কলকাতা: ভারত, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তান-সহ অনেক দেশের মানুষ ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩ নিয়ে আপাতত উত্তেজনায় ফুটছেন। এবার ভারতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ।
ক্রিকেট ভালবাসেন যাঁরা, তাঁরা প্রায় সবাই জানেন, পিচের দৈর্ঘ্য সব সময় হয় ২২ গজ । কিন্তু ৯০ শতাংশ মানুষ জানেন না, কেন পিচের দৈর্ঘ্য ২২ গজ হয়! কেন ২০ বা ২৪ গজ হয় না?
ক্রিকেট পিচের প্রস্থ কত? সেটাও জানেন না বহু মানুষ। ক্রিকেট মাঠের আয়তন নিয়ে কোনো নিয়ম তেমন নেই। অতএব, আপনি বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন আকারের মাঠ দেখতে পাবেন।
আরও পড়ুন- সোনা জিতলেন দেশের হয়ে, সেই অনুশ কলকাতারই ছেলে! লড়াই ছিল কঠিন
কোথাও বাউন্ডারি ৬৫ মিটার হতে পারে, আবার কোথাও বাউন্ডারি ৭৫ মিটার হতে পারে। অধিকাংশ জায়গায় মাঠ বৃত্তাকার বা ডিম্বাকৃতি রাখা হয়। কিন্তু আমেরিকায় ক্রিকেট মাঠের আকার আলাদা।
পিচের দৈর্ঘ্য কোথাও আলাদা হয় না। সব জায়গায় পিচের নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ রয়েছে। ক্রিকেট পিচ নিয়ম অনুযায়ী আয়তাকার রাখা হয়। এর দৈর্ঘ্য কিন্তু প্রস্থের চেয়ে অনেকটাই বেশি।
স্টাম্প থেকে স্টাম্প পর্যন্ত ক্রিকেট পিচের দৈর্ঘ্য ২২ গজ বা ২০.১২ মিটার হয়। এছাড়াও, স্টাম্পের পিছনে কমপক্ষে ১.২২ মিটার পিচের অন্তর্ভুক্ত বলে বিবেচিত হয়। পিচের প্রস্থ ৩.০৫ মিটার রাখা হয়।
ক্রিকেটের নিয়মকানুন অনেকবার বদলানো হলেও এখনও পর্যন্ত পিচের আকার ও পরিমাপের নিয়মে কোনও পরিবর্তন করা হয়নি। তবে বিভিন্ন বয়সের খেলোয়াড়দের জন্য পিচের পরিমাপ পরিবর্তনের স্বাধীনতা রয়েছে। এর জন্য পরিমাপও নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- কপিল দেবের অপহরণ! ভয় ধরানো ভিডিও শেয়ার গম্ভীরের, হইচই পড়ে গেল
এখন প্রশ্ন হল, পিচের দৈর্ঘ্য কেন ২২ গজ হয়! আসলে এক্ষেত্রে গজের মতো পরিমাপের পুরানো পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। ব্রিটিশরা পরিমাপ পদ্ধতিতে একটা সময় চেইন ব্যবহার করত। ব্রিটেনে ক্রিকেট আবিষ্কারের পর পিচের দৈর্ঘ্য ১ চেইন নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা ২২ গজের সমান।
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে যে কেন পিচের দৈর্ঘ্য হিসাবে শুধুমাত্র একটি চেইন বেছে নেওয়া হয়েছিল? এর কোন সঠিক বা বিজ্ঞান ভিত্তিক উত্তর নেই। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের পরিমাপ পদ্ধতিতে ক্ষুদ্রতম এককও চেইন নয়।
নিয়ম অনুযায়ী, পিচের দৈর্ঘ্য ৬৬ ফুট বা ২২ গজ। ক্রিজ থেকে ক্রিজ পর্যন্ত পিচের দৈর্ঘ্য ১৯.৩ গজ বা ১৭.৬৮ মিটার অর্থাৎ ৫৮ ফিট। উইকেটের পিছনের দৈর্ঘ্য সহ পিচের মোট দৈর্ঘ্য ২৪.৬ গজ বা ২২.৫৬ মিটার অর্থাৎ ৭৪ ফিট।
সাধারণত ক্রিকেট পিচের দৈর্ঘ্য একই থাকে। কোনো দেশ বা স্টেডিয়ামে আলাদা হয় না। এমনকী সব ধরনের লিগেও কোনো পরিবর্তন করা যায় না। খেলোয়াড়দের বয়সের উপর নির্ভর করে পিচের দৈর্ঘ্যে কিছু পরিবর্তন করা যেতে পারে।
অনূর্ধ্ব-১৩ ক্রিকেটে পিচের দৈর্ঘ্য ২১ গজ রাখা হয়। অনূর্ধ্ব-১১-র জন্য পিচের দৈর্ঘ্য ১৯ গজ এবং অনূর্ধ্ব-৯ টুর্নামেন্টে পিচের দৈর্ঘ্য ১৬ গজ রাখা যেতে পারে। প্রাপ্তবয়স্ক খেলোয়াড়দের মতো অনূর্ধ্ব-১৫ বিভাগে পিচের দৈর্ঘ্য ২২ গজ রাখার নিয়ম রয়েছে।
Tags: Cricket