ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট ২০১৭ অনুযায়ী দেশবাসী বড়ই অসুখী। চিন, পাকিস্তান, নেপাল, বাংলাদেশ এমনকী বিস্ফোরণ বিধ্বস্ত ইরাকও এই ইনডেক্স অনুযায়ী ভারতের থেকে এগিয়ে।
ওই রিপোর্ট সমীক্ষাটি করে ১৫৫ দেশের মধ্যে। ভারত এসেছে ১২২ নম্বরে, ১ নম্বরে নরওয়ে। গতবার চার নম্বরে থাকা দেশের মানুষ এ বছর সবথেকে সুখী। তিনবারে ১নম্বর এ থাকা ডেনমার্ককে হারিয়ে দিয়েছে তারা। ডেনমার্ক এবার ২ নম্বরে। ৩ নম্বরে আইসল্যান্ড, ৪-এ সুইজারল্যান্ড ও ৫-এ ফিনল্যান্ড। আমেরিকা রয়েছে ১৪ নম্বরে, ১ ধাপ নেমে গিয়েছে তারা।
২০১৩ থেকে ২০১৫-য় ভারত ছিল ১১৮ নম্বরে। এবার আরও চার ধাপ নেমে গিয়েছি আমরা। চিন আছে ৭৯ নম্বরে, পারিস্তান ৮০ নম্বরে, নেপাল ৯৯ নম্বরে, বাংলাদেশ ১১০ নম্বরে ও ইরাক ১১৭ নম্বরে। শ্রীলঙ্কাও ভারতের ওপরে, ১২০ নম্বরে।
মাথাপিছু জিডিপি, সামাজিক সমর্থন, সুস্বাস্থ্য, ব্যক্তিগত পছন্দের স্বাধীনতা, দয়াদাক্ষিণ্য ও দুর্নীতির মাপকাঠিতে ঠিক হয় এই হ্যাপিনেস রিপোর্ট। ২০১২ সাল থেকে প্রকাশিত হচ্ছে এই রিপোর্টটি। এটি প্রকাশ করে সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশনস নেটওয়ার্ক।
এবারের রিপোর্টে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে কর্মক্ষেত্রে সুখকে, কারণ মানুষের জীবনের বেশিরভাগ সময় এখানেই কেটে যায়। তাই সন্তুষ্টির সন্ধানে রোজগার ও বেরোজগারের ভূমিকা রীতিমত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানানো হয়েছে। আর চাকরি, চাকরির ধরন ও কোন শিল্পে কর্মরত- সে সব রীতিমত দরকারি। যাঁদের মাইনে বেশি তাঁরা সুখী ঠিকই কিন্তু সেটা সুখের অন্যতম কারণ, এর বেশি কিছু নয়। জীবন ও কাজের মধ্যে সামঞ্জস্য, কাজের বৈচিত্র্য ও কর্মক্ষেত্রে স্বাধীনতা- সুখের জন্য সবই জরুরি।
“শক্তপোক্ত সামাজিক ভিত্তি থেকেই মূলত আসে সুখ। তাই সমাজের মধ্যে ভরসা ও সুস্বাস্য প্রয়োজন, বন্দুক বা দেওয়াল নয়।”