Home আপডেট Narendrapur school: নরেন্দ্রপুরের স্কুলে গুন্ডাগিরি, শিক্ষামন্ত্রীর বার্তার পরেই ধৃত ২ তৃণমূল কর্মী

Narendrapur school: নরেন্দ্রপুরের স্কুলে গুন্ডাগিরি, শিক্ষামন্ত্রীর বার্তার পরেই ধৃত ২ তৃণমূল কর্মী

Narendrapur school: নরেন্দ্রপুরের স্কুলে গুন্ডাগিরি, শিক্ষামন্ত্রীর বার্তার পরেই ধৃত ২ তৃণমূল কর্মী

[ad_1]

নরেন্দ্রপুরে একটি স্কুলে ঢুকে শিক্ষক শিক্ষিকাদের মারধর করা হয়েছিল। মূলত এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে এই ঘটনা ঘটিয়েছিল বহিরাগতরা। সেই ঘটনার পরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল নরেন্দ্রপুরে। বিষয়টি ইতিমধ্যেই পৌঁছেছে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কানে। এ বিষয়ে জানার পরে ঘটনার রিপোর্ট তলব করা হবে বলে জানালেন ব্রাত্য বসু। তারপরে ২ তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের আজ বারুইপুর আদালতে তোলা হয়।

আরও পড়ুন: নরেন্দ্রপুরের স্কুলে ঢুকে গুন্ডাগিরি, মারধর শিক্ষকদের, টিচার্সরুমে চলল ভাঙচুর

শনিবার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন শিক্ষামন্ত্রী। সেখানে তাঁকে নরেন্দ্রপুরের ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে তিনি খোঁজ নেবেন। দ্রুত রিপোর্ট তলব করা হবে। তার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। শিক্ষামন্ত্রীর স্পষ্ট বক্তব্য, তিনি আগে জানতেন না। এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ১০০ শতাংশ পদক্ষেপ করা হবে। কোনও অপরাধীকে ছাড়া হবে না। এরপরেই দুই তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম মহেশ্বর নাড়ু ও সনু মণ্ডল। ধৃত দুজনই নিজেদের তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করেন। একইসঙ্গে তাদের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে তারা জড়িত নন এবং এই ঘটনার সময় তারা ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তাদেরকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। 

প্রসঙ্গত, শনিবার নরেন্দ্রপুরের বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দিরে এই মারধরের ঘটনা ঘটেছিল। সকালে স্কুলে ক্লাস চলছিল। সেই সময় প্রায় ২০ জন শিক্ষক শিক্ষিকা টিচার্স রুমে বসে ছিলেন। আবার অনেক শিক্ষক শিক্ষিকা ক্লাসে ছিলেন। তখন বাইরে থেকে ২০ জন লোক এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করে। এরপর তারা টিচার্স রুমে ঢুকে গিয়ে শিক্ষক এবং শিক্ষিকাদের উপর আচমকা হামলা চালায়। লণ্ডভণ্ড করে দেয় টিচার্স রুম। 

মূলত এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে এই হামলা চালানো হয়। সেই অভিযোগে শিক্ষকদের ওপর হামলা চালানো হয়। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন শিক্ষকরা। তাঁরা পালটা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন। 

তাদের বক্তব্য ছিল, প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন রকম দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। তার প্রতিবাদ করার জন্য তাঁদের মারধর করা হয়েছে। এর আগেও তাদের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। আর শেষে শনিবার তাদের মারধর করা হয়। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন প্রধান শিক্ষক। তিনি পালটা কিছু শিক্ষকের বিরুদ্ধে অরাজকতা তৈরির অভিযোগ আনেন। তবে স্কুলে হামলার ঘটনায় প্রধান শিক্ষক সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদ, বনহুগলি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অলোক নাড়ু, পঞ্চায়েতের সদস্য ও বনহুগলি তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি আকবর আলি খান ও স্কুলের পরিচালন কমিটির সদস্য অলোক নাড়ু এদের নাম দিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আক্রান্ত শিক্ষকরা। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তাদের কেউ এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি। 

অন্যদিকে, নরেন্দ্রপুর থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। সেই ঘটনার তদন্ত চলছে। তবে শনিবার কেন তাদের উপর হামলা করা হল? সে বিষয়টিও তদন্ত করা হচ্ছে। ধৃতদের আজ বারুইপুর আদালতে তোলা হয়।

 

 

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here