এক জ্যোতি গ্রেফতার হয়েছে। আর এক জ্যোতি দিলেন হাজিরা। আর তা নিয়ে এখন জোরকদমে শুরু হয়েছে চর্চা। ইডি–সিবিআই এখন বাংলায় নানা বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে। আর তার জেরেই একের পর এক গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু তদন্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে কেউ শাস্তি পাননি। সবাই জেলেই আছেন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলা থেকে শুরু করে পুরসভাগুলিতে নিয়োগে অনিয়মের মামলা এবং রেশন বণ্টন দুর্নীতি নিয়ে মামলার তদন্ত চালাচ্ছে ইডি–সিবিআই। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আবার কলকাতায় ইডির দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিলেন আইএএস অফিসার জ্যোতিষ্মান চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে তলব করা হয়েছিল বলেই তিনি এসেছেন বলে সূত্রের খবর।
এদিকে এখন গোটা বিষয়টি নিয়ে নানা তথ্য উঠে আসছে। সম্পত্তি নিয়ে নানা তথ্য উঠে আসছে। আবার দুর্নীতি নিয়ে নানা তথ্য ইডি পেয়েছে বলে দাবি। অথচ আদালত বলছে বাড়ির ভিত বড়ই দুর্বল। অর্থাৎ একজনকে গ্রেফতার করে জেলে রাখার মতো তথ্যপ্রমাণ ইডি জমা দিতে পারেনি। তাই তা জোগাড় করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই কয়েকদিন আগে পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। আবার একই দিনে তল্লাশি চালানো হয় আইএএস অফিসার জ্যোতিষ্মান চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতেও। তাই পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তেই ওই আইএএস অফিসারকে ডাকা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তারও আগে এই মামলায় গ্রেফতার করা হয় বাকিবুর রহমানকে। বামফ্রন্টের জমানা থেকে বাকিবুর দুর্নীতি করতে শুরু করে বলে অভিযোগ। ইডি বাকিবুরের বিশাল সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে বলে খবর। আবার বাকিবুরকে নিয়ে নানা দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পর খাদ্য দফতরের মন্ত্রী হন রথীন ঘোষ। রথীনবাবু তার আগে মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। তাই ‘দুর্নীতি’ হয়েছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার সঙ্গে এই আইএএস অফিসারের কোনও যোগ আছে কিনা সেটা জানতেই এমন তলব বলে খবর।
আরও পড়ুন: ‘আরও ২০ জন বিজেপি বিধায়ক দল ছাড়ার মুখে’, বিস্ফোরক দাবি করলেন কুণাল
আর কী জানা যাচ্ছে? আজ, সোমবার এই আইএএস অফিসার জ্যোতিষ্মান চট্টোপাধ্যায় সিজিও কমপ্লেক্সে যান। সেখানে নিজের সপক্ষে নথি তিনি পেশ করেছেন বলে সূত্রের খবর। যা খতিয়ে দেখছেন ইডির অফিসাররা। তাঁর কাছ থেকেও অনেক তথ্য জানার চেষ্টা চলছে বলে সূত্রের খবর। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারের পর মধ্যমগ্রামে প্রতিবাদ মিছিল করেন রথীন ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘বিজেপি সিবিআই এবং ইডির মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে আমাদের লোকেদের হেনস্থা করছে।’ এই আবহে ওই আইএএস অফিসারকে ইডির তলব বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।