বর্ষায় ইতিউতি
গরম কাটিয়ে ফেলেছি আমরা। তীব্র দহন থেকে মুক্তি এনে দিয়েছে বর্ষা। উত্তরবঙ্গে ঢুকে পড়েছে বর্ষা। দক্ষিণবঙ্গে চলছে প্রাক বর্ষার বৃষ্টি। সকালেই আকাশের মুখ ভার করে বৃষ্টি হয়েছে। একেবারে ম্যাজম্যাজে আবহাওয়ায় বিছানা ছাড়তে ইচ্ছে হচ্ছিল না। এনেকদিন পর বৃষ্টি মাখা সকাল দেখল শহরবাসী। জেলাতেও দহনের তীব্রতা হঠাৎ বৃষ্টিতে অনেকটাই কমেছে। এই বর্ষায় আবার বেড়ানো মজাই আলাদা।
বর্ষায় সমুদ্র ডাকে
বর্ষাকালে বেড়ানোর সেরা জায়গা সমুদ্র। সপ্তাহান্তের ছুটিতে এখন িদঘা-মন্দারমনির ভিঁড় বাড়বে। আবার অনেকেই পাড়ি দেবেন পুরীতে। বাঙালির সবচেয়ে পছন্দের জায়গা পুরী। দার্জিলিং আর পুরীর যেন পাল্লা দিয়ে প্রতিযোগিতা চলে। সেই পুরীর পথেই রয়েছে অসংখ্য অফবিট জায়গা। তার মধ্যে একটা অ্যাপলিকের গ্রাম পিপলি। নামটা খুব একটা অপরিচিত নয় তবে গিয়েছেন এমন মানুষও খুব কম রয়েছেন।
কেন বিখ্যাত পিপলি
ওড়িশার ছোট্ট একটা গ্রাম পিপলি। সেই গ্রামের নাম গোটা বিশ্বের মানুষ জানেন। তার একমাত্র কারণ এখানকার শিল্পকলা। এখানে একধরনের জিনিস গ্রামের ঘরে তৈরি হয় যার নাম অ্যাপলিক। কাপড়ের উপর কাপড় দিয়ে করা নকশা। সেই পিপলির শিল্পীদের তৈরি সামগ্রি বিদেশে পর্যন্ত পৌঁছে যায়। এমনকী পিপলি ওড়িশাকে একটা পরিচিতি পর্যন্ত দিয়েছে। অ্যাপলিক নাম শুনলেই ওড়িশার কথা মনে আসে সকলের।
কোথা থেকে এলো এই শিল্প
শোনা যায় পুরীর রথ সাজানোর জন্য এই শিল্পের সৃষ্টি। শোনা যায় দশম শতাব্দীতে পুরীর তৎকালীন রাজা এই শিল্পীদের নিয়ে এসে পিপলি গ্রামে বসিয়েছিলেন। তাঁরাই রথের সজ্জার জিনিস তৈরি করতেন। জগন্নাথ দেবের বালিশ থেকে শুরু করে মন্দিরের চাঁদোয়া, শামিয়ানা সবই তাঁরা তৈরি করতেন। এখন আরও আধুনিক সব জিনিস তৈরি করেন শিল্পীরা। ল্যাম্পশেড, ছাতা, ব্যাগ, ওয়াল হ্যাঙ্কিং, পাখা, কুশন কভার, পিলো কভার, বিছানার চাদর কত কি।