পুরী ভ্রমণ
ওড়িশা মানেই বাঙালির কাছে পুরী। আর রথযাত্রার সময় তো অনেকেই পুরী যেতে চান। সারাবছরই পুরীতে ভিড় করেন সকলে। কয়েকদিন আগেই জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা হয়ে গেল। এখন পুরীরে একটু বেশিই ভক্ত সমাগম হবে। রথের সময় আবার ভিড় বেশি হয়। করোনার কারণে পর পর তিন বছর বন্ধ ছিল রথযাত্রায় সাধারণ মানুষের সমাগম। গত বছর থেকে আবার আগের মতোই শুরু হয়েছে রথ যাত্রা। এবার আরও ভিড় হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
অফরুটে পুরী
পুরী বেড়াতে খুব বেশি হলে নন্দনকানন পর্যন্ত যান সকলে। তারপর সোজা বাড়ি। কিন্তু তার আশপাশে যে অনেক জায়গা রয়েছে সেটা অনেকেই জানেন না। পিপলি, রঘুরাজপুরের মত অফবিট ডেস্টিনেশনে অনেকেই যান না। পশ্চিমবঙ্গে যেমন মেদিনীপুরে রয়েছে পটচিত্রের গ্রাম তেমনই ওড়িশাতেও রয়েছে পটচিত্রের গ্রাম। বংশানুক্রমিকভাবে সেখানে পটচিত্র এঁকে চলেছেন বাসিন্দারা।
রঘুরাজপুর
ওড়িশার রঘুরাজপুরকে পটচিত্রের গ্রাম বলা হয়। এই গ্রামে এলেই বুঝতে পারবে ঘরে ঘরে শিল্পী রয়েছে। গ্রামের প্রতিটি বাড়ির দেওয়াল জুড়ে রয়েছে পটচিত্র। জগন্নাশ, বলরাম, সুভদ্রা, কার্তিক, গণেশ, দুর্গা থেকে শুরু করে শ্রীকৃষ্ণের রাসলীলা, হাতি, পাখি প্রকৃতির বিভিন্ন ছবি তাঁরা ফুটিয়ে তোলেন পটে। পট্ট মানে কাপড় আর চিত্র মানে ছবি। কাপড়ে আঁকা ছবি থেকেই এসেেছ পটচিত্র শব্দটি।
গোটা গ্রামটাই আর্ট গ্যালারি
রঘুরাজপুরে গেলেই মনে হবে গোটা গ্রামটাই যেন আর্ট গ্যালারি। প্রতিটি বাড়ির দেওয়াল জুড়ে বিভিন্ন কাহিনী ছবি আঁকা। ভেষজ রং ব্যবহার করে তৈরি করা হয় সেটি। আগে তালপাতার উপরে পটচিত্র আঁকা হয়। কাপড়েও এখনও তৈরি করা হচ্ছে পট। সব ভেষজ রং দিয়ে এই পটচিত্র আঁকা হচ্ছে। সেকারণে এই পটচিত্রের রং নষ্ট হয় না। এরকমই কাজ করা হয়।