বারমেক
একেবারে অফবিট একটা জায়গা। নামটাও অফবিট। বারমেক কালিম্পংয়ের কাছেই একটা ছোট্ট গ্রাম। যেখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা হোম স্টের ঘরে বসেই দেখা যায়। চারিদিকে পাহাড় আর ফুলের বাহার নিয়ে অপেক্ষা করছে বরমেক। নাম না জানা একাধিক ফুলের ভিঁড়ে হারিয়ে যেতে মন চাইবে। এক লহমায় কয়েক মিনিটে তাপমাত্রা নেমে যাবে অনেকটা নীচে। প্রাণটা যেন জুড়িয়ে যাবে এই সময় পাহাড়ে গেলে।
ঘরে বসেই কাঞ্চনজঙ্ঘা
উত্তরবঙ্গে নাকি দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমীবায়ু পৌঁছে গিয়েছে। বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তাতে কি। তেমন ভাবে বর্ষার বৃষ্টি এখনও শুরু হয়নি এখানে। থমকে থমকে হচ্ছে বৃষ্টি। এবার পাহাড়েও বেশ ভালই গরম পড়েছিল। তবু কলকাতার থেকে কম। কলকাতা বাসীর কাছে পাহাড় হচ্ছে ফ্রিজার পয়েন্ট। যেখানে গেলে গরমে ঘর্মাক্ত শরীরটা যেন প্রশান্তির শ্বাস নিতে পারে। এখানে যেখানেই দাঁড়ানো যায় সেখান থেকেই দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা।
রংপো দর্শন
এই বারমেক থেকে সিকিমের একটা অংশ দেখা যায়। সিকিমের রংপো নদী এবং রংপো শহরটির দর্শন মেলে। পাহাড়ের একদিকে পশ্চিমবঙ্গ আরেকদিকে সিকিম। দার্জিিলং, কার্শিয়াং থেকে শুরু করে একাধিক শহর দেখা যায় রামধুরা থেকে। আবার তিস্তার আঁকাবাঁকা গতিপথও এই বারমেক থেকে দেখা যায়। কাঞ্জনজঙ্ঘার নয়ানাভিরাম দৃশ্য উপভোগ করতে করতে চায়ের কাপে চুমুক। িতস্তাকে সাক্ষী রেখে কাঞ্জনজঙ্ঘা দেখার মজাই আলাদা।
৩৬০ ডিগ্রি ভিউ
এখান থেকে অনেক জায়গা দেখা যায়। নাথুলার বরফ পাহাড় থেকে সিকিমের নামচি। কাঞ্চনজঙ্ঘার গা ঘেঁসাঘেঁসি করে থাকা একাধিক পর্বত শঙ্গ মুগ্ধ করবে। এখান থেকে খুব কাছে ইচ্ছে গাঁও, দারাগাঁও , কালিম্পং। একেবারে নিরিবিলি জায়গা হওয়ায় এখানে অনেক পাখির দেখা মেলে। কালিম্পংয়ের ডেলো দেখে চলে আসুন রামধুরা হয়ে বারমেকে। শেয়ার গাড়িতেও বারমেক আসতে পারেন।