মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিদেশ সফরে যাওয়া আগে চিঠি পেয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছ থেকে। এবার বিদেশ থেকে ফেরার পরও আবার চিঠি দিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আর তাতেই শোরগোল পড়েছে রাজ্য– রাজনীতির অলিন্দে। আগের চিঠি নাকি মিস্ট্রি থেকে হিস্ট্রি হয়ে গিয়েছে বলে নিজের মুখেই দাবি করেছেন রাজ্যপাল। তাই নতুন আর একটি চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রীকে বলে সূত্রের খবর।
এদিকে শনিবার সন্ধ্যায় বিদেশ সফর সেরে কলকাতায় ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার কয়েক ঘণ্টার পরই রাজ্যপাল চিঠি পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রীকে। তবে কী লেখা আছে এই চিঠিতে সেটা জানা যায়নি। এই নিয়ে কেউ মুখও খোলেননি। তবে রাজভবন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফর নিয়ে কুশল সংবাদ জানতে চেয়েই এই চিঠি দিয়েছেন রাজ্যপাল। এটি একেবারেই ব্যক্তিগত ও সৌজন্যের চিঠি। অন্য একটি সূত্র বলছে, এই চিঠির সঙ্গে আগের চিঠির একটি মিল আছে। আগের চিঠিতেও ব্রাত্য বসুর নামে নালিশ ছিল। এই চিঠিতেও নাকি শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে নালিশ ঠুকেছেন রাজ্যপাল।
অন্যদিকে গতকাল রাজ্যপালকে কড়া ভাষায় বিঁধেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। সাদা হাতির মতো এই পদ রাখার কোনও যুক্তি আছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন। তাছাড়া রাজভবনে কবি বসে আছেন–সহ নানা মন্তব্য করেছেন ব্রাত্য বসু। সেটাই আঁতে ঘা লেগেছে রাজভবনের বাসিন্দার। তারপরই এই চিঠি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তাছাড়া রাজ্যপাল নিজেই আমেরিকা যাচ্ছেন। সোমবার তিনি রওনা দেবেন মার্কিন মুলুকের পথে। তাই সে কথাও তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিতে লিখেছেন বলে সূত্রের খবর। তাঁর অনুপস্থিতিতে সামলে নিতেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে বলে সূত্র মারফত খবর মিলেছে।
আরও পড়ুন: বাস চালকদের কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন ডিসি ট্রাফিক, ঠিক কী বার্তা দেওয়া হল?
আর কী জানা যাচ্ছে? রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে চিঠি চালাচালি এখন টুইটে প্রকাশ পায় না। আগে জগদীপ ধনখড় রাজ্যপাল থাকাকালীন সব চিঠিই মিলত টুইটারে। এখন রাজ্য সরকার বনাম রাজ্যপালের মধ্যে শীতল সম্পর্ক তৈরি হলেও অনেক কিছুই গোপন রাখা হয়। তবে প্রকাশ্যে দু’পক্ষই একে অন্যকে সুযোগ বুঝে আক্রমণ করে থাকেন। আবার সৌজন্যও দেখান। এক্ষেত্রে কোনটা জোরালো হয়েছে সেটা বোঝা যাচ্ছে না। চললেও রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালের মধ্যে দ্বন্দ্ব কমার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। তবে শনিবার রাজ্যপালকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজ্যপাল পদের অবলুপ্ত করারও দাবি জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।