষ সম্পর্কে৷ বিশ্বে এই সুদর্শন পুরুষদের শুধু চেহারা দেখে বিচার করা হয়নি। বিচারের তালিকায় ছিল তাদের ব্যক্তিত্ব ও গ্রহণযোগ্যতা। একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট অনলাইন ভোটাভুটির মাধ্যমে এদের বেছে নিয়ে এই তালিকা তৈরি করেছে।
১. টম ক্রুজ : একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট অনলাইন ভোটাভুটির মাধ্যমে বিশ্বের সেরা সাত সুদর্শন পুরুষের শীর্ষে আছেন হলিউড হার্টথ্রব টম ক্রুজ। ৫৪ বছর বয়সি টম ক্রুজ একজন মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেতা ও পরিচালক। তিনি তিনবার একাডেমি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন লাভ করেছিলেন এবং তিনবার গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার জয় করেছেন। ১৯৬২ সালের ৩ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের সাইরেকিউজে জন্মগ্রহণ করেন। তার মা মেরি লি একজন শিক্ষাবিদ ছিলেন। বাবা থমাস ক্রুজ ম্যাপোথার ছিলেন একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। ১৯৮১ সালে ক্রুজ ‘এন্ডলেস লাভ’ এবং ‘ট্যাপস’ চলচ্চিত্রে সহশিল্পী হিসেবে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন।
২. জাস্টিন ট্রুডো : কানাডার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো শুধু সুদর্শনই নয়। তার আচার আচরণও মার্জনীয়। তিনি মানবিক ব্যক্তি হিসেবে বিশ্বের সকলের কাছে বেশ পরিচিতি পেয়েছেন তিনি৷
৩. ওমর বোরকান আল গালা : এ তালিকার দুই নম্বরে আছেন তিনি। জন্ম আরব আমিরাতে। পেশায় মডেল ও কবি। চেহারা ও শারীরিক গঠনের কারণে মেয়েদের কাছে ওমর বোরকান হচ্ছেন একজন মহাপুরুষ। অতিরিক্ত সুন্দর আর হ্যান্ডসাম হওয়ার অপরাধে সৌদি আরব থেকে বিতাড়িত হয়েছিলেন।
৪. ক্রিস ইভান্স: ক্যাপ্টেন আমেরিকা খ্যাত এই অভিনেতা গত কয়েক বছরে চমৎকার শারীরিক গঠন বানিয়েছেন। সুন্দর একটা চেহারা তার আগে থেকেই ছিলো তাই সুদর্শন পুরুষদের এই তালিকায় ওপরে দিকে থাকতে খুব একটা ঝামেলা হয়নি।
৫. গডফ্রে গাও: জন্মগতভাবে তাইওয়ানের কিন্তু কানাডার মডেল তিনি৷ অভিনেতা গডফ্রে মেয়েদের পাগল করার মতই সুন্দর। সাথে যদি তার চমৎকার চাউনি আর অসাধারণ ফ্যাশন সেন্স অন্য মাত্রা যোগ করেছে৷
৬. হৃত্বিক রোশন : তিন নম্বরে রয়েছেন বলিউড সুপারস্টার হৃত্বিক রোশন। ২০০০ সালে ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’ দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন হৃত্বিক রোশন। প্রথম ছবি থেকেই সুন্দর চেহারার জন্য দর্শকের মনে জায়গা করে নেন হৃত্বিক। শুধু সুন্দর মুখের জন্যই নয়, বডির জন্যও তার মেয়ে ভক্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকে। ঋত্বিক রোশন প্রথম অভিনয় শুরু করেন ১৯৮০ সালে একজন শিশু অভিনেতা হিসেবে। বডি বিল্ডার এ তারকা অভিনয়ে যেমন বলিউড কাঁপিয়েছেন, তেমনি ড্যান্স দিয়ে দর্শকদের প্রাণ ভরিয়েছেন তিনি। ঋত্বিক রোশনের জন্ম ১০ জানুয়ারি ১৯৭৪, ভারতের মুম্বাইয়ে। তার ডাকনাম ডুগু বলুনাথ।
৭. সলমন খান : বলিউড তারকাদের মধ্যে সলমন খান রয়েছেন সাত নম্বরে। বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন বিবি হো তো এয়সি চলচ্চিত্রের একটি গৌণ ভূমিকায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ১৯৮৮ সালে। বলিউডের অবিবাহিত তারকা-অভিনেতাদের মধ্যে সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত ব্যাচেলর হচ্ছেন তিনি।
৮. নোয়া মিলস: নোয়া মিলস একজন কানাডিয়ান মডেল ও অভিনেতা। যিনি ১৯৮৩ সালের ২৬শে এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন।
নোয়া মিলস তার ব্যক্তিত্বের জন্য সুপরিচিত। এজন্য বিশ্বের অন্যতম সুদর্শন পুরুষ বলা হয়। এছাড়াও নোয়া মিলস তার বাদামী রংয়ের চোখের জন্য বিখ্যাত। অভিনেতা হওয়ার কারণে নোয়া মিলস বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করেছেন। এজন্য ২০১৩ সালে গোল্ডেন ফিল্ম ফেসটিবল অনুষ্ঠানে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পান। এখন পর্যন্ত তিনি অবিবাহিত।
৯. ব্র্যাড পিট: ১৯৬৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর আমেরিকাতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হলিউড চলচ্চিত্রে বিখ্যাত বেশকিছু ছবি উপহার দিয়েছেন। তার অসামান্য অভিনয়ের জন্য তিনি বেশ কিছু পুরস্কারও অর্জন করেন। তিনি বয়সের তুলনায় এখনও বেশ সুদর্শন। ব্র্যাড পিট ২০০০ সালে প্রথমে জেনিফার অ্যানিসটনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পাঁচ বছর পরই জেনিফার অ্যানিসটনের সাথে তার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এরপর হলিউডের আর এক বিখ্যাত ব্রিটিশ অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জলির সাথে ২০১৪ সালে তার বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের মাত্র দুই বছর পরই ২০১৬ সালে তাদের বিবাহিত সংসার ভেঙে যায়। অবশ্যই এখন তারা আবারও একসাথে থাকার মত দিয়েছেন।তিনি পৃথিবীর ১০ সুদর্শন পুরুষ এর একজন৷
১০. প্রিন্স উইলিয়াম: খুব মজার একটা তথ্য রয়েছে প্রিন্স উইলিয়াম সম্পর্কে৷ আপনি কী জানেন? প্রিন্স উইলিয়াম যে বছর কলেজে ভর্তি হয়েছিল তখন ওই বছরই কলেজে রেকর্ড পরিমান মেয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য আবেদন করেছিল। কারণ প্রিন্স উইলিয়াম এতটাই সুদর্শন ছিলেন, মেয়েদের কাছে তার আবেদনই অন্য রকম ছিল৷ প্রিন্স উইলিয়াম ১৯৮২ সালের ২১শে জুন ব্রিটেনে জন্মগ্রহণ করেন। তাকে ইউরোপের সবচেয়ে সুদর্শন পুরুষ বলা হয়। ২০১১ সালে প্রিন্স উইলিয়াম ক্যাথরিন মিডলটনকে বিয়ে করেন।