রাজ্যের পদত্যাগী অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের পর মুখ খুললেন হাইকোর্টে পদত্যাগী পাবলিক প্রসিকিউটর শাশ্বতগোপাল মুখোপাধ্যায়। সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, অযোগ্যদের অনভিপ্রেত হস্তক্ষেপের কারণেই পদত্যাগ করেছেন তিনি।
গত ৭ নভেম্বর পাবলিক প্রসিকিউটারের পদ থেকে ইস্তফা দেন শাশ্বতগোপালবাবু। তার পরই বিলেত থেকে পদত্যাগপত্র পাঠান অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুকোপাধ্যায়। শুক্রবার দেশে ফিরে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সব অভিযোগ করেন সৌমেন্দ্রনাথবাবু। আর শনিবার সকালে বোমা ফাটালেন শাশ্বতগোপাল।
এদিন তিনি বলেন, ‘আমি আমার সাধ্যমতো পুরোটা দিয়ে আদালতে রাজ্য সরকারের পক্ষে সওয়াল করেছি। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে আমি দেখতে পাচ্ছিলাম, অযোগ্য কিছু আইনজীবী যাদের হাইকোর্টে ওকালতি করার কোনও অভিজ্ঞতা নেই তাঁরা আমার কাজে হস্তক্ষেপ করছিলেন। এছাড়া আমার সুপারিশ করা মেধাবী আইনজীবীদের বদলে প্যানেলে কিছু অযোগ্য আইনজীবীকে ঢোকানোর চেষ্টা হচ্ছিল। যাদের আমি চেয়েছিলাম, তাদের পাইনি।’
তিনি বলেন, ‘আমি শুনতে পাই যে রাজ্য সরকার বেশ কিছু রদবদল করতে চলেছে। তাই আমি ভাবলাম ৭ বছর তো হয়ে গেল। এবার ছেড়ে দিলেই হয়।’ শাশ্বতগোপালবাবু আরও বলেন, ‘আমার সময়কালে কোনও ফৌজদারি মামলায় রাজ্য সরকারের তেমন হার হয়নি। আর ব্যক্তিগত কারণে কামদুনি মামলায় আমি ছিলাম না।’
তৃণমূলের জমানায় কেন একের পর এক অ্যাডভোকেট জেনারেল ও পাবলিক প্রসিকিউটাররা পদত্যাগ করছেন? জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা সেই ব্যক্তির সঙ্গে রাজ্য সরকারের সমীকরণের ব্যাপার। প্রত্যেকের পদত্যাগের আলাদা কারণ থাকবে হয়তো।’
শুক্রবার সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলে রাজ্যের বিদায়ী অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘রাজ্য সরকার দুর্নীতির তদন্ত আটকাতে পারে না। দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে তার তদন্ত হওয়া উচিত।’ তাঁর অভিযোগ, ‘রাজ্য সরকারের কাছ থেকে যথেষ্ট সহযোগিতা পাননি তিনি।’ তিনি বলেন, ‘মান সম্মান নিয়ে কাজ করাটা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। সরকারই হয়তো আমাকে আর চাইছিল না। তাই সরে এসেছি।’