মহলদিরাম
অজানা অনামি একটা জায়গা। অবস্থান উত্তরবঙ্গের পাহাড়ে হলেও খুব বেশি পর্যটকের ভিড় নেই। চাবাগান আর জঙ্গল কেন্দ্রীক এই পর্যটন কেন্দ্রটি সিটং থেকে মাত্র ৭ কিলোমিটার দূরে। পর্যটকরা বেশিরভাগই সিটং পর্যন্ত এসেই থেমে যান। সিটংয়ের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে ফিরে যান। তার উপরে যে আরও সৌন্দর্য অপেক্ষা করে রয়েছে। সেটা অনেকেই জানেন না। এরকমই একটা জায়গা মহলদিরাম। যেখানে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকে মহলদিরাম।
মহানন্দা অভয়ারণ্যর অংশ
এই মহলদিরাম হল মহানন্দা অভয়ারণ্যর অংশ। সেকারণেই এখানে প্রকৃতি যেন সব সৌন্দর্য উজার করে দিয়েছে। চারিদিকে ঘন জঙ্ঘল। উঁচু উঁচু পাইন, দেবদারু গাছ। তার সঙ্গে বিস্তৃত চা বাগান। নিয়ম মেনে সেই চা-বাগানে কাজ করে চলেন চা- শ্রমিকরা। বর্ষার শুরুতে চা-বাগান আরও সবুজ হয়ে ওঠে। কচি চা-পাতা পাতা ভরে তোলে চাগাছগুলিকে। সেকারণে সেসময় চা-বাগানের সৌন্দর্য আরও মধুর হয়ে ওঠে।
বর্ষাস্নাত জঙ্গল
এখানকার পরিবেশ অদ্ভুত শান্তি। ততটাই পরিশুদ্ধ বাতাস। জনবসতি কম হওয়ার কারণে এমনিতেই পাহাড়ের পরিবেশ সমতলের থেকে অনেকটাই দূষণমুক্ত। আবার মহলদিরামের পরিবেশ আরও দূষণ মুক্ত কারণ এখানে বসতির সংখ্যা হাতে গোনা। জঙ্গল আর গাছই বেশি। বর্ষায় পাহাড়ের গায়ে মেঘেদের ভিড় বেড়ে যায়। আর আকাশ পরিষ্কার থাকলে ঘরে বসেই দেখা যায় কাঞ্জনজঙ্ঘা।
রডোডেনড্রনের ভিড়
মহলদিরামের যাওয়ার পথ অসাধারণ। রাস্তার দুই ধারে ঘন গাছের সারি। রয়েছে পাইন, রয়েছে রডোডেনড্রন গাছ। এপ্রিলে রডোডেনড্রন ফুল আরও মনোরম করে তোলে রাস্তাটিকে। এখানে সিঙ্কোনা গাছের চাষ খুব বেশি হয়। চা-বাগানের মধ্য দিয়ে আঁকা বাঁকা রাস্তা বর্ষায় মহলদিরাম আরও মায়াময় হয়ে ওঠে। শীতকালে এখানে ঠান্ডা বেশি থাকে। তবে কমলালেবু দেখতে গেলে শীতের শেষ ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ আসতে হবে।