স্যাটেলাইটের যুগে গোটা বিশ্ব ক্রমশ টেকনোলজি নির্ভর হয়ে উঠছে। ১৭০০ দশকের শেষ ও ১৮০০ দশকের শুরুর দিকে যখন শিল্প বিপ্লব হয় তখন পুরোটাই কৃষি ভিত্তিক শিল্প ছিল। কিন্তু এখন সব কিছুর আমূল পরিবর্তন হয়েছে। প্রথমে চাষের সরঞ্জাম, পাওয়ার লুম, বাষ্প ইঞ্জিন তৈরির শিল্প একে একে গড়ে উঠেছে। এরপর দ্বিতীয় শিল্প বিপ্লব হয়েছিল প্রযুক্তিগত। ১৮০০ দশকের শেষ ও ১৯০০ দশকের শুরুর দিকে হয়। যখন চারিদিকে রেলপথের সম্প্রসারণ করা হয়। তৃতীয় শিল্প বিপ্লব হয়েছিল ডিজিটাল মাধ্যমে। ১৯৪০ সালের শেষ ও ২০০০ সালের শুরুর দিকে। যখন শুরু হয় কম্পিউটারের ব্যবহার। তথ্য আদান প্রদানের নতুন পথ প্রশস্ত হয়। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে হয় আমূল পরিবর্ত। যা ২০১০ থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত। নতুন প্রযুক্তিতে সব কিছুই ডিজিটাল, আজকাল সেলফ-ড্রাইভিং কার, রোবোটিক্স, থ্রি-ডি প্রিন্টিং, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং থেকে শুরু করে আরও অনেক প্রযুক্তি সামনের সারিতে উঠে এসেছে।
১৯৪০ সালের শেষ থেকে আজকের দিনে আমরা অনেক বেশি উন্নত, অনেক বেশি ডিজিটালাইজ। বর্তমান পরিস্থিতি অনেক বেশি যন্ত্র নির্ভর। আজকাল অস্ত্রোপচারের সময় রোবটের ব্যবহার করা হয়। এমনকী অস্ত্রোপচারের পরে রোবটের সাহায্যে ক্ষতস্থানে সেলাই পর্যন্ত করা হয়। রেস্তোরাঁয় খাবার পরিবেশনের জন্য রোবটের ব্যবহার হয়। এমনই ঘরে ও বাইরে বহু বিষয়ে রোবোটিক প্রযুক্তি গোটা বিশ্বে চলমান। যত দিন যাবে কৃষিক্ষেত্রে কাজের সংখ্যা কমতে থাকবে। ভারতের জনসংখ্যার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য ও পরিবহণ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন হবে। সবক্ষেত্রেই ভালো বেতনের চাকরির সুযোগ বৃদ্ধি পাবে। এই প্রতিবেদনে নির্দিষ্ট কোন কোন ক্ষেত্রে কাজের সুযোগ বাড়বে তা আলোচনা করা হল।
গেম ডিজাইজার (Game Designer) – ভিডিও গেম খেলতে ভালো লাগে? আগামী দিনে ডিজিটাল গেমিংয়ের প্ল্যাটফর্ম আরও উন্নত হবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, গেমিং সেক্টরে ভবিষ্যতে প্রচুর কর্মী নিয়োগ হবে। ফলে গেমিং প্ল্যাটফর্মের ওপর নিজস্ব প্রস্তুতি রাখতে পারলে ভবিষ্যতে কাজে দেবে।
ডিজিটাল দর্জি (Digital Tailor) – আজকাল মানুষের ঝোঁক বাড়ছে অনলাইনে জামাকাপড় কেনার। অনেকেই আবার আছেন, যাঁরা ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত হতে চাইছেন। সামনের দিনে অনলাইন ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলি ডিজিটাল দর্জি নিয়োগ করতে পারে। এই ডিজিটাল দর্জি বলে দেবে কোন ফ্যাশনটা কার জন্য প্রযোজ্য এবং কেমন ফিটিংস হবে।
গারবেজ ডিজাইনার (Garbage Designer) – কমবেশি এখনই কিছু মানুষ এমন আছেন যাঁরা একটু সৃজনশীল হয়ে ফেলে দেওয়া বর্জ্য থেকে নতুন পণ্য উৎপাদন করতে পারছে। অদূর ভবিষ্যতে এই শিল্প আরও উন্নত হতে পারে। যেখানে কর্মসংস্থানের পথ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
ড্রোন-ট্রাফিক কন্ট্রোলার (Drone-Traffic Controller) – ২০২১-এ ড্রোন অতি পরিচিত একটা গ্যাজেট। ড্রোনের গুণাবলীর মধ্যে পড়ে, পার্সেল ডেলিভারি করা। যেখান মানুষ পৌঁছাতে পারছে না সেখানে ঔষুধ পৌঁছে দেওয়া। ক্ষেতের পর্যবেক্ষণ করা। অদূর ভবিষ্যতে ড্রোন আরও বেশি ব্যবহার হতে পারে। তাই, আকাশে ট্রাফিক জ্যাম হতে পারে। তাই ড্রোন-ট্রাফিক কন্ট্রোলারে নতুন কর্মসংস্থান হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রিশিসন ফার্মাসিস্ট (Precision Pharmacist) – অনুমান করা হচ্ছে, প্রচুর পরিমানে ওষুধ তৈরি না করে রোগীর অবস্থা বুঝে কাস্টম মেড ওষুধ তৈরি হবে এবং সেই কাজে রোবটের সাহায্য নেওয়া হতে পারে।
ডিজিটাল কারেন্সি অ্যাডভাইজার (Digital-currency advisor) – ইতিমধ্যেই ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে সকলেই পরিচিত। তাই ডিজিটাল কারেন্সির বিষয়ে ডিজিটাল কারেন্সি অ্যাডভাইজারের প্রয়োজন হতে পারে। যাঁরা ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে সঠিক ধারণা দিতে পারবে।
Tags: Job News