[ad_1]
সম্প্রতি মন্ত্রিসভার বৈঠকে পুলিশ বিভাগের শূন্যপদ পূরণ করার দাবি তুলেছিলেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী গড়িমসি নিয়ে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সে কথা জানিয়ে দেওয়া হয় পুলিশ মহলেও। তারপর কিছু তৎপর হতে দেখা যায়। কিন্তু আবার যে কে সেই। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটির উদ্যোগে সহযোগী পুলিশকর্মীদের প্রথম রাজ্য সম্মেলন হল। আর সেখানেই পুলিশের উর্ধ্বতন অফিসারদের একাংশের কাজের শ্লথ গতি নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
এদিকে সেখানে টেলিফোনে নিজের বক্তব্য রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটির উদ্যোগে লাটবাগানে হয় সম্মেলন। পুলিশ ওয়েলফেয়ার বোর্ডের নোডাল অফিসার শান্তনু সিনহার মোবাইলের মাধ্যমে সেখানে বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘পুলিশের রিক্রুটমেন্ট বোর্ড আছে। কিন্তু এদের ১৮ মাসে বছর। নিচুতলার কর্মীদের কাজ করতে এত অনীহা যে প্রচুর সময় নষ্ট করে। দ্রুততার সঙ্গে কাজটা করলে প্রত্যেক বছর ১০ শতাংশ হোমগার্ড থেকে কনস্টেবলে চলে আসে এবং তাতে পুরো কোটাই শেষ হয়ে যায়।’
অন্যদিকে ব্যারাকপুর লাটবাগান এসএসএফ সেকেন্ড ব্যাটেলিয়ানের মাঠে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটির উদ্যোগে হওয়া সম্মেলনে কয়েক হাজার সিভিক ভলান্টিয়ার, ভিলেজ পুলিশ, হোমগার্ড, চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা যোগ দেন। সেখানে ছিলেন এসআই, এএসআই, কনস্টেবলরা। ওই মঞ্চে হাজির ছিলেন এডিজি আর্মড পুলিশ সঞ্জয় সিং, ব্যারাকপুরে পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া, কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এবং সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। এখানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখন রাজ্য সরকার প্রায় দু’লাখ সিভিক ভলান্টিয়ারকে কাজ দিয়েছে। ৬০ বছরের পর অবসর। তাঁদের ৫ হাজার ৩০০ টাকা করে বোনাস দেওয়া হয়েছে। চাকরিরত অবস্থায় যদি সিভিক ভলান্টিয়ারদের কারও মৃত্যু হয় তাহলে তাঁর পরিবারের সদস্যদের চাকরি দেওয়া হবে। আপনাদের একাধিক দাবি পূরণ করা হয়েছে। বাকি দাবিও পূরণ করে দেব।’
আরও পড়ুন: কিশোরকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ, রণক্ষেত্রের চেহারা নিল মেটিয়াবরুজ
এছাড়া প্রথম রাজ্য সম্মেলনে সিভিক ভলান্টিয়ার এবং ভিলেজ পুলিশরা বেতন বৃদ্ধি, পদোন্নতির জন্য বিভাগীয় পরীক্ষার ব্যবস্থা, পিএফ এবং সার্ভিস বুকের দাবিতে সরব হন। ফোনে বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাইকের সুইচ অন করে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য শোনানো হয়। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘নিয়োগ যখন করেছি, তখন আপনাদের ভবিষ্যতের দায়িত্ব আমাদের। এখন না পারলেও আগামী ৬ মাসের মধ্যে কিছু টাকা জমিয়ে কিছু করার চেষ্টা করব।’