[ad_1]
পরেশনাথ মন্দির
শহরের একমাত্র অসম্ভব সুন্দর জৈন মন্দির বললে ভুল হবে না। অনেকেই রাজস্থান বলে ভুল করবেন এই জায়গাটি দেখে। এতোটাই সুন্দর এই জৈন মন্দির। শহরের ভিঁড়ে লুকিয়ে থাকা একটা অসম্ভব সুন্দর এই মন্দিরটি। একে জৈন দাদাজিকা টেম্পল বলা হয়ে থাকে। রাজস্থানী স্থাপত্য রীতিতে তৈরি করা হয়েছে মন্দিরটি। সেখানে গেলে মনে হবে আপনি রাজস্থানে চলে এসেছেন।
কোথায় রয়েছে এই মন্দির
একেবারে রাজস্থানী স্থাপত্য শৈলিতে তৈরি করা হয়েছে জৈন মন্দিরটি। মানিকতলার গৌড়িবাড়িতে রয়েছে এই মন্দির। ব্রিটিশ আমোলে তৈরি এই জৈন মন্দিরটিকে দাদাজি মন্দির বলা হয়ে থাকে। ব্রিটিশ আমোলে ব্যবসার কারণে অনেক গুজরাতি এবং রাজস্থানীরা কলকাতায় এসেছিলেন। তাঁদের অধিকাংশই ছিলেন জৈন। তাঁরাই প্রথম এই জৈন মন্দিরটি তৈরি করতে শুরু করেছিলেন। সেকারণেই এই মন্দিরের স্থাপত্যশৈলিতে রাজস্থানের ছাপ রয়েছে।
মন্দিরের ইতিহাস
মানিকতলা এবং খান্নার মাঝে গৌড়িবাড়ি এলাকায় জৈন মন্দিরটি সবচেয়ে প্রাচীন। এখানে প্রবেশও অবাধ। কলকাতায় অবশ্য অনেক জৈন মন্দির রয়েছে। সেখানে জৈনরা ছাড়া আর কেউ প্রবেশ করতে পারেন না কিন্তু এই জৈন মন্দিরে কারোর প্রবেশের উপরেই কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। মন্দিরটি পরেশনাথ মন্দির হিসেবেই বেশি পরিচিত। জৈন তীর্থঙ্কর পরেশনাথের নাম অনুসারে এই মন্দিরের নাম রাখা হয়েছে।
কী বিশেষত্ব মন্দিরের
মন্দিরের ভেতরে ঢুকলেই মনে হবে আপনি রাজস্থানে চলে এসেছেন। মানিক তলার মতো ঘিঞ্জি এলাকায় যে এমন একটা সুন্দর মন্দির রয়েছে তা অনেকেরই জানা নেই। মন্দিরটির চারটি ভাগ রয়েছে। জৈন দশম তীর্থঙ্কর শীতলনাথের নামে রয়েছে একটি ভাগ। অষ্টম তীর্থঙ্কর চন্দ্রপ্রভার নামে রয়েছে একটি ভাগ। ২৪ তম তীর্থঙ্কর মহাবীরের নামে রয়েছে একটি ভাগ। মন্দিরটি তৈরি করেছিলেন ভারতের ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয়ের সহকারী রায় বদ্রীশ বাহাদুর। সেকারণে মন্দিরের একেবারে গেটেই তাঁর মূর্তি রয়েছে একটি।