Home আপডেট কংগ্রেস সাংসদের বাড়ি-অফিস থেকে উদ্ধার টাকার পরিমাণ বেড়ে ৩৫১ কোটি!

কংগ্রেস সাংসদের বাড়ি-অফিস থেকে উদ্ধার টাকার পরিমাণ বেড়ে ৩৫১ কোটি!

কংগ্রেস সাংসদের বাড়ি-অফিস থেকে উদ্ধার টাকার পরিমাণ বেড়ে ৩৫১ কোটি!

[ad_1]

নয়াদিল্লি: কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ধীরজ সাহুর বাড়ি এবং অফিস মিলিয়ে উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডে সাংসদের সঙ্গে সম্পর্কিত এই জায়গাগুলিতে গত বুধবার তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল আয়কর বিভাগ।

বুধবার থেকে শুরু হয়েছিল তল্লাশি অভিযান। চার দিনেরও বেশি সময় ধরে চলা এই ম্যারাথন অপারেশন উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ নগদ। যা ভারতের সর্বাধিক কালো টাকা উদ্ধারের ঘটনা বলেই মনে করা হচ্ছে।

রবিবার রাত পর্যন্ত চলেছে টাকা গোনা পর্ব। ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, কংগ্রেসের রাজ্যসভা সাংসদ ধীরজ সাহুর ওডিশা এবং ঝাড়খণ্ডের বাড়ি এবং তাঁর সংস্থার অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া মোট টাকার পরিমাণ ৩৫১ কোটি।

শনিবার রাঁচিতে ধীরজ সাহুর বাড়ি-সহ ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশার একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় আয়কর দফতর। কংগ্রেস সাংসদের বাড়ি থেকে তিন ব্যাগ ভর্তি টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়াও মদ কারখানার এক শীর্ষ কর্তা বান্টি সাহুর বাড়ি থেকে টাকাভর্তি প্রায় ১৯টি ব্যাগ উদ্ধার হয়েছে বলে আয়কর দফতর সূত্রে খবর। আয়কর সূত্রে জানা গিয়েছে, বান্টির বাড়ি থেকে ২০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে।

সব মিলিয়ে আয়কর আধিকারিকরা ১৭৬টি ব্যাগ উদ্ধার করেছেন। যার মধ্যে বেশির ভাগই বৌধ জেলার ওই মদ কারখানা থেকে উদ্ধার হয়েছে। আয়কর দফতর সূত্রে খবর, ধীরজের পরিবারের বেশ কিছু সদস্য মদ উত্পাদন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ওড়়িশায় তাঁর পরিবারে সদস্যদের এই ধরনের বেশ কয়েকটি কারখানা রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে আয়কর দফতর সূত্রে।

এ দিকে, সাংসদের বাড়ি ও অফিস থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় মুখ খুলেছে কংগ্রেসও। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের বক্তব্য, ‘ধীরজ সাহুর ব্যবসার সঙ্গে কংগ্রেস কোনও ভাবে জড়িত নয়। এই বিপুল পরিমাণ বাজেয়াপ্ত অর্থ নিয়ে একমাত্র তিনিই বলতে পারবেন। তাঁর সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন জায়গা থেকেই আয়কর দফতর এই টাকা উদ্ধার করেছে।’

উদ্ধার হওয়া এই বিপূল পরিমাণে নগদ নিয়ে কংগ্রেসকে সরাসরি নিশানা করছে ভারতীয় জনতা পার্টি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সংক্রান্ত একটি পোস্ট করে কংগ্রেসের সমালোচনা করেন। তিনি লেখেন, ‘দেশের নাগরিকদের এই নোটের পাহাড়ের দিকে নজর দেওয়া উচিত, তারপরে তাদের (কংগ্রেস) সৎ নেতাদের বক্তৃতা শোনা উচিত এবং জনগণের কাছ থেকে লুট করা প্রতিটি টাকার হিসাব দিতে হবে। এটিই মোদির গ্যারান্টি।’

আরও পড়ুন: ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রীপদে নতুন মুখ, কুর্সিতে বসছেন আদিবাসী নেতা বিষ্ণু দেও সাই

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here