[ad_1]
সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে কড়া মন্তব্য করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তারপরই চেয়ারটা বিচারপতির আর মন্তব্যটি রাজনৈতিক ব্যক্তির মতো বলে কটাক্ষ করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তবে এসবের পর বিচারপতির মুখে তৃণমূল কংগ্রেস নেতার প্রশংসা শোনা গেল। ব্যক্তিগত সমস্যা বিচারপতির সঙ্গে নেই। কিন্তু দলের বিরুদ্ধে কোনও কটাক্ষ বরদাস্ত করা হবে না। তার প্রতিবাদে করতেই হবে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে হঠাৎ নিজের প্রশংসা শুনে ‘বন্ধুত্বে’র বার্তা দিয়েও নিজের দলের প্রতি কর্তব্য এবং দায়িত্ব মনে করিয়ে দিলেন কুণাল ঘোষ।
আজ, সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এবং কুণাল ঘোষের দেখা হয়। তার পর দু’পক্ষই একে–অপরের যথেষ্ট প্রশংসা করেন। এমনকী তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্রের লেখনীর সুখ্যাতি পর্যন্ত করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কুণাল ঘোষের সঙ্গে বেশ বন্ধুত্ব মতো হয়ে গিয়েছে—এমন কথা শোনা গিয়েছে বিচারপতির মুখ থেকেই। সুতরাং অতীতের শ্লেষ, কটাক্ষ আপাতত অতীত বলেই মনে করা হচ্ছে। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে নিজের ব্যক্তিগত কাজে এসেছিলেন কুণাল ঘোষ। সেই খবর জানতে পেরে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁকে নিজের ঘরে ডেকে পাঠান। দু’জনের মধ্যে কথা হয়। এজলাসে গিয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় কুণাল ঘোষের প্রশংসা করেন।
এদিকে রাজ্য–রাজনীতিতে সরগরম ফেলে দেওয়া বিচারপতি হলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আবার তাঁর মুখেই তৃণমূল কংগ্রেস নেতার প্রশংসা। এই নিয়ে বিরোধীরা জল মাপতে শুরু করেছেন। আর বিচারপতি অকপটে বলেন, ‘কুণাল ঘোষের সঙ্গে বেশ বন্ধুত্ব মতো হয়ে গিয়েছে। একদিন আমার চেম্বারে এসেছিলেন। আমি তো বেশ অবাক হয়েছিলাম। মানুষটা খারাপ না। আমি একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। উঠে দাঁড়িয়ে আমার সঙ্গে কথা বললেন। ভদ্র মানুষ, ভাল ব্যবহার করলেন। আমিই বা কেন খারাপ ব্যবহার করব।’ একটি উপন্যাসও উপহার দিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে। এই উপন্যাস কুণাল ঘোষেরই লেখা।
আরও পড়ুন: হাতে ঢাল, মাথায় হেলমেট পরে নামলেন জওয়ানরা, শঙ্করের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় বাড়তি সতর্কতা
অন্যদিকে লেখক কুণাল ঘোষের প্রশংসা করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘বেশ ভাল লিখেছেন। তাঁর লেখার হাত খুব ভাল। যদিও আমাকে গালাগাল করতে ছাড়ছেন না। আমাকে টুল নিয়ে বাইরে বসতে বলেছেন। ওঁর একটি উপন্যাস আমাকে পাঠিয়েছেন। লেখার হাত খুব ভাল।’ পাল্টা কুণাল ঘোষের বক্তব্য, ‘ওঁর কথা শুনলাম। আমার লেখার প্রশংসা করেছেন। তাতে আমি তাঁকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। উনি বলেছেন শুনলাম যে, আমি নাকি ওঁর প্রতি কটাক্ষমূলক মন্তব্য করি। আমি বলতে চাই, উনি আমার দল বা দলনেত্রী সম্পর্কে যদি বিরূপ মন্তব্য করেন, তাহলে দলের হয়ে তার প্রতিবাদ করা আমার কর্তব্য। আমি সেটাই করি। তবে ওনার সঙ্গে আড্ডা দিতে বেশ ভালই লাগে।’