মুনথুম ভ্যালি
কালিম্পং থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে রয়েছে মুনথুম ভ্যালি। উত্তরবঙ্গের একেবারে অফবিট জায়গা বললে ভুল হবে না। পাহাড়ের কোলে ঝকঝকে ছোট্ট একটা গ্রাম। খুব বেশি হলে ১০ থেকে ১২ ঘরের বাস সেখানে। একেবারে শান্ত পরিবেশ। পাহাড়ের গা বেয়ে উঠে গিয়েছে রাস্তা। কালো পিচের রাস্তা এঁকে বেঁকে ঢুকে গিয়েছে মুনথুম ভ্যালির মধ্য দিয়ে এঁকে বেঁকে চলে গিয়েছে রাস্তা। পাহাড়, জঙ্ল, ঝরনা, সঙ্গে পাখি পাহাড়ে মেঘেদের আনাগোনা দেখা যাবে।
মুনথুম শব্দের অর্থ কী
মুনথুম শব্দের একটা আলাদা অর্থ রয়েছে। পাহাড়ি ভাষায় মুনথুম শব্দের অর্থ চাঁদের আলো বা জ্যোৎস্না। ছোট গ্রামে বেশ কয়েকদিন ছুটি কাটিয়ে আসুন। পায়ে পায়ে দেখে নিন গ্রামটি। পাহাড়ের কোলে মেঘেদের খেলা সেখানে বেশ কয়েকটা দিন কাটিয়ে আসতে পারেন। অদ্ভুত শান্তি এখানে পাওয়া যায়। বর্ষা সেখানে আরও মনোরম হয়ে ওঠে। অসাধারণ সুন্দর একটা জায়গা।
কালিম্পংয়ে ১৮০ ডিগ্রি ভিউ
এই মুনথুম থেকে কালিম্পং শহরের ১৮০ ডিগ্রি ভিউ পাওয়া যায়। দিনের থেকেও একানকার রাতের সৌন্দর্য মোহময়। বেশি সুন্দর দেখায় রাতের ভিউ। দূরে গোটা কালিম্পং শহরকে অসাধারণ সুন্দর দেখায় এখান থেকে। কালিম্পং শহরকে দেখলে মনে হয় সহস্র আলো ঝলমল করছে এখানে। আকাশ কোনও ভাবে একবার পরিষ্কার হলে তো কথাই নেই। কাঞ্জনজঙ্ঘার পাশাপাশি একেবারে ১৮০ ডিগ্রি ভিউ পাওয়া যায় এখানে।
সঙ্গে রাখুন রেনকোট আর ছাতা
বর্ষায় যেখানেই যান না কেন বর্ষাতি সঙ্গে রাখা আবশ্যিক। বর্ষার দুটি অপরিহার্য জিনিস ছাতা আর রেনকোট। পাহাড়ে বেড়াতে ছাতার থেকেও আবশ্যিক কিন্তু রেনকোট। ছাতা মাথায় হয়তো চলতে সমস্যা হয়। কিন্তু রেনকোট থাকলে হাত ফাঁকা থাকে। চলতে তেমন সমস্যা হয় না। দুপুরে লাঞ্চ ব্রেক সেরে বেড়িয়ে পড়ুন মুনথুমের রাস্তায়।মুনথুমের মধ্যেও থাকতে পারেন।
Travel: জানেন কোথায় আছে ‘ল্যান্ড অফ ফলেন রকস’, বেড়িয়ে আসুন অফবিট সেই লোকেশন থেকে
ধোঁয়া ওঠা মোমো আর স্যুপে চুমুক
বর্ষাকালে পাহাড়ে বেড়ানোর আরেকটা মজা মোমো। বর্ষাস্নাত আবহাওয়ায় গরম কিছু খাওয়ার মজাই আলাদা। সেটা গরম গরম মোমো হলে তো কথাই নেই। বর্ষাস্নাত মুনথুম ভ্যালিতে বেড়ানোর ফাঁকে গরম গরম মোমোয় কামড় দিন আর একবাটি স্যুপ নিয়ে বসুন। আর হোম স্টের বারান্দায় বসে দূরের বৃষ্টি নিয়ে আসা মেঘেদের খেলা উপভোগ করুন। একদিন হলেও মনটা ভাল হয়ে যাবে।